
টিফিনাঘের ব্যবহার
এর সহজ উত্তর, “না”। আমাজিঘ কখনই আরবীর বদলে ব্যবহার হবে না। কিন্তু এই কারণে লোকজন এই ভাষায় কথা বলতে চাওয়ার ইচ্ছে বন্ধ করবে না। সম্প্রতি বিবিসিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে আবদুল্লাহ আউরিক, যিনি আমাজিঘ পত্রিকার শিল্পী ও প্রকাশক, তিনি বলেন, দেখতে চাই এই দেশটিতে আরবীর বদলে বারবার ভাষা সরকারি ভাষায় পরিণত হয়েছে।
ব্লগাররা জানান তবে ইতিমধ্যে বেশ কয়েকটি প্রতিবেশী দেশে আমাজিঘ সরকারি ভাষার মর্যাদা লাভ করেছে, যার মধ্যে আলজেরিয়াও অন্তর্ভুক্ত।
রিডিং মরোক্কো একটি ব্লগ, যা মরোক্কোর সাহিত্য, সংবাদ এবং ব্লগের উপর মনোযোগ দেয়। তারা দ্রুত এই প্রবন্ধের সমালোচনা করেছে।
এই প্রবন্ধের কিছু অংশের আমার আপত্তি রয়েছে (যথারীতি)। “আমি এত দ্রুত বারবার ও আরবী ভাষার মধ্যে কোন সীমারেখা টানতে চাই না, যখন মরোক্কোর অনেক ইতিহাস এই দুইয়ের “পরিচয়ের” সংমিশ্রন। এবং আমি অনুভব করি এটা খ্রীষ্টান মিশনারী ও ধর্মনিরপেক্ষদের একটা চাল (উভয়ে ইসলমাভীতিতে আক্রান্ত)। সংস্কৃতি ও ধর্মীয় বিষয়ে একটা ফাটল ধরানোর জন্য, তারা তাদের আঙুল নাচাচ্ছে।
অকুওউল-এর প্রতিউত্তর ও সমালোচনামুলক ভাষ্য:
প্রথমত, যদি প্রকৃত ও সত্যিকারে বারবার ভাষাকে লিখিত আকারে আনার ইচ্ছে থেকে থাকে তা হলে তা সাহিত্যের উপর কিছু প্রভাব ফেলবে এবং তা ধরা ছোঁয়ার বাইরে থাকবে। কিছু বিলীন হয়ে যাওয়া একাডেমিক ও সংস্কৃতিক এক্টিভিস্টের বাইরে এই ভাষা কারো বোধগম্য হবে না। এই ভাষার জন্য পুরো ল্যাটিন বর্ণমালা গ্রহণ করতে হবে অথবা যদি তারা সত্যিকারে ঐতিহাসিক নির্ভরতা পেতে চায়, তা হলে তাদের মধ্যযুগ পরবর্তী আরবী ও আধুনিক চেলুহ বারবার বর্ণমালা ব্যবহার করতে হবে। চেলুহ ভাষাকে লিখতে চেলহু বারবার বর্ণমালা ব্যবহার হয় (তাচেলিহিট)।
এই পোস্টে মন্তব্য করেছেন কাট, মরোক্কোর গ্রামে টিফিনাঘ বর্ণমালা শেখানো নিয়ে যে ছোটগল্প চালু রয়েছে, তা তিনি শুনেছেন এবং সবার সাথে শেয়ার করেছেন।
পাহাড়ী এলাকা ও দক্ষিণের অশিক্ষিত মানুষদের গ্রামগুলো থেকে আসা ছোট শিশুদের সাথে যদি কেউ কথা বলে তা হলে, আমার অভিজ্ঞতা বলে, কথা বলা লোকেরা বুঝত, ওইসব লোকেরা সরকারে তামাজিঘাত ভাষা শেখানোর প্রচেষ্টায় শংকিত: কেন তাদের সেই ভাষা শেখানো হয় না, যা তারা দ্রুত ব্যবহার করতে পারবে, তার বদলে তাদের এমন এক ভাষা শেখানো হচ্ছে যা তাদের প্রান্তিক স্থানে নিয়ে যাবে, যেখানে তারা ইতমধ্যে অবস্থান করছে? আমি সউস এলাকার অনেক লোককে বলতে শুনেছি তামাজিঘাত ভাষা শেখানো ও টিফিনাঘকে ছড়িযে দেবার চেষ্টা আসলে এক “ষড়যন্ত্র” যা বারবার সম্প্রদায়কে ইচ্ছাকৃতভাবে দুর্বল করে রাখার চেষ্টা। এদেশে বারবার সম্প্রদায় এমনতেই দুর্বল অবস্থায় রয়েছে। এর সত্যতা যাই হোক না কেন, তবে আদর্শীকরণে ক্ষেত্রে এক আক্রমণাত্বক মনোভাব রয়েছে, এর মানে হলো ভাষা শেখার ক্ষেত্রে ছোটবেলা থেকে সন্দেহজনক ও নীচু অবস্থানে থেকে যাবার বিষয় রয়ে যাচ্ছে।
যারা কৌতুহলী, এই বিষয়ে ক্যাথরিন ই হফম্যনের উই শেয়ার ওয়ালসের ল্যাঙ্গুয়েজ, ল্যান্ড এন্ড জেন্ডার ইন বারবেরিক মরোক্কো লেখাটি পড়তে পারেন।