যেসব কোম্পানি দেখে যে আপনি দিনে কয়বার টয়লেটে গেলেন… তাদের সম্বন্ধে কি মনে করেন? (দাউম) ব্লগের এই লেখাটি বেশ কিছু কৌতুহলোদ্দীপক সাড়া পেয়েছে:
যেসব কোম্পানি দেখে যে আপনি দিনে কয়বার টয়লেটে গেলেন, এমন কোম্পানিতে কি আমাকে থাকতে হবে?
কোম্পানি আপনাকে অনেক বেতন দিলে, আপনাকে ব্যবহারও তো তাদের করতে হবে। এটাই তো করিৎকর্মা ব্যবসায়ীরা পুঁজিবাদে পালন করে থাকে। এ করেও তারা কি পৃথিবীর সব থেকে সফল ব্যবসা হতে পারে না? ১ ওন (কোরিয়ার মুদ্রা) ও অপচয় করা উচিৎ নয়। আমাদের কি বলার আছে যদি তারা বলে যে আপনাকে কাজ করতে হবে না যদি আপনি না চান? আপনি, যে নিজের একটা কোম্পানি দিতে পারেন না তার কৃতজ্ঞ থাকা উচিত যে আপনাকে চাকরিতে নেয়া হয়েছে আর তার পর আপনি কি করে মানবাধিকার আশা করতে পারেন? নিজের জীবন মালিকের জন্য নিবেদন করুন।
আপনি একজন মানব রোবট। আমরা মানবিকতা বর্জিত একটা সমাজে বাস করছি।
অবশ্য দমন বা নিপীড়নকে সমালোচনা করতে হয়। কিন্তু কাজের সময় লাগাতার যাওয়া আসা করাও একটি বাজে অভ্যাস যেটি ঠিক করা দরকার। কোন কারন ছাড়া এটি চারিদিকের পরিবেশকে অস্থির করে তোলে।
“আমি পুরো ব্যাপারটা জানি না। যতদুর যা হয়েছে তা ব্যাখ্যা করে দেখলে আমি দুইটা উপসংহারে পৌছাতে পারি- প্রথমত: কাজের জায়গা বার বার ছেড়ে যাওয়ার কারনে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা জানিয়েছেন এটি না ঘটে উপায় ছিল না। দ্বিতীয়ত: মালিক আর কর্মচারীর মধ্যকার সম্পর্ক চাকুরির চুক্তির মাধ্যমে শেষ হয়। এই সত্যটা তারা মানে না যে কর্মচারীরাও মানুষ যাদের মানবাধিকার নিয়ন্ত্রন করা যায় না, ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের মনে হয় যে কর্মচারীরা তাদের গোলাম।”
মনে হয় সিগারেট খাওয়ার কথা স্বপ্নেও ভাবা যাবে না…
সত্যি বলতে কি আমি বুঝতে পারি কেন এমন হয়েছে … টয়লেটে যাওয়ার নামে ঘুরে বেড়ানো, এই অজুহাত মালিক আর শুনতে চায় না। আমার মনে হয় যে সব কোম্পানিতে বেশী মহিলা কর্মচারী আছে সেখানে এই সমস্যা বেশী হয়।
কেন এই সমস্যা মহিলাদের বলে চিহ্নিত করা হচ্ছে?
অবশ্যই … আপনি কাজ করে আপনার সময় টয়লেটে ব্যায় করেন না। কে জানবে এটা? আপনি একজন কর্মচারী আর মালিক আপনার মুখের অন্ন যোগান দেন।
না, কর্মচারীরা পরিশ্রম করে মালিকদের মুখে অন্ন তুলে দেয়। নিয়ন্ত্রণকারী কর্তৃপক্ষ আর মালিকদের উচিত কর্মচারিরা যাতে ভালোভাবে কাজ করতে পারে সেই ব্যবস্থা করা।
এটা বাড়াবাড়ি।
আমার মনে হয় না যারা পরিশ্রম করে এটা তাদেরকে নিয়ন্ত্রণ করার একটি উপায়। যদিও কঠিন পরিশ্রম করলে নিজের ভালো হয়, কিন্তু বেশীর ভাগ লোক তাদের কাজের সময় ব্যয় করে এই চিন্তা করে যে কোম্পানি কি চিন্তা করছে। এই কারনে আমার মনে হয় কোম্পানি এই নিয়ম করেছে… এই প্রশ্ন করার আগে যে মুরগি আগে না ডিম আগে, চেষ্টা করা উচিত পরিশ্রম করে নিজের জীবন পাল্টানোর।
কোম্পানিতে সমস্যা আছে… কিন্তু কেউ ভাবছে না তাদের কেন এমন কাজ করতে হল… এটা এখন চিন্তা করেন।
1 টি মন্তব্য
sottie emon bhaba r prosno asche ki kore?