৩১শে মে সোমবার সকালের শুরুতে যখন ফ্রিডম ফ্লোটিলায় মৃত্যুর ঘটনার কথা ছড়িয়ে পড়ে তখন মধ্যপ্রাচ্য এবং সারাবিশ্বের জনতা এক ধাক্কা খায় এবং এর প্রতিবাদে ক্ষোভে ফেটে পড়ে। গাজার দিকে ত্রাণ সামগ্রী নিয়ে এগিয়ে যেতে থাকা ফ্রিডম ফ্লোটিলা নামক জাহাজের বহরের উপর আক্রমণের সংবাদে ফিলিস্তিনি ব্লগাররা তৎক্ষণাৎ প্রতিক্রিয়া প্রকাশ করে।

গন্তব্যে যাওয়ার লক্ষ্যে চলছে ফ্রিডম ফ্লোটিলা- (ছবি ফ্রিগাজার সৌজন্যে, ক্রিয়েটিভ কমন্স লাইসেন্স এর অধীনে এটিকে পুনরায় প্রকাশ করা হয়েছে)
লাইফ অন বির জেইট ক্যাম্পাস (বিরজেইট পশ্চিম তীরের এক বিশ্ববিদ্যালয়)- ব্লগে যে সমস্ত ছাত্র লেখে তারা ইজরায়েলের এই কাণ্ডে হতভম্ব:
আজ দিনের শুরুতে তারা যে কাণ্ড ঘটাল তা কোন ভাবে পরিমাপ করা যায় না। এটা বোধহীন একটা কাজ। এটা ভয়ঙ্কর, অপ্রয়োজনীয় এবং নির্মম। […] সবচেয়ে খারাপ অনুভূতি হচ্ছে এক নি:সঙ্গ অসহায়ত্বের অনুভূতি, যেখানে আপনি কোন কিছু করতে পারছেন না, যেখানে এই সুন্দর আত্মার মানুষগুলো ফ্লোটিলা নামক জাহাজের পাটাতনে (ডেকে) মৃত্যু ও আঘাতের যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছে এবং মানসিকভাবে সীমাবদ্ধ এক রাষ্ট্রের সন্ত্রাসবাদের শিকার হচ্ছে।
মুতাসাহরিদ গাজার একজন ব্লগার, যিনি বর্তমানে পশ্চিম তীরে বাস করেন এবং ফ্লোটিলার যাত্রীদের প্রতি তার অনুভূতির কথা লিখেছেন।:

ফ্রিডম ফ্লোটিলা- ব্যানার (ছবি ফ্রিগাজার, ক্রিয়েটিভ কমন্স লাইসেন্সের অধীনে এটিকে পুনরায় প্রকাশ করা হয়েছে)
গাজা থেকে ব্লগ করেন ওলা। তিনি একটি পোস্ট লিখেছেন যার নাম পাইরেট অফ দা মেডিটেরিনিয়ান (ভূমধ্যসাগরের জলদস্যু):
أو انه اصبح مقصورا على الخيال في أفلام هوليوود
فكر مرة أخرى !
أما أنتم يا شهداء أسطول الحرية ..
أردات غزة ان تستقبلكم كفاتحين .. فاستقبلتكم السماء كشهداء
تبكيكم امواج البحر والنوارس وشمس الغروب ..
অথবা যা কেবল হলিউডের কাল্পনিক চলচ্চিত্রে নির্দিষ্ট বিষয় হয়ে গেছে….
তোমরা ফ্রিডম ফ্লোটিলায় যারা শহীদ হয়েছ….
গাজা তোমাদের বিজয়ী হিসেবে অভিবাদন জানাতে চায়.. কিন্তু বেহেশত তোমাদের শহীদ হিসেবে গ্রহণ করেছে …
সমুদ্রের ঢেউ এবং গাংচিল আর সূর্যান্ত, সকলে তোমাদের জন্য কাঁদছে…