আট সন্তানের জননীর জীবন বদলে দিলো এক ব্লগ পোস্ট

A single blog post changed the life of this Somali mother of 8. Photo by Somali Faces (Donia and Mohammed). Used with permission.

সোমালিয়ার এই মায়ের আট সন্তান। একটি ব্লগ পোস্ট তার জীবন বদলে দিয়েছে। ছবি কৃতজ্ঞতা: সোমালি ফেইসেস। অনুমতি নিয়ে ব্যবহার করা হয়েছে।

গত মে মাসের ১ তারিখের ঘটনা। সোমালি ফেইসেস নামের একটি ওয়েবসাইটে একজন নারীর জীবনকাহিনি প্রকাশিত হয়। সোমালিয়ার বাস্তুচ্যুত ওই নারীর আট শিশু সন্তান রয়েছে। তবে তারা কেউ-ই স্কুলে যায় না।

সংখ্যালঘু সোমালি সম্প্রদায়ের হওয়ার কারণে ওই মহিলা ইতোমধ্যে নানা নিপীড়নের শিকার হয়েছেন। নিপীড়নের শিকার হওয়ার প্রধান কারণ গায়ের রঙ। তার গায়ের রঙ ঘন কৃষ্ণ বর্ণের। তিনি আত্মহত্যার করার কথাও ভেবেছিলেন।

Sometimes I’m treated like a foreigner in my own country, like I don’t belong here. I’m a single mother of 8 and none of my children are at school. I clean houses whilst carrying the child I’m carrying now. The rest of my children look for any type of work that they can find. I know it’s a hard life and it’s not easy but what makes it so much harder and at times unbearable is how people treat me and my children. I sometimes feel like I’m in an ocean of people whose hearts are made of stone. Many discriminate against me because of my very dark skin colour. I tell them, that’s how God created me and I can’t change it. Either they reject me because I’m from a minority clan or because of my skin colour. Sometimes, I contemplate whether death is better for us than living in a wretched life.

মাঝে মাঝে মনে হতো আমি বোধহয় এই দেশের মানুষ না। বিদেশী। আমি আট বাচ্চার মা। স্বামী নেই। বাচ্চারা কেউ-ই স্কুলে যায় না। সন্তান কোলে নিয়েই আমি ঘরদোর পরিষ্কার করি। এখন যেমন করছি। আমার অন্য সন্তানেরা কাজ খুঁজে বেড়াচ্ছে। যেকোনো ধরনের কাজ পেলেই তারা তা করবে। আমি জানি এটা খুব কষ্টের জীবন। তবে আমার সাথে, আমার সন্তানদের সাথে যে আচরণ করা হয়েছে, তা আরো কঠিন। কখনো কখনো মনে হয়, আমি বুঝি সাগর পাড়ের মানুষ। আর আমার হৃদয় পাথরে তৈরি। গায়ের রঙের কারণে আমি অনেক বৈষম্যের শিকার হয়েছি। আমি তাদের বলেছি, আল্লাহ আমাকে এমন করে বানিয়েছে। আমি তো এটা পরিবর্তন করতে পারবো না। তারা আমাকে দূর দূর করে তাড়িয়েছে, হয় আমার সম্প্রদায়ের কারণে অথবা আমার গায়ের রঙের কারণে। মাঝে মাঝে মনে হয় এমন দুর্বিষহ জীবন যাপনের চেয়ে মৃত্যুই ভালো।

এই গল্প শুনে ব্লগের পাঠকেরা তার জন্য তহবিল সংগ্রহ করেন। মাত্র ২১ ঘণ্টার মধ্যে ৪ হাজার ডলার ওঠে।

অর্থসাহায্য তোলার পরে সোমালি ফেইসেস লিখে:

Your donations changed her family’s life. Because of you, she will have her own shop, her house will be repaired and she told us that with the money she will be making, she can easily pay for her children’s education. You couldn’t conceal her smile and happiness, at times; she had difficulty getting the words out. Never in a million years did she imagine that she would receive this amount of money. A week ago, she was discriminated against, hopeless and penniless and now, she has a continuous source of income for her family. We thank each every one of you for your unrelenting generosity and efforts to change this mother’s life. Somali Faces made sure that every dollar you sent was spent towards her family and we were involved every step when it came to the materials and how the money will be managed. We would like to thank Tadamun Social Society (TAAS) for their tremendous help. We will be monitoring her progress and will provide you with a video update 3 to 6 months from now on how her and her beautiful children are doing.

আপনার দেয়া অর্থ সাহায্য তার জীবন বদলে দিয়েছে। আপনার কারণেই সে একটি দোকানের মালিক হতে যাচ্ছে। ভাঙ্গা ঘরদোরের সংস্কার হচ্ছে। সে আমাদের বলেছে, আপনারা যে অর্থ দিয়েছেন, তা দিয়ে সে সন্তানদের স্কুলের খরচও মেটাতে পারবে। এই সময়ে তার চোখেমুখে হাসি-খুশির যে ঝিলিক দেখা গেছে, তা বলার নয়। আবেগে তার কণ্ঠ বুজে এসেছিল। সে এতোগুলো টাকা পাবে, তা কখনো ভাবতে পারেনি। মাত্র এক সপ্তাহ আগে সে ছিল বৈষম্যের শিকার হতাশ, কর্পদকহীন একজন মানুষ। আর এখন নিয়মিত অর্থের জোগান হয়ে গেছে। একজন মায়ের জীবন বদলে দেয়ার ভূমিকা রাখার জন্য আমরা আপনাদের প্রত্যেককে ধন্যবাদ জানাই। সোমালি ফেইসেস আপনাদের নিশ্চিত করছে, আপনার দেয়া সমুদয় অর্থ ওই নারীর জন্যই ব্যয় করা হচ্ছে। এই অর্থ কীভাবে পরিচালিত হচ্ছে, আমরা তা ধাপে ধাপে অনুসরণ করবো। অভাবনীয় সাহায্য করার জন্য টাডামুন সোশ্যাল সোসাইটিকে ধন্যবাদ। এই টাকা খরচ করে কীভাবে তার উন্নতি হচ্ছে তা আমরা পর্যবেক্ষণ করবো। আর এখন থেকে প্রতি ৩-৬ মাস অন্তর অন্তর আপনাদের ভিডিও আপডেট দিবো।

সোমালি ফেইসেস একটি অনলাইন প্রজেক্ট, যেখানে সারাবিশ্বে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা সোমালিয়ার সাধারণ মানুষের প্রতিদিনের গল্প তুলে ধরে। এই প্রজেক্ট দু’জন উদ্ভাবনী শক্তিসম্পন্ন মানুষের ভাবনা থেকে এসেছে। এদের একজন হলেন গল্পকার, মানবাধিকাকর্মী, প্রচারাভিযানকারী দোনিয়া জামাল অ্যাডাম। আরেকজন হলেন লেখক, ঐতিহাসিক মুহাম্মদ ইব্রাহীম সায়ার

আলোচনা শুরু করুন

লেখকেরা, অনুগ্রহ করে লগ ইন »

নীতিমালা

  • অনুগ্রহ করে অপরের মন্তব্যকে শ্রদ্ধা করুন. যেসব মন্তব্যে গালাগালি, ঘৃণা, অবিবেচনা প্রসূত ব্যক্তিগত আক্রমণ থাকবে সেগুলো প্রকাশের অনুমতি দেয়া হবে না .