সারা বিশ্বের লক্ষ লক্ষ লোক তাদের চোখকে টিভি সেটে আটকে রেখে দক্ষিণ আফ্রিকায় অনুষ্ঠিত ফুটবল বিশ্বকাপের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান দেখেছে এবং আরব বিশ্বে এর ব্যতিক্রম ঘটেনি।
সৌদি আরবের খালেদ আবদুলরাহমান এই অনুষ্ঠান নিয়ে অত্র অঞ্চলের মেজাজের সারসংক্ষেপ তৈরি করেছে:
পরবর্তী কয়েক ঘন্টা রিয়াদের রাস্তাগুলো নির্জন হয়ে যাবে। দক্ষিণ আফ্রিকাকে ধন্যবাদ;)
বাহরাইন থেকে নিভোস উল্লসিত:
বিশ্বকাপের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান… বিশ্ব এখন একই ছাদের নিচে… অসাধারণ (ওয়াও)!!!
এখনো বাহরাইনে বিশ্বকাপ নিয়ে আলোচনা চলছে, যেখানে রেডবেল্ট বলছে:
আমি খুবই আনন্দিত! অবশেষে বিশ্বকাপ শুরু হতে যাচ্ছে! স্ত্রীর সাথে বসে বিশ্বকাপের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান দেখছি।
কিন্তু কারো জন্য, যথারীতি কাজের মধ্যে আটকে থাকা, ওমান থেকে রিয়াদ আবদুল আজিজ টুইট করেছে:
মোলাতে (এমওএলএ বা মিনিস্ট্রি অফ লিগাল এফেয়ার্স- ওমানের আইন মন্ত্রণালয়) আটকে আছি, এই সপ্তাহে এক কর্মশালার জিনিসপত্র তৈরি কাজে ব্যস্ত। কোন কিছু দেখার সময় নেই#বিশ্বকাপ
উদ্বোধনী অনুষ্ঠান অনেক মন্তব্য অর্জন করেছে। বিশেষ করে যখন আলজেরিয়ার জনপ্রিয় গায়ক চেব খালেদ তার দিদি গানটি গাইতে শুরু করেন, যা টুইপে অনেক সুখস্মৃতি বয়ে আনে।
এতে মিশরীয় আলা আবদেএল ফাত্তাহ খুশি:
দুর্দান্ত চেব খালেদ সবকিছু কাঁপিয়ে দিয়েছ# ডাব্লিউসি ২০১০
সউদি আরবের রামি তাইবাহ সময়ের পেছনে চলে গেছেন:
দিদি!!! দারুণ (লোল) এই গানটি আমাকে ১৭ বছর আগে নিয়ে গেছে… #বিশ্বকাপ#ডাব্লিউসি২০১০
সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে বুথিয়েনা, এখনো নিজেকে সংশোধন করে নিচ্ছে:
কখনোই ভাবিনি যে “দিদি” নামক গানটি আবার ফিরে আসবে, কিন্তু চেব খালেদ আমার ধারণাকে ভ্রান্ত প্রমাণিত করছে।#সাউথআফ্রিকা#বিশ্বকাপ
এবং এখানে হতাশ কিছু ব্যক্তির বক্তব্য:
তাইবাহ বিস্মিত:
ওয়াও এটা কে কেবল আমি অথবা স্টেডিয়ামটা কি কানায় কানায় পূর্ণ হয়নি? #হতাশ#ডাব্লিউসি২০১০#বিশ্বকাপ#
দোহায় বাস করা আবদুররাহমান ওরসামার ধৈর্যের বাঁধ ভেঙ্গে যাচ্ছে:
সুন্দর সুন্দর সব গান, যার মধ্যে রয়েছে আলজেরিয়া গায়ক খালেদ, কাওয়াইটোর (দক্ষিণ আফ্রিকার চটুল গান বা রাপ গায়ক) এর গান.. অসাধারণ (ওয়াও), কিন্তু খেলা শুরু কর#ডাব্লিউসি২০১০,
মিশরীয় আহমেদ শউকির অনুষ্ঠান দেখে ততটা মুগ্ধ নন:
إنتهاء الإحتفال بإفتتاح كأس العالم … إفتتاح متواضع وبدون إبهار ولكنه مقبول
এসব সত্ত্বেও, বাহরাইনের ইয়াদ যে ভাবে অনুষ্ঠান শেষ হয়েছে তাতে সন্তুষ্ট নন:
এটাই সেই অনুষ্ঠান! সত্যি? আমি হতাশ
অনেক দর্শক আল জাজিরা স্পোর্টস চ্যানেলের সমালোচনা করছে, যারা খেলাগুলো সম্প্রচার করছে।
তাইবাহ লিখেছে:
আল জাজিরার প্রিয় ধারাভাষ্যকাররা, দয়া করে চুপ করুন, আপনাদের মন্তব্য এখানে যোগ করার কোন দরকার নেই। সেখানে কি হচ্ছে তা আমরা বুঝতে পারি#ডাব্লিউসি২০১০# ওয়ার্ল্ডকাপ@এজেইংলিশ_স্পোর্টস
সে এর সাথে যোগ করেছে:
আমি আনন্দিত, আল জাজিরার ক্রীড়া ধারাভাষ্যকার গানের কথাগুলোও অনুবাদ করেনি!
বুথেইনা এর সাথে যোগ করেছে:
কেন আরব ধারাভাষ্যকাররা একঘেয়ে এক সুর বজায় রাখতে উৎসাহ প্রদান করে, যখন সকল অনুষ্ঠানের জন্য একই মাপে খাপ খেয়ে নেবার জন্য টিভি নামক যন্ত্রটি তৈরি হয়েছে, সেই তখন থেকে#সা
অনেকের মতে, খেলার সাথে রাজনীতিকে আলাদা করা যায় না।
ফিলিস্তিনি-জর্দানী নাগরিক মোহাম্মেদ ইউসুফ, যিনি সৌদি আরবে বাস করেন, তিনি আশা করেন:
একদিন প্যালেস্টাইনে বৈষম্যবাদী নীতির (এপার্টথেড) অবসান হবে এবং বিশ্বকে আমরা দেখাব যে আমরা কি ভাবে তাদেরও স্বাগত জানাতে পারি#ওয়ার্ল্ড কাপ#পাল
এবং বুথিনা এর সাথে যোগ করেছে:
প্রিয়@আলজাজিরা যোগাযোগ মাধ্যম: দয়া করে #বিশ্বকাপ সম্প্রচার করার সময় বিজ্ঞাপন প্রচার করে আপনারা যে ট্রাক ভর্তি টাকা পাবেন তা #ফ্লোটিলার উপর একটি চলচ্চিত্র নির্মাণে ব্যয় করুন।
মিশরীয় মো-হা-মেদ আমাদের একটি চূড়ান্ত চিন্তার মাঝে ছেড়ে যান:
আসুন, সততার সাথে ভাবি। সত্যিই কি আমরা ভাবতে পারি যে আমরা #বিশ্বকাপের মত অনুষ্ঠানের আয়োজন করতে পারি? আমরা কি এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করতে পারি?