গত ৩১ আগস্ট ছিল ১৯৮৮'র ইরানের রাজনৈতিক বন্দীদের গনহত্যার ১৯তম বার্ষিকী। খাভারানে অবস্থিত এই সব বন্দীদের নামহীন গনকবরে এসেছিল তাদের বন্ধু ও আত্মীয়স্বজনরা কারো সন্তান বা কারো ভাইবোনকে স্মরন করতে। বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠন যেমন হিউমান রাইটস ওয়াচ এ নিয়ে ইরানী সরকারের কাছে প্রতিবাদ করলেও তারা কখনই এই হত্যাযজ্ঞকে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকার করেনি। এইসব মৃতদের অনেকেই তাদের রাজনৈতিক কার্যকলাপের জন্যে বিপ্লবী কোর্টের পক্ষপাতিত্বমূলক বিচারের ফলে জেল খাটছিল। যদিও তাদের কেউই মৃত্যুদন্ডে দন্ডিত ছিল না।
বড় আয়াতুল্লাহ মন্তাজেরি যার বড় আয়াতুল্লাহ খোমেনীকে (ইসলামিক রিপাবলিকের ফ্রতিষ্ঠাতা) প্রতিস্থাপন করার কথা ছিল, তিনি একদা এই গনহত্যার প্রতিবাদ করেছিলেন। পরে ইসলামিক রিপাবলিকের হর্তা-কর্তাদের দ্বারা তাকে চুপ করানো হয়েছিল।
আজাদী-বি এই অনুষ্ঠানের ৩০টি ছবি প্রকাশ করেছে।
This album is powered by BubbleShare – Add to my blog
কুশতার ৬৭ (মানে ৮৮ সালের ৬৭টি হত্যা) বলছেন:
৮৮'র গ্রীষ্মের ওই রাজনৈতিক হত্যাকান্ডের পর ১৯ বছর অতিক্রান্ত হয়েছে। আমরা এখনও আশা করে আছি একদিন ট্রুথ কমিশন এ সম্পর্কে তথ্য উন্মোচন করবে এবং জনপ্রিয় ট্রাইবুনাল এই অপরাধের জন্য দোষীদের নিন্দা করবে।
আজারমেহর জানাচ্ছেন ওই হত্যাকান্ডের পূর্বে জেলে কি হয়েছিল:
ইরানী রাজনৈতিক বন্দীদের তিন মোল্লাবিশিষ্ট একটি হাস্যকর কোর্টের সামনে দাঁড় করানো হয়েছিল। বন্দীদের দুটি প্রশ্ন জিজ্ঞেস করা হয়েছিল। “তুমি কি আল্লাহকে বিশ্বাস কর?” আর “তুমি কি তোমার দল থেকে বের হয়ে যাবে?” বন্দীদের কোন ধারনাই ছিল না তাদের উত্তরের ফল কি হতে পারে। উক্ত দুই প্রশ্নের যে কোন একটির না বলার শাস্তি ছিল মৃত্যুদন্ড। এদের মধ্যে অনেক বন্দীদেরই সাজা শেষ হয়ে গিয়েছিল কিন্তু তাদের ছাড়া হয়নি। কাউকে কাউকে ছেড়ে দেয়ার পরও আবার ধরে আনা হয়েছে।
রোয়ে মাদারেহ জেন্দগি একটি ছবি প্রকাশ করেছেন এবং ১৯৮৮ সালের গনহত্যায় মৃতদের এবং তাদের স্বজনদের উদ্দেশ্য করে একটি কবিতা লিখেছেন। এই ব্লগার বলছেন:
এবং আমি জানি যে তোমরা ভুলে যাবে না
আমাদের ভাইদের পরিণতি
এত বছর পরে
কোন এক ঝড়ের রাতে তোমাদের মনে পড়বে
সেই রক্তাক্ত গ্রীষ্মের কথা
× উপরের ছবিটি গনহত্যার শিকারদের স্মরনে এসোসিয়েশন অফ পলিটিকাল প্রিজনারস ইন এক্জাইল প্রকাশিত একটি পোস্টার