জাপানী খাবার নানা বৈচিত্রে ভরপুর আর ঋতু আর অঞ্চলভেদে এর বেশ পরিবর্তন দেখা যায়। অনেক জাপানীর শখ হচ্ছে বিভিন্ন রেস্তরাঁর খাবার পরখ করে দেখার, যাকে তাবিরুকি (食べ歩き) বলা হয়।
এ ছাড়াও কোন রেস্টুরেন্টে খাওয়া বিশেষ বা মজাদার কোন খাবারের অথবা প্রিয় কোন নুডলস দোকানের ছবি ইন্টারনেটে তুলে দেয়া জাপানীদের নিত্য নৈমিত্তিক ব্যাপার।
তাকেজু মিয়ামোতো নিতেন নুডলসের ব্যাপারে খুব আবেগপ্রবণ আর তার ব্লগে, তিনি ৩৬৭ বাটি সোবা (蕎麦 গমের নুডুলস), ৮০টি উদোন (うどん, সাদা টিক নুডলস), ১৯৩টি চাইনিজ নুডুলস (中華そば, রামেন) আর কিছু সুশির পর্যালোচনা করেছেন।
গ্রিনলিং, গ্রান্ট, ফাইলফিশ, স্যান্ড বোরার, সোরেল… মাছের লম্বা একটা তালিকা দিয়েছেন ব্লগার ডাব্লুএনকে_শো যিনি প্রত্যেকটি খাবারের বর্ণনা করেছেন (জাপানী ভাষায়) বিস্তারিত ছবি দিয়ে।
ফ্লিকার ব্যবহারকারী নেকো পারদর্শী লাঞ্চ বক্স তৈরিতে যাকে জাপানী ভাষায় বেন্তো বলে। এটি সাধারণত সাদা ভাত আর পাশের এক বা একাধিক তরকারি দিয়ে তৈরি হয়। বেন্তো নিকি ট্যাগ দিয়ে (弁当日記, লাঞ্চ বক্স ডায়েরি) তিনি ডজন ডজন মজাদার আর রঙ্গীন বেন্তো উপস্থাপন করছেন।
যেসব ব্লগে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীরা জাপানী আর অন্যান্য দেশের খাবারের রেসিপি দিয়ে থাকেন তার সংখ্যা অনেক। উদাহরণ স্বরুপ, রেসিপি ব্লগ (জাপানী ভাষায়) ব্লগারদের নতুন একটা কমিউনিটি যারা ছবিসহ সব ধরনের ঐতিহ্যবাহী ও পরীক্ষামূলক খাবারের বিস্তারিত রেসিপি পোস্ট করেন।
গত নভেম্বরের শেষের দিকে, যেদিন জনপ্রিয় মিশেলিন গাইড মুক্তি পায়, আর একটা জাপানী খাবারের গাইডের বিক্রি প্রথমবারের মতো শুরু হয়। রেস্টুরেন্ট সম্পর্কে মানুষের পরামর্শ আর সমালোচনা নির্ভর ওয়েবসাইট টাবেলগ.কমের ছাপানো সংস্করণ এটা। এটি ওকিনাওয়া থেকে হোক্কাইডো পর্যন্ত সমগ্র জাপান ব্যাপী ছোট আর বড় উভয় ধরণের রেস্তোরাঁ নিয়েই লিখেছে।