
রাজধানী লুয়ান্ডায় অ্যাঙ্গোলার যুবকদের বিক্ষোভ – ইউরো সংবাদ প্রতিবেদনের ইউটিউব (লেখকের নেওয়া পর্দাছবি)
আগস্টে নতুন রাষ্ট্রপতি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কয়েক মাস আগে অ্যাঙ্গোলায় মতপ্রকাশের স্বাধীনতা ক্রমশ সঙ্কটাপন্ন হচ্ছে। ২০২২ সালে প্রকাশিত প্রকাশিত মার্কিন স্বরাষ্ট্র বিভাগের প্রকাশিত মানবাধিকার প্রতিবেদন ২০২১ অনুসারে, অ্যাঙ্গোলা বেআইনি বা নির্বিচারে মৃত্যুদণ্ড, জোরপূর্বক নিখোঁজ, অমানবিক আচরণ এবং সংবাদপত্রের স্বাধীনতার উপর বিধিনিষেধের সময় অতিবাহিত করছে।
আরো উল্লেখ্য যে নতুন নির্বাচনী আইনটির বিরুদ্ধে সক্রিয় কর্মী ও বিরোধী দলগুলির ধারাবাহিক বিক্ষোভের পরে রাজধানী লুয়ান্ডায় আবারো নতুন করে বিক্ষোভ হয়েছে। তবে সেখানে আবার যা ঘটেছে তা হলো পুলিশ ৯ এপ্রিল তারিখের বিক্ষোভ অনুষ্ঠানে বাধা দেয় এবং তার আগে কিছু কর্মীকে গ্রেপ্তার করে।
Dde ontem q circula uma informação dando conta de mais uma aberração da máquina trituradora do @MPLAoficial: a detenção, à margem de uma manifestação da Laurinda Gouveia e DO SEU BEBÉ DE 6 MESES! A PNA n desmente essa detenção pelo q devemos assumir q é (sur)REAL!@jlprdeangola pic.twitter.com/MPol4OuUjc
— Luaty Beirão (@LuatyBeirao) April 11, 2022
গতকাল থেকে @এমপিএল আনুষ্ঠানিক দমন যন্ত্রের আরেকটি লঙ্ঘনের সংবাদ প্রচারিত হচ্ছে: একটি বিক্ষোভের পাশে দাঁড়িয়ে থাকা লরিন্ডা গউভিয়া এবং তার ৬-মাসের শিশুর গ্রেপ্তার! যেহেতু পিএনএ এই গ্রেপ্তারকে অস্বীকার করেনি তাই আমাদের অবশ্যই ধরে নিতে হবে এটি (পরা)বাস্তব!
আটকের বিরুদ্ধে প্রথম প্রতিক্রিয়াগুলির মধ্যে একটি এসেছে বিরোধী দল গণতান্ত্রিক ব্লক (বিডি) থেকে, যাতে বলা হয়েছে:
Estes ativistas cívicos foram presos, porque pretendiam dar início à uma manifestação contra a Indra (empresa selecionada para gerir o processo eleitoral) e pela libertação dos presos políticos, no dia 09 de abril, apesar desta ter sido convocada nos termos da Constituição e da Lei da Liberdade de Manifestação e as autoridades competentes terem sido atempadamente notificadas do facto.
নির্বাচনী প্রক্রিয়া পরিচালনা করার জন্যে নির্বাচিত কোম্পানি ইন্দ্রের বিরুদ্ধে এবং ৯ এপ্রিল তারিখে রাজনৈতিক বন্দীদের মুক্তির জন্যে একটি বিক্ষোভ শুরুর চেষ্টা করার জন্যে এসব সক্রিয় নাগরিক কর্মীদের গ্রেপ্তার করা হয়, যদিও সংবিধানের শর্তাবলী ও বিক্ষোভের স্বাধীনতার আইন অনুসারে তারা এটা করারা আগে উপযুক্ত কর্তৃপক্ষকে যথাসময়ে জানিয়েছিল।
বিভিন্ন সূত্র অনুসারে কোনপ্রকার আইনি সুরক্ষার অধিকার ছাড়াই বিক্ষোভকারীদের অবৈধভাবে গ্রেপ্তার করে কারাগারে রাখা হয়েছিল। কয়েকদিন পর ২২ জন কর্মীকে আদালতে হাজির করে সংক্ষিপ্তভাবে তাদের বিচার করা হয়, মানবাধিকার পর্যবেক্ষকের গবেষক জেনাইদা মাচাদো যেমন বর্ণনা করেছেন:
Angolan police hits a new low, in a country where the human rights record progress moves on step forward, then five backwards.
THIS is the type of environment and police behaviour that we don't want to see on a election year. https://t.co/0tzZIxtTTM— Zenaida Machado (@zenaidamz) April 11, 2022
অ্যাঙ্গোলার পুলিশ একটি নতুন অধঃপতন রেকর্ড করেছে – দেশটিতে মানবাধিকার রেকর্ড এক ধাপ এগুনোর সাথে সাথে পাঁচ ধাপ পিছিয়ে যায়।
নির্বাচনের বছরে আমরা এমন পরিবেশ এবং পুলিশি আচরণ দেখতে চাই না।
এছাড়াও আইনজীবী বিচার চলাকালে বিক্ষোভকারীদের সাথে যোগাযোগ চেষ্টা করার সময় রার পুলিশি হেনস্থার কথা জানিয়েছেন। ফলে ১৪ এপ্রিল তারিখে অবাধ্যতার অপরাধে শাস্তি হিসেবে দুই তরুণ কর্মীর ৪০ দিনের কারাদণ্ড এবং ৬০ হাজার কোয়ানজা (প্রায় ১২ হাজার টাকা) বিচারিক জরিমানার কথা ইতোমধ্যে সবাই জানে।
বাকি ২০ জন আসামিকে প্রমাণের অভাবে খালাস দেওয়া হয়। তবে অবাধ্যতার জন্যে দুই যুবককে জরিমানা করা হয়েছে বলে বিক্ষোভ আয়োজকদের মুখপাত্র ডনিটো কার্লোস দুঃখ প্রকাশ করেছেন।
Ficamos tristes quando vemos um juiz altamente instrumentalizado pelo regime maquiavélico a condenar os dois. Sabemos que são resistentes da liberdade de expressão.
ম্যাকিয়াভেলীয় শাসনে প্রভাবিত হয়ে একজন বিচারককে তাদের অভিযুক্ত করতে দেখে আমরা দুঃখিত। আমরা জানি তারা মত প্রকাশের স্বাধীনতা বিরোধী।
অন্যদিকে এই সক্রিয় কর্মী তরুণদের ভয় না দেখাতে সতর্ক করে দিয়ে রাজনৈতিক বন্দীদের মুক্তির জন্যে বিক্ষোভ অব্যাহত থাকার কথা ঘোষণা করেছেন।