পূর্ব তিমুরে থাকা ব্লগাররা লিখেছেন আজ সকালে সেখানের প্রেসিডেন্ট হোসে রামোস হোর্তার উপর আততায়ী হামলা হয়েছে। ডিলিজেন্স ব্লগের ব্লগার লিখেছেন:
রাষ্ট্রপতির বাড়ির কাছে থাকে এমন একজন বন্ধু ( দিলির কেন্দ্র থেকে প্রায় ৫ কিলোমিটার দূরে) আমাকে সকাল ৭টায় ফোন করে বলেছে যে প্রায় ১৫ মিনিট ধরে বন্দুকের আওয়াজ পাওয়া যাচ্ছে। মনে হচ্ছে বন্দুক যুদ্ধ শুরু হয়েছে সকাল ৬:৩০ এর দিকে তবে সংঘর্ষ শুরু হয়েছে মনে হচ্ছে আরো আগে থেকে। আধ ঘন্টার মধ্যে নিরাপত্তা ব্যবস্থা বলবৎ হয়েছে আর এখন পর্যন্ত পরিস্থিতি সেরকমই আছে।
ডিলিজেন্স যে এলাকায় হামলা হয়েছে তার একটা ম্যাপ দিয়েছে।
জানানা রিপাব্লিক পরবর্তী ব্লগ যা এই ঘটনার কথা জানিয়েছে:
ফোন গুলো পাগলের মত বাজছে আর এসএমএস প্রচুর হচ্ছে। আমরা অসমর্থিতভাবে সকাল ০৭:৪৫ এর দিকে এই খবর পেলাম। কর্মীরা যখন কাজে আসল তাদেরকে বাড়ি পাঠিয়ে দিলাম।আমরা এখন সম্ভাব্য ফলাফলের জন্য অপেক্ষা করছি। যদি সত্যি সত্যি আলফ্রেদো মারা গিয়ে থাকে তাহলে আমরা ভাবছি যারা আলফ্রেদোকে মুক্তিযোদ্ধা ভেবে পুঁজো করে তাদের প্রতিক্রিয়া কি হবে।
যে “আলফ্রেদো” রিনাদোর কথা ব্লগার বলছেন তিনি একজন উচ্চ পদস্থ সেনা সদস্য যে পূর্ব তিমুরের সেনা বাহিনী ত্যাগ করেছিল যখন ৬০০ সৈন্যকে চাকুরি চ্যুত করা হয়। তার এই ত্যাগের কারন পূর্ব তিমুরের সেনাদের চাকুরি চ্যুত সেনা সদস্য আর বেকার যুবকদের উপর নির্যাতন করার প্রতিবাদ হিসেবে ছিল। তাকে ২৬ জুলাই গ্রেপ্তার করা হয়েছিল কিন্তু এক মাস পর সে জেল থেকে পালায়। অস্ট্রেলিয়ার কমান্ডোর সহায়তায় তাকে ধরার জন্য ২০০৭ এর শুরুতে একটা অভিযান করা হয়। এপ্রিল ২০০৭ এ তা বন্ধ করা হয় তার সাথে আলোচনা করার জন্য।
জানানা রিপাব্লিক পরে একটি তাজা খবর দিয়েছেন:
এখন পর্যন্ত আমরা শুনেছি যে যে.আর.এইচকে (হোসে রামোস হোর্তাকে) দুইবার গুলি করা হয়েছে, যার মধ্যে একটি তার পেটে লেগেছে। দিলিতে আইএসএফ হাসপাতালে হেলিপোর্টে তার অপারেশন হযেছে। তাকে ডারউইনে উন্নত চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হচ্ছে বা হবে।
তার বাড়ির উপর হামলা প্রসঙ্গে; আগে যা ভাবা হয়েছে , মনে হচ্ছে হোসে রামোস হোর্তার সকালের হাটার সময় হামলা করা হয়েছে। ৩০০ মিটার দূরে থাকা এক বন্ধু জানিয়েছে যে ০৬:৫০ থেকে বন্দুকযুদ্ধ হচ্ছিল। বিভিন্ন রেডিও সূত্র থেকে মনে হচ্ছে দুটি গাড়ি সামনে থেকে যাওয়ার সময় গুলি করেছে। রেডিও তিমুর লেস্তে জানিয়েছে যে আলফ্রেদো রিনাদো আসলেই গোলাগুলিতে মারা গিয়েছে কিন্তু সে আক্রমণকারী ছিল না বরং যে.আর.এইচ এর বাড়িতে সে অতিথি হিসেবে এক সপ্তাহ ছিল আর হামলার সময় ছুটে বেরিয়ে এসেছিল তা থামানোর জন্য।
এই লেখায় পূর্ব তিমুর এর রাজধানী দিলির পরিস্থিতি নিয়েও লেখা আছে। প্রেসিডেন্ট অষ্ট্রেলিয়ার ডারউইনের একটা হাসপাতালে আছেন, সংকটাপন্ন অবস্থায়।