
ভারতের হিমাচল প্রদেশ রাজ্যের একটি ছোট্টো মুদির দোকান। চিত্রটি মাইকেল ফলির তোলা, ফ্লিকার থেকে সংগৃহিত। সিসি বাই-এসএ ২.০
বিশ্বের বৃহত্তম নগদ ভিত্তিক অর্থনীতিগুলির মধ্যে অন্যতম দেশ ভারত। গত বছর ৮ই নভেম্বরে ভারতে পাঁচশত এবং এক হাজার টাকা নোটের মুদ্রারহিতকরণের প্রভাবে অনেকেই প্রতিদিনের লেনদেনে ঘোর অসুবিধার সম্মুখীন হয়। এমন কি বর্তমানেও যেখানে সারা ভারতীয় মিডিয়া জুড়ে প্রচার করা হচ্ছে যে “নগদহীন গ্রামের” বিস্তার ঘটছে, সেখানে বাস্তবে কিছু প্রতিবেদন অনুসারে জানা যাচ্ছে যে পর্যাপ্ত পরিকাঠামোর অবর্তমানে গ্রামের লোকেরা লেনদেনে চূড়ান্ত অসুবিধার মুখোমুখি হচ্ছে।
২০১৬ সনের ৮ই নভেম্বর প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে ভারত সরকার ৫০০ (৭.৫০ মার্কিন ডলার) এবং ১০০০ টাকার (১৫.০০ মার্কিন ডলার) নোটগুলিকে বাতিল করে দেয়ার সাহসী পদক্ষেপটি নেয়। বাস্তবে যেগুলো তদানীন্তন মোট মুদ্রা প্রচলনের ৮৬ শতাংশ ভাগ ছিল। এ পদক্ষেপের পেছনে মোদী নেতৃত্বের মূল উদ্দেশ্য ছিল জাল নোট ব্যবহারের দ্বারা তথাকথিত সন্ত্রাসবাদ অর্থায়ন ও দেশে কালো টাকার বিস্তার প্রতিরোধ করা।
প্রক্রিয়াটি মোটেই পদ্ধতিগতভাবে প্রয়োগ করা হয়নি যার ফলে সারা দেশে অত্যন্ত রকমের বিশৃঙ্খলার পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়; বিশেষত গ্রামাঞ্চলগুলিতে যেখানে লোকজনেরা সাধারণত নগদে পরিশোধে নির্ভরশীল। যে সমস্ত পণ্যগুলির মানুষের দৈনন্দিন প্রয়োজন সেগুলির অধিকাংশই তারা নগদ অর্থের অভাবে কিনতে অক্ষম হন। ব্যবসায়ীরা তাদের পণ্যগুলির জন্য পারিশ্রমিক পাননি, কেনাকাটা স্থবির হয়ে যায় এবং তাদের কর্মীদেরও মাইনে দিতে পারেননি। কারণ পুরনো নগদ মুদ্রার পরিবর্তে দ্রুত নতুন নোটগুলির সময়মত পর্যাপ্ত সরবরাহ পাওয়া যায়নি। ফলস্বরুপ প্রতিদিনের প্রয়োজনের জন্য অর্থ উত্তোলনের জন্য ব্যাঙ্কের বাইরে দীর্ঘদিন আঁকাবাঁকা সারিতে লোকজনকে দীর্ঘসময় ধরে দাঁড়িয়ে থাকতে হয়। (গ্লোবাল ভয়েসেস-এর এই প্রতিবেদনটি দেখুন)
ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার তাদের এই পদক্ষেপটিকে অন্ধভাবে সমর্থন করার সাথে সাথে এও স্পষ্ট করে দেয় যে অত্যন্ত অসুবিধা যুক্ত এই মুদ্রা ঘাটতিটি বরং নগদহীন অর্থনীতির দিকে ভারতকে এগিয়ে যেতে অনুপ্রাণিত করবে।
নগদহীন গ্রামগুলির উত্থান
মুদ্রারহিতকরণের পরবর্তী সময় জুড়ে বেশ কিছু গ্রাম, ও পল্লিকে সদ্য “নগদহীন গ্রাম” বলে সরকার দ্বারা ঘোষিত করে দেওয়া হয়। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই, ব্যাঙ্ক তথা স্থানীয় কর্তৃপক্ষের সহায়তায় স্থানীয় এনজিওদের দ্বারা রূপান্তরটি বাস্তবায়িত হয়। উদাহরণস্বরূপঃ ১১ টার মতো প্রত্যন্ত গ্রামীণ এলাকা ইউনাইটেড ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া (ইউবিআই) কর্তৃক “নগদহীন গ্রামে” রূপান্তরিত করার জন্য একটি পাইলট প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে।
Dhasai village in Maharashtra is one of the few villages in India to go cashless. https://t.co/TuH0MkDZFX
— scroll.in (@scroll_in) December 18, 2016
মহারাষ্ট্রের ধসাই গ্রাম নগদহীন হওয়া ভারতের কয়েকটি গ্রামের মধ্যে একটি।
Amid chaos over cash, J'khand's tribal dominated Nuagram is going to be the first ‘cashless’ village by December 2016.@htTweets pic.twitter.com/iBmBIx6jIb
— Sanjoy Dey (@sanjoy_dey25) November 21, 2016
ডিসেম্বর, ২০১৬ নাগাদ ঝাড়খন্ডের আদিবাসী অধ্যুষিত নূরাগ্রাম নগদ অর্থের অভাবের মধ্যেই প্রথম “নগদহীন গ্রাম” হতে যাচ্ছে।
উল্লেখ্য, এই গ্রামগুলিকে নগদহীন ঘোষনা করে দেয়ার পূর্বে, গ্রামগুলিতে কিছু “পয়েন্ট অফ সেল মেশিন” লাগানো হয়, (পি.ও.এস), এটিএম কার্ড যুক্ত অধিক ব্যাঙ্কের খাতা খোলা হয় এবং কিছু মোবাইল ব্যাঙ্কিং অ্যাপ্লিকেশন যেমন পেটিএম এবং “রূ-পে” স্মার্ট ফোনগুলিতে ডাউনলোড করিয়ে দেয়া হয়।
বহু ব্যাঙ্ক, গ্রাহকদের তাদের স্থানীয় ভাষা কিম্বা ইংরেজীতে কিছু মৌলিক ব্যাঙ্কগত লেনদেন করতে সক্ষম করার জন্য এসএমএস ব্যাঙ্কিং প্ল্যাটফর্ম ও সফটওয়্যার সক্রিয় করছে।
India’s dream of a cashless economy is slowly turning into a reality. The SBI Colony in Nerul & Shirki village goes #Cashless. pic.twitter.com/PFhRbP5nLH
— State Bank of India (@TheOfficialSBI) February 17, 2017
ভারতের নগদহীন অর্থনীতির স্বপ্ন ধীরে ধীরে একটি বাস্তবতা হয়ে উঠেছে। এসবিআই কলোনির নেরুল ও শির্কী গ্রামগুলি ইতিমধ্যেই #নগদহীন হয়ে গিয়েছে।
#DigitalIndia2017
India’s cashless villages – The Times of India https://t.co/kIybFwl9J8 pic.twitter.com/9xvxj5Ewdg— Agent Crocus Sativus (@TripathiTweet28) January 3, 2017
দেশের “নগদ বিহীন” গ্রামগুলি – দ্য টাইমস অব ইন্ডিয়া
সমস্যাগুলি
মুদ্রারহিতকরণ হবার পূর্বে ভারতবর্ষে লেনদেনের সিংহভাগ (৯৫% ভাগ) নগদেই হতো। ৯০% বিক্রেতার নিকটে কার্ড পড়ার যন্ত্র উপস্থিতই ছিল না তথা ৮৫% শ্রমিকদেরকে নগদ-অর্থ প্রদান করা হতো। ডেবিট এবং ক্রেডিট কার্ডগুলি বেশিরভাগ শহুরে মধ্যবিত্ত শ্রেণীর লোকজনদের মধ্যেই সীমিত।
গ্রামীণ এলাকায় অধিকাংশেরই ব্যাঙ্ক খাতা নেই এবং অনলাইন লেনদেন এখনও এক প্রকারের দূরবর্তী স্বপ্ন, কারণ সেসব অঞ্চলে অনেক মানুষ এখনও লিখতে পড়তে জানেন না। (অধিকাংশ ব্যাঙ্কিং ওয়েবসাইটও কেবল ইংরেজি ভাষাতেই উপলব্ধ) — এখনও যথেষ্ট স্মার্টফোন নেই – জনসংখ্যার মাত্র ১৭% হার বর্তমানে স্মার্টফোন ব্যবহার করে – এবং ইন্টারনেট সংযোগগুলিও প্রায়শই ধীর এবং দরিদ্রদের জন্য ব্যয়বহুল।
কয়েকটি নির্দিষ্ট পরিষেবাগুলিতে প্রায় ১৪.৫ শতাংশ পরিষেবা-কর এড়াতে গ্রামীণ বণিকরা এবং গ্রাহকরা অন্যান্য পদ্ধতির অপেক্ষা নগদে লেনদেন বেশি পছন্দ করেন। মোবাইল দ্বারা টাকা দেওয়া-নেওয়ার প্রবণতা দেশ জুড়ে বৃদ্ধি পেলেও অনেকেই তা ব্যবহার করতে চাইছেন না।
নিউ দিল্লির একজন লেখক ও সম্পাদক মনিশঙ্কর প্রসাদ ফোর্বস পত্রিকা কে বলেন, “কোনো দেশ সম্পূর্ণ নগদহীন অবস্থায় যেতে পারে না” তথা ভারতের এই বিকল্প ব্যবস্থাগুলির প্রয়োজন সর্বসাধারণদের জন্য আরও প্রশিক্ষণ প্রদান করা।
Helping India Go Cashless: India's largest Lender SBI adopts Shirki village in Pen Taluka in Maharashtra #BenefitsOfNotebandi pic.twitter.com/In6xNH3cxA
— Sagar Khandelwal (@Khandelw13Sagar) January 15, 2017
ভারতকে নগদহীন করে তোলার সাহায্যেঃ ভারতের বৃহত্তম ঋণদাতা এসবিআই মহারাষ্ট্রের পেন তালুকে শির্কি গ্রামকে দত্তক গ্রহণ করলো। — সাগর খান্ডেলওয়াল
More than 500 JANDHAN account opening and a digital cashless training to the villagers organised by VESS India at Domri Village of Varanasi pic.twitter.com/fo1HiHhMsH
— Dr. Rajesh (@DrRajeshvess) January 12, 2017
বারানসির দমরি গ্রামে ভিএসএস ইন্ডিয়া কর্তৃক অনুষ্ঠানে ৫০০ জনের ‘জনধন’ খাতা খোলা হলো ও একটি ডিজিটাল নগদহীন প্রশিক্ষণ কর্মশালা আয়োজিত করা হলো — ডাঃ রাজেশ
দাবি, যেগুলি সত্য নয়
যদিও প্রাথমিকভাবে রূপান্তরের কিছু খবর প্রতিশ্রুতিপূর্ণ বলে মনে হয়, তবু পরবর্তীকালে গ্রামগুলির আদতে নগদহীন হয়ে যাবার কথা খণ্ডিত করে আরো বেশ কিছু প্রতিবেদন। একটি হিন্দুস্তান টাইমস প্রতিবেদন আবার একের পর এক গ্রামগুলিকে “নগদহীন গ্রাম” বলে ঘোষণা করে দেওয়ার প্রবণতাটিকে “খোশখেয়াল” বলে। তদন্তকারী প্রতিবেদনগুলি খুঁজে বের করে যে বেশিরভাগ দাবীগুলিই স্রেফ অপ্রযুক্ত।
“নগদহীন” ঘোষিত অনেক গ্রামেই, ইন্টারনেট কিম্বা বিদ্যুতের অভাবে নগদহীন লেনদেনের জন্য দরকারী বহু কার্ড মেশিন কাজ করে না। এমনকি যেগুলি কাজ করতো সেগুলিকেও স্থানীয় গ্রামবাসিন্দাদের “নগদহীন” লেনদেনের প্রতি বিশ্বাসের অভাবে, ব্যবহার করা যেতোনা। এসমস্ত গ্রামগুলিতে এটিএম মেশিনের অভাব ছিল এবং গ্রামের মানুষকে টাকা উত্তোলনের জন্য তাদের নিকটবর্তী শহরে হেঁটে যেতে হতো। এমনকি অতিরিক্ত মোবাইল ডেটা প্ল্যানগুলিও কিছু গ্রামবাসীদের কাছে ব্যয়বহুল বলে মনে হয়।
By transferring Rs5 digitally to 27 accounts, the District Collector declared Malappuram “first cashless tribal village”! Just incredible!!! pic.twitter.com/pytfVYFaP6
— M S Rana⚓ (@ms_rana) January 6, 2017
২৭ টি অ্যাকাউন্টে মাত্র ৫ টাকা স্থানান্তর করে জেলা কালেক্টর মালাপ্পুরমকে “প্রথম নগদহীন উপজাতীয় গ্রাম” বলে অভিহিত করেছেন! এটা অবিশ্বাস্য ছাড়া আর কিছু না!!! — এম এস রাণা
Claims of Rajasthan village becoming ‘cashless’ busted – Janta Ka Reporter https://t.co/CGnNoImcR2
— Rajasthan Travel New (@Rajasthan_News) January 6, 2017
রাজস্থানের একটি গ্রামের ‘নগদহীন’ হয়ে যাওয়ার দাবীগুলি বিলুপ্ত হয়ে উঠেছে – জন্তা কা রিপোর্টার
Pune: In ‘cashless’ village, only 50 per cent have ATM cards: About 25 kms from the main city of Pune, in Khed https://t.co/knEQPuSnP9
— The Currency Scene (@CurrenScene) January 4, 2017
পুনেঃ ‘নগদ বিহীন’ গ্রামে, মাত্র ৫০ শতাংশের এটিএম কার্ড রয়েছেঃ নিকটবর্তী প্রধান শহর পুনে থেকে প্রায় ২৫ কিলোমিটার দূরত্বে অবস্থিত খেদে
The Modi government called this village “cashless” as an example of the new India. Reality is quite different https://t.co/A8QZ7Ypck6
— Ajay Mehta (@ajaymehta) February 12, 2017
মোদি সরকার নতুন ভারতের উদাহরণ হিসাবে এই গ্রামটিকে “নগদহীন” বলে। বাস্তবতাটা যে বেশ ভিন্ন — অজয় মেহতা
“The vision of #Digital & #Cashless India in ‘SMART’ Jhattipur village is still far from real.” https://t.co/1uTrp45lg0
— Dr. Shahid Siddiqui (@shahidsiddiqui) February 19, 2017
“‘স্মার্ট’ ঝাট্টিপুর গ্রামে #ডিজিটাল এবং #নগদহীন ভারতের কল্পনা এখনও বাস্তব থেকে বহুক্রোশ দূরে।” https://t.co/1uTrp45lg0— ডাঃ শাহিদ সিদ্দিকী
কাশ্মীরের রাজধানী শহর শ্রীনগর থেকে ২৫ কি.মি. দূরে বস্থিত বুডগামের লানুরা গ্রামের লোকজনদের প্রশিক্ষণ লাভ করে ১৮ই ডিসেম্বর তারিখে গ্রামটি নগদহীন ঘোষণা করা দেয়া হয়। তবে পরে বিশ্লেষণ করে দেখা যায় যে সেই গ্রামে পর্যাপ্ত ইন্টারনেট সংযোগ এবং স্মার্টফোনের উপস্থিতি নেই।
India is supporting cashless economy, Now Lanura village in Jammu & Kashmir becomes cashless. #DigitalIndia2017 pic.twitter.com/pLaVw7Q9Xm
— Ashish Mishra pune (@aashish81us) January 3, 2017
ভারত নগদহীন আদান-প্রদান সমর্থন করছে, জম্মু ও কাশ্মীরের লুনুরা গ্রাম এখন নগদহীন হয়ে পড়েছে। — আশিস মিশ্র পুনে
পুরস্কার-প্রাপ্ত নাগরিক মিডিয়া সাইট ভিডিও ভলেন্টিয়ার্সে একজন সম্প্রদায় সংবাদদাতা রফিকা বানু একটি ভিডিও রিপোর্ট পোস্ট করেন, যেখানে লুনুরার স্থানীয়রা তাদের গ্রামকে “নগদ বিহীন” ঘোষণা করে দেয়ার নির্ণয়তে রীতিমত অবাক হন বলে স্বীকার করেন।
The village lacks basic facilities, like electricity infrastructure, water, metallic road and other amenities of life, says a villager, Ghulam Mohammad. The villagers are poverty stricken and a very few people use smartphones and internet. Locals are aghast over the announcement and demand a probe into the matter.
The district administration Budgam under its [declaration] released on its official website maintains that the ‘feat’ was achieved through “rigorous efforts by CSC e-Governance Services India Limited and National Informatics Centre (NIC) under the objective of Digital Financial Inclusion.” In the few shops scattered across this village, people could be seen doing cash transactions. Apparently, NIC Budgam’s District Informatics Officer has been awarded for this ‘achievement’ recently in New Delhi.
গ্রামের একজন বাসিন্দা গোলাম মোহম্মদ বলছেন, বিদ্যুৎ পরিকাঠামো, জল এবং ধাতব রাস্তার মতো জীবনের অন্যান্য মৌলিক সুযোগ-সুবিধা সেই গ্রামে নেই। গ্রামবাসীরা দারিদ্র্যপীড়িত এবং খুব অল্প সংখ্যক মানুষই স্মার্টফোন এবং ইন্টারনেট ব্যবহার করেন। স্থানীয়রা ঘোষণাটি নিয়ে বিভ্রান্ত এবং এই বিষয়ে তদন্তের দাবি জানায়।
বুদগাম জেলা প্রশাসন তার সরকারি ওয়েবসাইটে প্রকাশ করেছে যে “ডিজিটাল ফাইন্যান্সিয়াল অন্তর্ভুক্তির উদ্দেশ্যে সিএসসি ই-গভর্নেন্স সার্ভিসেস ইন্ডিয়া লিমিটেড ও ন্যাশনাল ইনফরম্যাটিক্স সেন্টার (এনআইসি) এর কঠোর প্রচেষ্টার মাধ্যমে” এই ‘কীর্তি’ টি অর্জন করা গেছে। এই গ্রামে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কয়েকটি দোকানে, লোকজনদের নগদেই কেনা কাটা করতে দেখা যায়। স্পষ্টতই, এনআইসি বুদগাম জেলার ইনফরম্যাটিক্স আধিকারিককে সম্প্রতি দিল্লিতে এই ‘মহৎ কর্মের’ জন্য ভূষিত করা হয়েছে।
যদিও অনেক দাবিই ১০০% সত্য নয় এবং গ্রামবাসীদের এখনও মূল বিষয়গুলি শেখা দরকার, কিন্তু তাও অল্পসংখ্যকই এটি অস্বীকার করবে যে নগদহীন অর্থনীতির উদ্দেশ্যে ভারত প্রথম পদক্ষেপ নিয়ে নিয়েছে। ‘ডিজিটাল ভিলেজ উদ্যোগের’ অংশ হিসেবে সরকার আগামী ছয় মাসে ১০৫০ টি গ্রামে বিনামূল্যে ওয়াইফাই সরবরাহের পরিকল্পনা করছে। আমরা ভারতীয় গ্রামগুলিকে সত্যি “নগদহীন” ডাকতে পারার আগে এরকমই আরো কিছু উদ্যোগ তথা একটি যুক্তিসঙ্গত সময়ের প্রয়োজন।