২৩ মে ২০১৭ তারিখে একটি দল দক্ষিণ ফিলিপাইনের মিন্দানাও-এর মারাউয়ি সিটিতে হামলা চালায় যাদের বিরুদ্ধে আইএসআইএস-এর সম্পৃক্ততার অভিযোগ রয়েছে। এর জবাবে সরকার মিন্দানাও-এ সামরিক শাসন জারী করে যেন এই হামলার জবাব দিতে পারে এবং অন্য শহরে আইএসআইএস-এর যোদ্ধারা ছড়িয়ে পড়তে না পারে।
সামরিক বাহিনী এবং মাওয়ুতে নামে পরিচিত এই সশস্ত্র দলের মাঝে লড়াই-এর ফলে মারাউয়ির হাজার হাজার বাসিন্দা গণহারে গৃহত্যাগ করতে বাধ্য হয়েছে। ৭ জুন তারিখ পর্যন্ত ৪৬,০০০ পরিবার, অথবা ২২০,০০০ জন ব্যক্তি বাস্তুহারা হয়েছে। সরকার বলেছে তারা ৩৩টি আশ্রয় কেন্দ্র খুলেছে, কিন্তু এগুলোতে মাত্র ১৮,০০০ ব্যক্তি আশ্রয় নিতে পারে।
তিন সপ্তাহের এক রণক্ষেত্রে পরিণত হওয়া পর মারাউয়ির শত শত গৃহ ও অন্যান্য ভবন ধ্বংস হয়েছে। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ তখনি উন্মোচন হয় যখন উদ্ধারকারী দল, এলাকার বাসিন্দা এবং সাংবাদিকরা মারাউয়ি শহরের কেন্দ্রস্থলের ছবি এবং ভিডিও আপলোড করতে থাকে।
মাওয়ুতে দলের বিরুদ্ধে অভিযোগ তারা এই সকল ভবন ধ্বংস করেছে কিন্তু বিমান হামলার কারণে সামরিক বাহিনীও এর দায়ভার এড়াতে পারেনা। সামরিক বাহিনী দাবী করেছে যে তারা “সার্জিকাল বা বেছে বেছে বোমা হামলা” চালিয়েছে কিন্তু স্থানীয় কয়েকজন বাসিন্দা বলছে যে এলোপাথাড়ি ভাবে তার বিমান হামলা চালিয়েছে।
মারাউয়ির মেয়র মাজুল গানডামারা এই ভাবে শহর ধ্বংসের ঘটনায় বেদনার্ত:
যে সকল বেসামরিক নাগরিক নির্মম ভাবে নিহত হয়েছে তাদের জন্য, আমাদের যে সমস্ত নাগরিক গৃহ হারা হয়েছে তাদের জন্য, এবং যারা আমাদের জীবন এবং সম্পত্তি ধ্বংস করেছে তাদের ভেতর থেকে ইসলামের সত্যিকারের মর্মবাণী হারিয়ে যাওয়ার কারণে আমার হৃদয় থেকে কান্না ঝড়ে পড়েছে।
সরকারের হিসেব অনুযায়ী ৩০ মে তারিখ পর্যন্ত ১৯ জন নাগরিক সন্ত্রাসীদের হাতে নিহত হয়েছে।
যখন এই সঙ্কট উত্তরণের কোন সমাধান পাওয়া যাচ্ছে না তখন সাধারণ নাগরিকেরা এর কারণে সবচেয়ে যন্ত্রণাদায়ক পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। এমনকি যদি এই সংঘর্ষের খুব দ্রুত পরিসমাপ্তি ঘটে, তারপরেও সামরিক বাহিনী এবং সশস্ত্র গোষ্ঠীর মধ্যে লড়াই এর ফলে যে ক্ষয়ক্ষতির সাধন হয়েছে তার কারণে মারাউয়ির নাগরিকদের পু্নর্বাসনের বিষয়টি মোটেও সহজ হবে না।
নীচের কিছু ছবি এবং ভিডিও মারাউয়ির পরিস্থিতি তুলে ধরছে: