নীচে এস্তোনিয়ার ব্লগোস্ফিয়ার থেকে বাছাই করা সাম্প্রতিক কিছু পোস্ট তুলে ধরা হলো:
ইচিং ফর ঈস্তিমা এস্তোনিয়ার সেই সকল মহিলাদেরকে নিয়ে লিখেছেন যারা ১৯৪০ এর র্নিবাসন থেকে বেঁচে ফিরেছিল, কিন্তু যাদের করুন গল্প সোভিয়েত সময়ের এস্তোনিয়ার মহিলাদের ম্যাগাজিন নৌকোগুদে নাইনে স্থান পায়নি:
আজকের তরুণীদের থেকে এইসব মহিলা কোন অংশে আলাদা না, শুধু জীবন তাদেরকে একটি দুভাগ্যজনক পরিস্থিতিতে ফেলেছিল যা তাদেরকে হজম করে বাঁচতে হয়েছে।
তাদেরকে কেন বিতারন করা হয়েছিল? সব লোক ছেড়ে তাদেরকে কেন সাইবেরিয়াতে যেতে হয়েছিল গরুর গাড়ী করে? তাদের পরিবার ছিন্ন হয়েছিল, তাদের সম্পত্তি জব্দ করা হয়েছিল, তাদের স্বাস্থ্য হুমকির সম্মুখীন হয়েছিল। শুধু বাড়ি এসে দেখতে যে নৌকোগুদে নাইনের সাম্প্রতিক একটা সংখ্যায় তাদের পেছনের ইতিহাসের কোন উল্লেখ নেই?
আর একটা পোস্টে ইচিং ফর ঈস্তিমা লিখেছেন কোহতলা-জারভে শহর নিয়ে:
এস্তোনিয়ার মানসিকতায় কোহতলা – জারভে হচ্ছে অ্যাপার্টমেন্ট ব্লক, দারিদ্র আর রুসোফোনের সংমিশ্রনে একটি সোভিয়েত গোলকধাঁধা যেখানে এস্তোনিয়ান ভাষায় আপনি দোকানে দুধ চাইলে, আপনি কার্বনেটেড পানি বা ডিম পেতে পারেন। যেহেতু কোন ওয়াটার পার্ক বা মধ্য যুগীয় বাড়ী এ শহরে ছিলনা, এটা ভ্রমণের যোগ্য না। আর তাই কেউ সেখানে যায়না।
ব্লু, ব্ল্যাক এন্ড হোয়াইট এলার্ট পরীক্ষা করে দেখছেন যে এটা সম্ভব কিনা ‘পাথুরে তেল উত্তোলনের ফলে সৃষ্ট উপজাত’ অপ্রাকৃতিক পাহাড় থেকে স্কি রিসোর্ট তৈরি করা যায় কিনা:
অবশ্য আপনি যদি বিবেচনা করেন যে পাথুরে তেল উত্তোলন চলেছে ৫০ বছরের বেশী সময় ধরে, আর তার পরে বিবেচনা করেন যে বর্তমানে ছাই কিভাবে রাখা আছে – বেশ কয়েকটা ১০০ মি পাহাড়ে ছড়ানো আছে, যার মধ্যে একটা পর্বতশ্রেনী আছে-আর এর সাথে যুক্ত হয়েছে এই ব্যাপার যে এই ছাই পাহাড়ের চুড়ায় জমা হওয়া বন্ধ করে এখন পাদদেশে জমা হচ্ছে-এটার কোন অজুহাত আছে বলে মনে হয়না, তাইনা? আমরা যদি একটা পাহাড়ের দিকে মনোযোগ দিতাম, তাহলে এস্তোনিয়ায় এরই মধ্যে স্কি রিসোর্ট থাকতো, বলা বাহুল্য হতো একটা দর্শনীয় বস্তু। ক্ষতিপূরণ সংক্রান্ত সামিটে রাশিয়ানদের সাথে আলোচনার আর একটা বিষয় হলো।
বাবেলটালিন লিখেছেন এস্তোনিয়ার জাতিগত রুশদের ব্যাপারে, যাদের অনেকের কাছে দেশহীন লোকের ধূসর পাসপোর্ট আছে আর এই নিয়ে তাদেরকে বেশ খুশী মনে হয়:
টালিনের পুরানো শহরে মলি মেলোনের পাবে, রুসলানা চায়নি তার ছবি তোলা হোক। “আমার এখনো ধূসর পাসপোর্ট আছে কারন এটা সুবিধাজনক,” বলল ২৪ বছরের রাশিয়ান ফ্লেমিংগো নৃত্যশিল্পী, যার ত্বক সাদা আর নখ গোলাপী নেলপলিশ করা। ১১৬,০০০ জন লোকের বর্তমানে ‘ধূসর’ পাসপোর্ট আছে, যার মানে তারা দেশহীন। তারা ‘নীল’ পাসপোর্ট পেতে পারবে না যতক্ষণ না তারা ভাষার পরীক্ষা আর সংবিধান সম্পকে তাদের জ্ঞানের দুটি পরিক্ষায় উত্তীর্ন হয়। “শেনজেন এলাকা এইসব দেশহীন লোকের জন্য গত এক বছর ধরে উন্মুক্ত, তাই আমি ইউরোপীয়ান ইউনিয়ন দেশসমুহ আর রাশিয়ায় ভিসা ছাড়া বেড়াতে পারি,” বললেন রুসলানা। “ব্যাঙ্ক বা জীবন বীমার ঝামেলা ছাড়া, ধুসর পাসপোর্টের আর কোন ঝামেলা নেই। আমার পুরো জীবন আমি এস্তোনিয়ায় কাটিয়েছি, আর প্রয়োজন অনুযায়ী এস্তোনিয়ান বলতে পারি।”
আর একটা পোস্টে, বাবেলটালিন লিখেছেন বিমান সংস্থা এস্তোনিয়ান এয়ারের পরিকল্পনার কথা যেখানে ৪৬৭ কর্মীর মধ্যে ৬৩ কে ছাঁটাই করে দেয়ার চিন্তা হচ্ছে।
অ্যান্টিক্স জানিয়েছে যে ‘কয়েক মাসের ভিতরের ঝগড়া আর পরষ্পরকে দোষারোপের পরে, সংসদ পরিশেষে নতুন শ্রম আইন পাশ করেছে:
আসলে ব্যাপার হলো যে কোম্পানীগুলোর ভালো সুযোগ হবে অপ্রয়োজনীয় কর্মীদেরকে সহজে ছাটাই করার, আর কর্মীরা ছাটাই এর পরে সাধারণত ভালো অথনৈতিক অবস্থায় থাকবে।
বির্তকিত ফ্রেঞ্চ আইনের মতো না, এটা কোম্পানীকে নতুন কর্মী নিয়োগের সেই আত্মবিশ্বাস দেয়না, যেমন দেয় তাদের পদ্ধতির উৎপাদনশীলতা বাড়াতে এবং সেটাকে পুনবিন্যাস করতে। এটাই এস্তোনিয়ার কর্মীদের ব্যাপারে প্রধান অভিযোগ- যে তাদের বেতনের চাহিদা বেড়ে চলেছে তাদের উৎপাদনশীলতার সাথে কোন মিল না রেখে। আর একটা অসুবিধা ছিল যে মূল জায়গাগুলোতে লোকবলের অভাব, তাই অর্থনৈতিক মন্দার প্রেক্ষাপটে, এই আইন অন্তত ঠিক দিকে একটা ধাপ বলে মনে হয়। এটা বাজেটে অতিরিক্ত চাপ সৃষ্টি করে, কিন্তু এটা আসলে মালিক আর কর্মীকে আসল জায়গায় আত্মবিশ্বাস তৈরিতে সাহায্য করে, আর একই সাথে মানুষকে উৎসাহ দেয় তাদের যোগ্যতা আর কর্মগুণ বৃদ্ধির।