২০০৮ সালের অক্টোবর – নভেম্বর মাসে ক্যাম্বোডিয়ায় জনমত যাচাই এর একটা জরীপ করেছে আর্ন্তজাতিক রিপাব্লিকান ইন্সটিটিউট। এর জন্যে নম পেন এর সেন্টার ফর এডভান্সড স্টাডিজ মুখোমুখি সাক্ষাৎকার গ্রহন করে ২০০০ ক্যাম্বোডিয়ান এর। কিছু প্রতিষ্ঠান যেমন মিডিয়ার আউটলেট বা সরকারী এজেন্সীর সাথে সংশ্লিষ্ট ব্যাক্তিদেরকে সার্ভের জন্য অযোগ্য ঘোষণা করা হয়।
সোচিহাতা ভোং সার্ভের মূল ডাটা পোস্ট করেছেন:
- * দেশ কি ঠিক/ভুল দিকে যাচ্ছে?
- ৮২% ক্যাম্বোডিয়ান দেখে যে তাদের দেশ ঠিক দিকে এগুচ্ছে, মূলত: তারা যে অবকাঠামো নির্মাণ দেখছে যেমন রাস্তা, স্কুল, স্বাস্থ্য ক্লিনিক প্যাগোডা ইত্যাদি।
- ১৭% দেখছে যে দেশ ভুল দিকে যাচ্ছে, দূনীর্তি, জিনিষের মূল্য আর দারিদ্রকে দেশের ভবিষ্যৎের জন্য সব থেকে বড় বাধা হিসাবে বলে।
- ৫৯% ক্যাম্বোডিয়ান বলেছেন সীমান্তের ব্যাপার আর সীমান্ত সীমা ঠিক করা সব থেকে বড় চিন্তার বিষয় যার পরে রয়েছে জিনিষের মূল্য। (আগস্ট ২০০৭ এর পোলের সাথে তুলনা করলে মাত্র ৫% সীমান্তের ব্যাপারে চিন্তিত ছিল তখন – বিশেষ করে ভিয়েতনামিজ সীমান্ত)।
- গ্রামের প্রধান (৪১%), প্রধানমন্ত্রী (২৮%), স্থানীয় কাউন্সিল (১৪%), জাতীয় এসেম্বলী (৫%)।
* কোন তিনটি বিষয় বা ইস্যুকে আপনি মনে করেন দেশ হিসাবে ক্যাম্বোডিয়ার উপরে সব থেকে বেশী প্রভাব ফেলে?
* এর মধ্যে কোনটির আপনার জীবনে জোরালো প্রভাব আছে?
সিএএআই নিউজ মিডিয়া তুলে ধরেছে নম পেন পোস্টে সার্ভের কাভারেজকে যেখানে গ্রামের প্রধানের ভূমিকার গুরুত্ব তুলে ধরা হয়েছে:
[সার্ভে] দেখেছে যে ৮৫% মানুষ তাদের নিজেদের গ্রামের প্রধানকে নির্বাচিত করতে চেয়েছে সরকার কতৃক চাপিয়ে দেয়ার থেকে। আর সার্ভে দেখিয়েছ এটি একটি গুরুত্বপূর্ন বিবেচ্য বিষয়: সার্ভেতে সাড়া দেয়া দুই -তৃতীয়াংশ লোক বলেছেন যে গ্রামের প্রধান তাদের জীবনে সব থেকে প্রভাবশালী ব্যক্তি।
একই নম পেন পোস্ট প্রতিবেদন থেকে ক্যাম্বোডিয়া মানবাধিকার সংস্থার প্রেসিডেন্ট ওউ ভিরাক এর উদ্ধৃতি:
দেশ জুড়ে অনেক গ্রামের প্রধান স্থানীয় পর্যায়ে বেশ শক্ত প্রভাব বিস্তার করেছেন। [ভিরাকের] চিন্তা ছিল যে এই প্রভাব প্রকাশের স্বাধীনতা বিপদ্গ্রস্ত করতে পারে। “আমি মনে করি যে ক্যাম্বোডিয়া সঠিক দিকে যাচ্ছে বলে দেখা হলেও, তার মানে এই না যে সরকার সকল ক্ষেত্রে ভালো করছে,” তিনি বলেছেন। “গ্রামের প্রধানের প্রভাব মানে তারা হয় মানবাধিকারের রক্ষকের ভূমিকা পালন করতে পারে বা এর অপব্যবহারকারী হিসাবে।”