পরাধীনতা পর্যবেক্ষক প্রতিবেদন: ভেনিজুয়েলা

ছবির সৌজন্যে অমেয়া নাগরাজন

গণমাধ্যম ও যোগাযোগ প্রযুক্তির সাথে কর্তৃত্ববাদী শাসকগোষ্ঠীর দীর্ঘদিনের একটা জটিল সম্পর্ক রয়েছে। গ্লোবাল ভয়েসেসের অ্যাডভক্স গবেষণা উদ্যোগ পরাধীনতা পর্যবেক্ষক জালের মতো বিস্তৃত বা ডিজিটাল কর্তৃত্ববাদের ক্রমবর্ধমান ঘটনাকে পরীক্ষা করে। এই অংশটি পরাধীনতা পর্যবেক্ষকের গবেষণা থেকে বেরিয়ে আসা ভেনিজুয়েলা সম্পর্কিত ধারাবাহিক প্রতিবেদনের নির্বাহী সারাংশ। এখানে সম্পূর্ণ প্রতিবেদনটি পড়ুন।

প্রচলিত ও স্বাধীন গণমাধ্যমের বিরুদ্ধে কঠোর সেন্সর ও আইনি কৌশল এবং ক্ষমতার বিচ্ছিন্নতাকে কার্যত অস্তিত্বহীনভাবে হ্রাস করার মাধ্যমে ২০০৭ সাল থেকে ভেনিজুয়েলায় গণতন্ত্র ও মত প্রকাশের স্বাধীনতাকে ব্যাহত করা হয়েছে। এই প্রেক্ষাপটে ডিজিটাল ও সামাজিক গণমাধ্যমের ভূমিকা হলো প্রিন্ট ও সম্প্রচার গণমাধ্যমে সরকারের আধিপত্যকে কাটিয়ে উঠতে এবং ভেনিজুয়েলার সরকার প্রতিষ্ঠিত সেন্সর এড়ানোর মৌলিক উপাদান।

তবে দমন-পীড়নের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্যে ডিজিটাল সরঞ্জামগুলির ব্যবহারের অনুষঙ্গ হয়েছে নাগরিকদের দমন করতে ডিজিটাল যোগাযোগের সরঞ্জামাদি ব্যবহারের ঘটনাটি। এটি “নেটওয়ার্কযুক্ত কর্তৃত্ববাদের” প্রভাব। সরকারের বিভ্রান্তিমূলক প্রচারণা, ইন্টারনেট অবরোধ এবং মাদুরোর সরকারকে তদন্তকারী বা মানবিক জরুরি অবস্থা সম্পর্কে কথা বলা সাংবাদিক ও সক্রিয় কর্মীদের বিচারিক নিপীড়নে ডিজিটাল গণমাধ্যমের ব্যবহারের মাধ্যমে তথ্যে প্রবেশাধিকার নিশ্চয়তা পূরণ করা হয়েছে। ইন্টারনেট অবরোধ ও ডিজিটাল গণমাধ্যমের সেন্সর সাংবাদিক ও মানবাধিকার সুরক্ষকদের প্রভাবিত করা ছাড়াও মতামত ও প্রকাশ্য আলোচনাকে নিয়ন্ত্রণ ও নীরব করে, মুক্ত ও বৈচিত্র্যময় চিন্তাধারার প্রসার, এবং ভেনিজুয়েলার শাসকগোষ্ঠীর কর্মকাণ্ডকে প্রশ্নবিদ্ধ ও প্রতিবেদন করা বিরোধী রাজনীতিবিদ, মানবাধিকার সুরক্ষক, মানবিক কর্মী,সক্রিয় কর্মী, রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব এবং সাধারণভাবে নাগরিকদের কাজকে বাধা দেয়।

আইনি ন্যায্যতা ছাড়াই নজরদারি, নাগরিকদের নির্বিচারে পর্যবেক্ষণ ও  নির্বাচনী ফলাফল পরিবর্তনের জন্যে প্রযুক্তির ব্যবহার ভেনিজুয়েলার রাজনৈতিক ও সামাজিক প্রেক্ষাপটকেও বদলে দিয়ে ভিন্নমতের কণ্ঠের নিপীড়ন ও অপরাধীকরণ কেন্দ্রিক একটি নজরদারি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করেছে।

ভেনেজুয়েলায় ডিজিটাল কর্তৃত্ববাদের মূল লক্ষ্যগুলির মধ্যে রয়েছে বিরোধী রাজনৈতিক কর্মীদের এবং ভিন্নমতাবলম্বী কণ্ঠের উপর দমন-নিপীড়ন, মাদুরোর সরকারের সমর্থনকে ন্যায্য প্রমাণ করার জন্য বিভিন্ন রকম অন্যায্য ও মিথ্যা তথ্য প্রচার বিতরণ এবং প্রযুক্তির ব্যবহারের মাধ্যমে এই ধরনের সমর্থনের সংখ্যাকে বাড়িয়ে বলার জন্য। এই অর্থে মাদুরোর সমালোচক ও সমর্থকদের মধ্যে পার্থক্য করতেও শনাক্তকরণ ব্যবস্থা ব্যবহার করা হয়েছে।

শ্যাভেজ ও মাদুরোর স্বৈরাচারী চর্চার বিরুদ্ধে যথেষ্ট রাজনৈতিক ও নাগরিক সমন্বয় থাকা সত্ত্বেও ২০০০ এর দশকের গোড়ার দিক থেকে ভেনিজুয়েলার ভিন্নমতাবলম্বী কণ্ঠস্বরকে মূলত উপেক্ষা করা হয়েছে। অবশ্যই লক্ষ করা দরকার নিরাপত্তা সংস্থা ও আইনী প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে সারাদেশে রাজনৈতিক ও নাগরিক উভয় কাঠামোই সমানভাবে কলঙ্কিত, অপরাধীকৃত এবং নির্যাতিত।

এখানে সম্পূর্ণ প্রতিবেদনটি পড়ুন।

পরাধীনতা পর্যবেক্ষক

গণমাধ্যম ও যোগাযোগ প্রযুক্তির সাথে কর্তৃত্ববাদী শাসকগোষ্ঠীর দীর্ঘদিনের একটা জটিল সম্পর্ক রয়েছে। গ্লোবাল ভয়েসেসের অ্যাডভক্স গবেষণা উদ্যোগ পরাধীনতা পর্যবেক্ষক জালের মতো বিস্তৃত বা ডিজিটাল কর্তৃত্ববাদের ক্রমবর্ধমান ঘটনাকে পরীক্ষা করে।

ভেনিজুয়েলা প্রতিবেদনের একটি পিডিএফ ডাউনলোড করুন

আলোচনা শুরু করুন

লেখকেরা, অনুগ্রহ করে লগ ইন »

নীতিমালা

  • অনুগ্রহ করে অপরের মন্তব্যকে শ্রদ্ধা করুন. যেসব মন্তব্যে গালাগালি, ঘৃণা, অবিবেচনা প্রসূত ব্যক্তিগত আক্রমণ থাকবে সেগুলো প্রকাশের অনুমতি দেয়া হবে না .