সন্ত্রাস প্রতিরোধ কেন্দ্র স্থাপন করতে যাচ্ছে কিরগিজস্তান

গত ১৫ই জুলাই কিরগিজস্তানের রাষ্ট্রপতি কুরমানবেক বাকায়েভ মার্কিন পত্রিকা নিউ ইয়র্ক টাইমসকে এক সাক্ষাৎকার দিয়েছেন। সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছেন [রুশ ভাষায়], কিরগিজস্তান দেশের দক্ষিণাঞ্চলে সন্ত্রাসবাদ প্রতিরোধ কেন্দ্র স্থাপন করতে যাচ্ছে।

দেশের দক্ষিণাঞ্চলে এক সস্ত্রাস বিরোধী কেন্দ্র চালু করার ক্ষেত্রে কিরগিজ এবং রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রাণালয়ের প্রতিনিধিরা এক হয়েছেন, তারা এই সন্ত্রাস বিরোধী প্রতিরোধ কেন্দ্র কেন স্থাপন করা হবে সেই প্রশ্নের উত্তর আবিস্কার করেছেন। তারা ব্যাখা দিচ্ছেন, সন্ত্রাসবাদ বিরোধী কার্যক্রমকে আরো শক্তিশালী করার লক্ষ্য এই কেন্দ্র স্থাপন করা হচ্ছে। কুরমানবেক বাকায়েভ বলেন, কিরগিজ ও রুশ সামরিক বাহিনীর যৌথ সন্ত্রাস বিরোধী কার্যক্রমে আমরা প্রশিক্ষণ চালাতে পারি।

জুলাইয়ের শুরুতে রুশ সরকারের একদল প্রতিনিধি কিরগিজস্তান পরিদর্শন করে। এই দলে ছিল রুশ উপ-রাষ্ট্রপতি ইগার সেচিন। পরবর্তীতে আবিস্কার হয় রুশ প্রতিনিধি দল কিরগিজস্তানে রুশ সামরিক শক্তি বৃদ্ধির সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা করেছিল এবং ব্যক্তিগত আলোচনার সময় কিরগিজস্তানের দক্ষিণে দ্বিতীয় রুশ সামরিক স্থাপন নিয়ে কথা হয়।

রাশিয়া যে সিএসটিও শক্তিসমূহের জন্য কিরগিজস্তানে দ্বিতীয় সামরিক ঘাঁটি তৈরী করার জন্য দেশটির সাথে আলাপ চালিয়ে যাচ্ছে, রুশ ফেডারেশনের রাষ্ট্রপতি দিমিত্রি মেদভেদেভ ব্যাপারটি স্বীকার বা অস্বীকার কোনটিই করেননি।

মেদভেদেভ বলেন, এ ধরনের চুক্তি বিষয়ে আগাম কিছু বলা যায় না। আমরা যেমন তা নিশ্চিত করছি না, আবার তা অস্বীকার করছি না।

কিরগিজস্তানের সরকারী প্রতিনিধি, দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী এরহাজন আশিবায়েভ, এ ব্যপারে কাজাখস্তানের অবস্থান ঘোষণা করেন। তিনি বলেন, দেশটিতে রাশিয়ার সামরিক ঘাঁটি স্থাপন করার বিষয়টি দুটি দেশ ব্যবসায়িক দিক থেকে বিবেচনা করেছে এবং এই অঞ্চলের স্থায়ীত্ব এবং নিরাপত্তার বিষয়ে যে কোন পদক্ষেপকে স্বাগত জানাবে।

আমেরিকার রাজনৈতিক বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী উইলিয়াম বার্নস বলেন, এই ধরনের সিদ্ধান্ত কিরগিজস্তানের সরকারের স্বার্বভৌম অধিকার।

এই বিষয়ে আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি এ রকম যে স্বার্বভৌমত্ব, স্বাধীনতা এবং নিরাপত্তাকে শক্তিশালী করার ক্ষেত্রে যে কোন পদক্ষেপ সুবুদ্ধি সম্পন্ন কাজ। বার্নস এপিকে এ কথা বলেন [ ইংরেজি ভাষায়]।

কিন্তু কিরগিজস্তানের সীমান্ত এলাকায় সামরিক ঘাঁটি স্থাপন সমন্ধে উজবেকিস্তান নেতিবাচক মনোভাব পোষন করেছে

সীমান্তে এক নতুন সামরিক ঘাঁটি স্থাপনে তাসখন্দ বলিষ্ঠ দ্বিমত পোষন করেন। নাম প্রকাশ না করে এক উচ্চ পদস্থ উজবেক কর্মকর্তা এ কথা বলেন।

কিরগিজস্তানের ইন্টারনেট সমাজ উজবেকিস্তানের সমালোচনা করতে শুরু করেছে।

ঠিক আছে, নতুন ঘাঁটি তৈরীর জন্য আমাদের কি উজবেকিস্তানের কাছ থেকে লিখিত অনুমতি নিতে হবে? কিন্তু সম্প্রতি যে উজবেকিস্তানের সীমান্ত বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে তার বেলায়? তারা কোন ধরনের অনুমতি ছাড়াই এই কাজ করেছে। এখন আমরা তাদেরও উদ্বিগ্ন করে ফেলেছি। আমাদের ওশ শহরে আরো একটি সামরিক ঘাঁটি এবং বিশকেক এর বদলে বাটকেনে একটা আমেরিকান ট্রানজিট সেন্টার বসানো উচিত। ডিজেল ফোরাম ব্যবহারকারী ডিজেলিস্ট এ কথা বলেন [রুশ ভাষায়]।

কেন তাসখন্দ এতটা উদ্বিগ্ন? যদি সন্ত্রাসবাদের মধ্য সমস্যা লুকিয়ে থাকে তাহলে উপদেশটি হলো তাসখন্দ ফারগানা উপত্যকা ভালভাবে রক্ষা করুক। আমেরিকা সব সময় চাপ দিচ্ছে যে আমেরিকার সামরিক ঘাঁটির বিশেষ উদ্দেশ্য রয়েছে এবং এটি স্থানীয় সংঘাতে জড়াবে না। কিন্তু সিএসটিও ঘাঁটি অবশ্যই তা করবে। কাজেই কেন তাসখন্দ এত উদ্বিগ্ন? ডিজেল ফোরাম বাকের স্ট্রিট এই প্রশ্ন করেছে [রুশ ভাষায়]।

আমি মনে করি কিরগিজস্তানের দক্ষিণ অঞ্চলের এই ঘাঁটি উজবেকিস্তানকে শোষণ করার জন্য। তাজিকিস্তানের সাথে মিলে রাশিয়া ফারগানা উপত্যকার অর্ধেক নিয়ন্ত্রণ করবে। ডিজেল ফোরাম ব্যবহারকালে জীকি পরামর্শ দিচ্ছেন [রুশ ভাষায়]।

আলোচনা শুরু করুন

লেখকেরা, অনুগ্রহ করে লগ ইন »

নীতিমালা

  • অনুগ্রহ করে অপরের মন্তব্যকে শ্রদ্ধা করুন. যেসব মন্তব্যে গালাগালি, ঘৃণা, অবিবেচনা প্রসূত ব্যক্তিগত আক্রমণ থাকবে সেগুলো প্রকাশের অনুমতি দেয়া হবে না .