ওমান: পরিমিত খাদ্যগ্রহণ, পডকাস্ট, এবং উচ্চ শিক্ষা পদ্ধতি

ওমানী ব্লগাররা ব্লগিং করার জন্য আবার ফিরে এসেছে। তারা এ বছরের জন্য বড় সড় এক সঙ্কল্প ও পরিকল্পনা নিয়ে এগিয়ে এসেছে। ব্লগার এটিজিএম এক নতুন ব্লগ শুরু করেছে। এই ব্লগে রয়েছে চূড়ান্ত এক পরিমিত খাদ্য পরিকল্পনা। এই খাদ্যগ্রহণ কর্মসূচিতে রয়েছে দিনে চারবার খুবই সামান্য পরিমাণ খাদ্য গ্রহণ এবং প্রচুর পরিমাণ পানি পান করা। তবে এটিজিএম সচেতন যে, স্থায়ীভাবে এই খাদ্যাভ্যাস পালন করা সম্ভব নয় এবং তিনি স্বাস্থ্যকর জীবন যাপন পদ্ধতি বেছে নেবার বিষয়ে বিবেচনা করছেন:

পরিমিত এবং স্বাস্থ্যকর খাদ্য গ্রহণ করার সাথে সম্পর্ক যুক্ত সকল তথ্যের মধ্য দিয়ে আসার ক্ষেত্রে আমার যে উপলব্ধি হয়েছে, তা হল ; এটা সকলের খাদ্যাভ্যাসের বিষয়। যদি আপনি সারাদিন নির্দিষ্ট ভারসাম্য পূর্ণ সময় ধরে সুষম খাবার খান, পরিমাণে খানিকটা কম এবং প্রয়োজনীয় পানি পান করেন, তা হলে নিয়মিতভাবে আপনি আপনার ওজনকে একটি নির্দিষ্ট মাত্রায় স্থির রাখতে পারবেন, নিজের শরীরের গঠন ঠিক রাখতে পারবেন, এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় আপনার প্রতিদিন স্বাস্থ্যকর এক খাদ্য সূচী থাকবে।

লেখকের ব্লগে আপনি তার খাদ্য তালিকার উন্নয়ন সম্বন্ধে জানতে পারবেন।

এ বছর ওমানী ব্লগ জগৎে এক হাস্যরসমূলক পডকাস্টের সূচনা হয়েছে। এর নাম টি-জাংশান। কৌতুকের মাধ্যমে অডিও বা শ্রবণযোগ্য ধারাবাহিক এই অনুষ্ঠানে স্থানীয় পত্রিকায় যে সমস্ত সংবাদ ছাপা হয় সেগুলো নিয়ে আলোচনা করা হয়। এই অনুষ্ঠান তৈরি করেছেন মোহাম্মদ আল তামামি এবং আবদুল্লাহ আলি। তাদের সম্বন্ধে আরো জানতে পারবেন বিইনওমান.কম এবং তাদের ফেসবুকের পাতায়। নিচে তাদের সাম্প্রতিক অনুষ্ঠানটি তুলে দেওয়া হয়েছে।

এখানে এটা বেশ গুরুত্বপূর্ণ লেখা রয়েছে। মাসকাট কনফিডেনসিয়াল ব্লগের আন্ডারকাভার ড্রাগন সম্প্রতি দুবাইয়ে অবস্থিত মিশিগান স্টেট বিশ্ববিদ্যালয়ের চীফ অপারেটিং অফিসার (সিওও) বা প্রধান পরিচালনা কর্মকর্তার সাক্ষাৎকার নিয়েছেন। এই সাক্ষাৎকারের উদ্দেশ্য ছিল ওমানের উচ্চ শিক্ষা ব্যবস্থা সম্বন্ধে তার মতামত জানা। এই সাক্ষাৎকারে উঠে এসেছে যে ওমানের শিক্ষা ব্যবস্থা অতীব নিম্ন মানের। এর কারণ এখানে চৌর্যবৃত্তির (অন্যের কাজ নিজের বলে চালিয়ে দেওয়া) বিস্তার ঘটেছে, শিক্ষার মান মূল্যায়ন পদ্ধতি যথাযথ নয়, এবং এখানে সবাইকে পরীক্ষায় পাশ করিয়ে দেবার সংস্কৃতি চালু রয়েছে। এই সাক্ষাৎকার-এ তিনি পরামর্শ দিয়েছেন কি ভাবে শিক্ষা পদ্ধতির উন্নতি ঘটানো যায়। এর মধ্য যুক্ত করেছেন শিক্ষা মূল্যায়ন পদ্ধতি (যথাযথ এবং বৈধ মানের মাধ্যমে যোগ্যতা অর্জন) এবং উপযুক্ত চাকুরির তথ্য ও বেতনের অঙ্ক প্রকাশ করা, যাতে মহাবিদ্যালয়গুলোর মধ্য তুলনা করা যায় এবং তাদের ভেতরে প্রতিদ্বন্দ্বিতা সৃষ্টি করতে বাধ্য করা যায়। পুরো সাক্ষাৎকারটি আপনি মাসকাট কনফিডেনসিয়ালে পড়তে পারবেন।

আলোচনা শুরু করুন

লেখকেরা, অনুগ্রহ করে লগ ইন »

নীতিমালা

  • অনুগ্রহ করে অপরের মন্তব্যকে শ্রদ্ধা করুন. যেসব মন্তব্যে গালাগালি, ঘৃণা, অবিবেচনা প্রসূত ব্যক্তিগত আক্রমণ থাকবে সেগুলো প্রকাশের অনুমতি দেয়া হবে না .