যুক্তরাষ্ট্র, কিউবা : কিউবান-আমেরিকান কংগ্রেস সদস্য তার অবসরের কথা ঘোষণা করলেন

ওবামা প্রশাসনের প্রথম এক বছর অনেকগুলো অর্জনের মধ্যে এটি একটি, খুব সুক্ষ ভাবে যুক্তরাষ্ট্র ও কিউবার সম্পর্কের অগ্রগতি হয়েছে। তারপরেও বলা যায়, ছোট ছোট নীতির পরিবর্তন, আচরণের ক্ষেত্রে বড় পরিবর্তন আনতে পারে, বিশেষ করে যখন কিউবা-আমেরিকার সম্পর্ক এবং ভোটের বিষয়টি এর মধ্য দিয়ে উঠে আসে।

সম্প্রতি মিয়ামি এবং কিউবার ব্লগারদের মধ্যে এক গুঞ্জন শুরু হয়, যখন তারা সংবাদ পায় যুক্তরাষ্ট্রের এক সংসদ লিঙ্কন ডিয়াজ-বালারাট আর নির্বাচনে অংশ নেবেন না। সামনের শরৎ -এ এই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবার কথা। ডিয়াজ-বালারাট বিপাবলিকান দলের এক সংসদ সদস্য। তিনি কিউবার বিরুদ্ধে বাণিজ্য অবরোধ আরোপের একজন গোঁড়া সমর্থক ছিলেন এবং বিষয়টিকে সঙ্কলিত করেন। পদ থেকে পদত্যাগ করার সময় প্রদত্ত ভাষণে তিনি অবরোধ আরোপের ক্ষেত্রে তার ভূমিকার কথা তুলে ধরার সুযোগ গ্রহণ করেন। সংসদে হাউস রুল কমিটির পুরোনো সদস্য এবং আইন এবং বাজেট প্রক্রিয়ার জন্য তৈরি করা উপকমিটির পদস্থ সদস্য এবং একই সাথে ফ্লোরিডার সংসদীয় প্রতিনিধিদের অন্যতম -চেয়ারম্যান ডিয়াজ বালারাটের অনুপস্থিতির বিষয়টি অবশ্যই সংসদে অনুভূত হবে।

ডিয়াজ বালারাটের এলাকা সম্বন্ধে (২১ তম সংসদীয় এলাকা) এক চমৎকার লেখা প্রকাশ করা হয়েছে। ব্লু ইন মিয়ামি জানাচ্ছে, অবসরে যাওয়া এই কংগ্রেস সদস্যরা ভাই, খালি হয়ে যাওয়া পদটির জন্য লড়াই করবেন। তার ভাই ২৫ তম এলাকার সংসদ সদস্য। এটা নিশ্চিত করা হয়েছে, সে তার নিজের এলাকা ছেড়ে ভাইয়ের এলাকায় নির্বাচন করবে। তারা লিখেছে “ আমি সাধারণত মনে করি, যে নির্বাচনী এলাকার কেউ প্রতিনিধিত্ব করে, সেখান থেকে পুনরায় নির্বাচনী লড়াই-এ অংশ নেওয়া স্বাভাবিক ব্যাপার, বিশেষ করে যখন কেউ কোন বিরোধিতা ছাড়াই সে নির্বাচনে লড়াই করার সুযোগ পেয়ে থাকে। কিন্তু আমি মনে করি এটা সত্য নয়, বিশেষত যদি আপনার ভোট প্রাপ্তির বিষয়টি পরিষ্কার না হয়ে থাকে”।

২১ তম অঞ্চলটি রিপাবলিকানদের জন্য ২৫ তম এলাকার চেয়ে বেশি পছন্দের। কিন্তু ব্লু ইন মিয়ামি বলছে, ডেমোক্রেটদের এখন এই এলাকাটি নিজের করে নেবার ক্ষেত্রে এক সুযোগ তৈরি হয়েছে।

“ জনসংখ্যাগতভাবে, এই এলাকাটি আর রিপাবলিকানদের জন্য নিরাপদ নয়,” এই কথাটি লিখেছেন ডাউন উইথ টাইরানি। বার্তা সংস্থা রয়টার কিউবান-আমেরিকান এক ব্যবসায়ীর কথা উদ্ধৃত করছে, যিনি বলছেন: “এখানে বেশ কিছু নির্দিষ্ট কিউবান-আমেরিকান রয়েছে যারা নিজেদের অবস্থানের উপর ভোট প্রদান করে” তিনি এই বিষয়টি উল্লেখ করেন, বর্তমানে যারা তাদের স্বদেশের সেই দ্বীপ রাষ্ট্রটিতে ফিরে যেতে চায়, সেই সব কিউবান-আমেরিকানদের ভ্রমণের উপর নিষেধাজ্ঞা শিখিল করা হয়েছে। এটি তাদের রাজনীতির একটি বিষয়।

ব্লগারস্ফেয়ার এই ঘটনাটাকে রাজনীতির সুবাতাস তৈরি হবার ইঙ্গিত বলে মনে করছে, পেনুলটিমোস ডিয়াসের এক মন্তব্যকারী বলছেন:

“Jamás comprendí por qué necesitábamos dos Díaz-Balart en el Congreso

“আমি বুঝতে পারছি না কেন আমাদের কংগ্রেসে দুটি ডিয়াজ-বালারাট লাগবে”।

হাভানা টাইমস এই সংবাদটিকে অবরোধ উঠিয়ে নেবার প্রতীক হিসেবে দেখছে। পত্রিকাটি লিখেছে: “যুক্তরাষ্ট্র কর্তৃক কিউবার উপর বাণিজ্য অবরোধ আরোপের বিষয়টি টিকে আছে প্রায় অর্ধ শতাব্দী ধরে এবং এই অবরোধের একজন অন্যতম সমর্থক লম্বা সময় ধরে টিকে আছে। তিনি মিয়ামির রিপাবলিক দলীয় সংসদ সদস্য লিঙ্কন ডিয়াজ-বালারাট। তাকে বৃহস্পতিবার তোয়ালেতে মুড়ে ছুঁড়ে ফেলে দেওয়া হয়”।

ওবামা প্রশাসন এমন কোন পদক্ষেপ নিচ্ছে কি না যাতে কিউবান-আমেরিকানরা এই অবরোধ নিয়ে নতুন করে চিন্তা শুরু করতে পারে সেটি জানার কোন উপায় নেই। তবে, যদি কিউবান অভিবাসীরা নির্বাচনে তাদের অবস্থান পাল্টে ফেলে, তা হলে বিষয়টি বেশ কৌতূহলজনক হবে।

আলোচনা শুরু করুন

লেখকেরা, অনুগ্রহ করে লগ ইন »

নীতিমালা

  • অনুগ্রহ করে অপরের মন্তব্যকে শ্রদ্ধা করুন. যেসব মন্তব্যে গালাগালি, ঘৃণা, অবিবেচনা প্রসূত ব্যক্তিগত আক্রমণ থাকবে সেগুলো প্রকাশের অনুমতি দেয়া হবে না .