মালয়েশিয়ার একজন প্রবীন সাংবাদিক ও রাজনীতিবিদ এক ব্লগারের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন তার বিরুদ্ধে কুৎসাজনক কিছু প্রকাশের জন্য। এই রাজনীতিবিদ মালেয়শিয়ার প্রেসের স্বাধীনতার জন্য লড়াইয়ের কারনে পরিচিত।
প্রধান মন্ত্রীর ডিপার্টমেন্টের ভূতপূর্ব মন্ত্রী জায়েদ ইব্রাহিম, গত অক্টোবরে এ কাদির জাসিন কর্তৃক লিখিত একটা ব্লগ প্রতিবেদনে অপমানিত বোধ করেন। ব্লগারের বিরুদ্ধে মামলা করা ছাড়াও, জায়েদ চান লেখক যাতে ক্ষমা প্রার্থনা করেন।
এই ক্ষেত্রে যা অদ্ভুত তা হলো জাইদ মালায়শিয়ার ব্লগারদের সমর্থনের জন্য পরিচিত যাদের বিরুদ্ধে শক্তিশালী ব্যক্তি আর প্রতিষ্ঠান মামলা করেছে। জায়েদ নিজেও একজন ব্লগার। তিনি তো জাসিনের লেখা ‘আপত্তিকর’ প্রতিবেদনের প্রতিবাদ তার নিজের ব্লগে করেছেন।
রকিস ব্রু অবাক হয়েছেন যে জায়েদ এখন সম্ভ্রান্ত সেই দলের মধ্যে পড়েন যারা ব্লগারদের বিরুদ্ধে মামলা করেন।
আমি বোঝাতে পারবো না যে কি করে জায়েদ ইব্রাহিম, যাকে আমি একসময়ে ‘গোড়া না’ বলে অভিহিত করেছিলাম, এই পথে নেমে গেলেন।
এখন জায়েদ সেই তালিকায় যোগদান করেছেন প্রভাবশালী আর ধনী ব্যক্তিদের যারা ব্লগারদের কণ্ঠ রোধে মামলা করেন।
তার সর্বশেষ কাজ দ্বারা, আমি জায়েদকে আর নতুন ভাবনাধারী বলতে চাই না। এমন ধরনের লোক আলাদা হয়, যে গতানুগতিকের বাইরে যাওয়ার সাহস রাখে, একজন যাকে শ্রদ্ধা করা যায়- অনিচ্ছা সত্ত্বেও- তার নীতির জন্য।
ম্যাট সেন্ডানা চিন্তিত যে এই মামলা আরো এই ধরনের মানহানীর মামলার উদ্রেক ঘটাতে পারে মালয়েশিয়াতে।
আমার মতে, এই পোস্ট, যদিও অবশ্যই জায়েদের জন্য ভালো ছিল না, এটা ‘সামান ক্লাসের’ ছিল না- এটাকে যদি মানহানিকর বলা হয়, তাহলে প্রতিদিন আদালতে আমরা এই ধরনের ১০টা মামলা দেখব!
মামলা করার ভিত্তি নিয়ে প্রশ্ন করেছেন জেবাত:
এই প্রতিবেদনে এত কি ভুল আছে যার ফলে তাকে কাদির জাসিনের জন্য সমন জারি করাতে হল?
এতে কি মানহানিকর কিছু ছিল? তার নিজের প্রতিবাদে জায়েদ কি কাদির জাসিন সম্পর্কে নিজেই কয়েকটা মানহানিকর কথা লেখেন নি?
তাহলে বিবাদের বিষয় কি? সকল পাকাতান রায়কাত সমর্থকরা জায়েদ ইব্রাহিমকে অবশ্য সমর্থন করছেন। কে খেয়াল করে ব্লগ জগতে যদি একটা খারাপ প্রতিবেদন ছাপা হয়?
আপনি বলতে চান মানুষ যা চায় তা লিখতে পারবে না? কবে থেকে?
যখন তিনি আর বিরোধী দলের সব ব্লগাররা বিপুল পরিমাণে মিথ্যা দোষারোপ করে আর খারাপ ভাবে প্রতিবেদন লেখেন অন্য সবাইকে অপমান করে, তখন সেটা ঠিক আছে।কিন্তু কেউ যখন অতীতের কোন ভুতের সম্মুখীন হন, তিনি বিচলিত হয়ে শান্তি মতো ঘুমাতে পারেন নি।
অবাক বেপার হল, তিনি নিজেকে স্বাধীনচেতা আর প্রেস বা বাক স্বাধীনতার যোদ্ধা হিসেবে দেখাতে চান।
তবে মানুষের বিরুদ্ধে মামলা করার তার ততটাই অধিকার আছে যেমন কাদির জাসিনের আছে এই প্রতিবেদন লেখার। কিছু মানুষ যারা ভীতুর মতো পালিয়ে গেছেন, আমি নিশ্চিত কাদির জাসিন প্রয়োজনীয় সকল আইনী পদক্ষেপ নেবেন তার প্রতিবেদনকে রক্ষা করতে যে কোন তথ্যের উপরে ভিত্তি করে যা তিনি দিতে পারবেন।
বিগডগডটকমের লেখক হতাশ যে জায়েদ এই মামলাকে ব্যবহার করছেন রাজনৈতিক আর মিডিয়ার সুবিধা পাওয়ার জন্য।
জায়েদ কি পেতে চাচ্ছেন তা পরিষ্কার না। অবশ্যই পি কে আরে যোগদানের পর থেকে, জায়েদ কি করে ঘোরতর ‘সু সিন্ড্রোমে’ আক্রান্ত হয়েছেন যা আগে কেবলমাত্র ভূতপূর্ব – ক্ষমতার-অপব্যবহার- আনোয়ার ‘ম্যাট কিং লেদার’ ইব্রাহিম ভুগতেন।
এখন জায়েদ বিষম ল্যাকোফ্যাটেন্টিওনিটিসে আক্রান্ত হয়েছেন।
জায়েদ এটা নিয়ে কতদূর যাবেন তাও পরিষ্কার না। অবশ্যই তার মিডিয়া আর আইনী সার্কাসের প্রয়োজন ছিল নিজেকে দৃষ্টিগোচর রাখার জন্য ‘প্রয়োজনীয়’ করে তুলতে।