রাশিয়া আর জর্জিয়ার মধ্যে দক্ষিণ অসেটিয়া নিয়ে স্বল্প মেয়াদী যুদ্ধের দ্বিতীয় বার্ষিকীর সপ্তাহখানেক আগে ইভোলুতসিয়া ব্লগ দেশের আরেকটি থেমে থাকা দ্বন্দ্বের দিকে দৃষ্টি ফেরাচ্ছে – সেটি হচ্ছে আবখাজিয়া। দক্ষিণ অসেটিয়া আর আবখাজিয়ার স্বাধীনতাকে রাশিয়া স্বীকার করে নিয়েছে ২০০৮ সালের যুদ্ধের পর থেকেই। তবে এই ব্লগ সাম্প্রতিক জাতিগত সংঘর্ষের কথা বলছে এবং অন্য দেশ দ্বারা এখনও অস্বীকৃত এই রিপাবলিকে রাশিয়ার ক্রমবৃদ্ধিমান প্রভাব অনেকেই ভাল চোখে দেখছে না এটাও জানিয়েছে।
যখন অনেক আবখাজিয়াবাসী এবং এর রাজনীতিবিদরা বুঝছেন যে রাশিয়ার সাহায্য জর্জিয়ার থেকে স্বাধীনতা লাভে খুব গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে, তখন অনেকেই উপলব্ধি করছে যে ক্রেমলিনের সাথে তাদের এই শয়তানী বোঝাপড়ার হয়ত কোন ফল ভোগ করতে হবে।
[…]রাশিয়া যেহেতু তাদের বাজেট, তাদের সীমান্ত, এবং সড়ক যোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ করে, সাধারণ আবখাজিয়ানদের মধ্যে এই ধারণা থাকতে বাধ্য যে তাদের ‘স্বাধীনতা’ আসলে কতটুকু এবং রাশিয়া যে হারে আবখাজিয়ার অর্থনৈতিক আর রাজনৈতিক বিষয়ে হস্তক্ষেপ করছে তা নিশ্চয়ই তারা ভাল চোখে দেখছে না।
এই বিরূপ মনোভাব, সাথে আরও কিছু দ্বিমত – যেমন অর্থের ভাগ-বাটোয়ারা – যে কোন সময় সংঘাতে রূপ নিতে পারে। সাম্প্রতিক সংঘর্ষ হয়ত এইরকম দ্বিমত এবং উত্তপ্ত ব্যবহারের কারণে ছড়িয়েছে যা হয়ত আরও খারাপ দিকে মোড় নিতে পারে যদি আবখাজিয়ান অথবা রাশিয়ান কর্তৃপক্ষ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে না রাখতে পারে। […]
যখন এরকম সংঘাত নিত্য নৈমিত্তিক ব্যাপার, বিশেষ করে বিতর্কিত নগর্নো কারাবাখ অঞ্চল নিয়ে আর্মেনিয়া আর আজারবাইজানের শান্তি প্রচেষ্টা যখন ব্যর্থ হচ্ছে, কোন কোন বিশেষজ্ঞ মত দিয়েছেন যে এই তিন দেশের আঞ্চলিক সংঘাত হয়ত কখনই পুরোপুরি “থেমে থাকে নি”।
তবে যাই হোক এই “থেমে থাকা” শব্দটি এখনও আবখাজিয়া, দক্ষিণ অসেটিয়া আর নগর্নো কারাবাঘ কে নিয়ে আলোচনার সময়ে জর্জিয়ার ব্লগ “আমাদের ব্রাদারহুডের জন্যে স্বপ্ন” একটি টুইট বার্তা পাঠিয়েছে যে এটি সুখের থেমে থাকাও বোঝায়।
এই ব্লগ আরেকটি ভিডিওর উপর মন্তব্য করেছে যা দক্ষিণ অসেটিয়া আর আবখাজিয়ার দুইটি থেকে থাকা সংঘাত সম্পর্কে সাধারণ জনগণের বিভিন্ন মতামত একসাথে করেছে।
এই সব আঞ্চলিক সংঘাত কিভাবে মেটানো যাবে এ নিয়ে জর্জিয়ার সমাজের মত বিভক্ত হয়েছে।
এই পোস্টটি গ্লোবাল ভয়েসেস এর ককেশাস সংঘাত কণ্ঠ নিয়ে বিশেষ কাভারেজের অংশ।