“মোহাম্মদ আলী কি মারা গেছেন”? আমার স্বামী কামরানের কাছে খবরটি আসা মাত্র তিনি চোখ তুলে তাকালেন। “আমি তাঁকে একজন নায়ক মনে করি। তিনি আমার কাছে একজন দেবতার মত”।
মোহাম্মদ আলী যে প্রজন্মের মানুষকে স্পর্শ করেছেন তাঁরা হয়তোবা তাঁদের শোক প্রকাশের জন্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নেই। কিন্তু তাঁরা তাঁদের বাড়ির বসার ঘর, বেতার এবং টেলিভিশন কিংবা বন্ধুদের সঙ্গে কথোপকথনে তাঁকে স্মরণ করছেন।
১৯৬৪ সালে তাঁর ইসলাম ধর্ম গ্রহণ এবং ভিয়েতনামে খেলায় অংশ নিতে অস্বীকৃতি জানানোর ঘটনাটি তাকে মুষ্টিযুদ্ধের মতোই একজন আন্তর্জাতিক ব্যক্তিত্বে পরিণত করেছিল।
মোহাম্মদ আলী একজন সেতু ব্যক্তিত্ব। তিনি ছিলেন একটি বৈশ্বিক কণ্ঠস্বর। তাঁকে এভাবে সম্মান জানানো গ্লোবাল ভয়েসেস সম্প্রদায়ের জন্য অত্যন্ত মহৎ একটি কাজ।
যারা মোহাম্মদ আলী সম্পর্কে জানার ক্ষেত্রে বয়সে খুব তরুণ, তাঁরা তাঁদের বাবা-মা অথবা দাদা-দাদি অথবা চাচা বা খালাকে জিজ্ঞাসা করতে পারেন। তাঁরা মোহাম্মদ আলী সম্পর্কে কতোটুকু মনে করতে পারেন?
দয়া করে সেই গল্পগুলো শেয়ার করুন। আমরা সেগুলো একটি পোস্টে এবং (হয়তোবা) গ্লোবাল ভয়েসেস ভিডিওতে শেয়ার করবো।
এই কার্যক্রম আমরা একটি গল্পের মাধ্যমে শুরু করছি। গল্পটি কামরানের। মোহাম্মদ আলী যখন ক্যাসিয়াস ক্লে থেকে নাম পরিবর্তন করে মোহাম্মদ আলী হয়েছেন তখন কামরান একটি ছোট শিশু ছিলেন।
“মোহাম্মদ আলী ১৯৬৪ সালে যখন মুসলিম হলেন তখন একদিন তাঁর কথা শোনার জন্য মাঝ রাতে আমার বাবা সবাইকে ঘুম থেকে ডেকে তুললেন। তবে তিনি তখন কোন ধর্ম গ্রহণ করেছেন তা আমরা বিবেচনা করিনি। আমরা তাঁকে দেখতে ভালবাসতাম। আলীর মুখে ফার্সি কথাগুলো শুনতে বেশ ভাল লাগতো। তাঁর কথা বলার ভঙ্গি ভাল লাগতো। ছোটবেলায় আসলে আমরা তাঁর কথাগুলো বুঝতাম না। তবে তাঁর বলার ভঙ্গি দেখতে পেতাম। যেমন তিনি বলেছেন কেন তিনি মুসলমান হয়েছেন অথবা যুদ্ধের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছেন। আমরা আসলেই তা বুঝতাম না। তবে তিনি যেভাবে দাঁড়াতেন, যেভাবে নিজেকে তুলে ধরতেন তা দেখতাম। যেন তিনি একেবারেই অলঙ্ঘনীয়। তিনি একজন নায়ক ছিলেন। আর সে কারনেই তিনি আমাদেরও নায়ক হয়েছেন। যদিও আমরা তেমন ধার্মিক ছিলাম না তথাপি তিনি আমাদের কাছে একধরনের বিপ্লবের স্মারকে পরিণত হয়েছিলেন”।
1 টি মন্তব্য
very memorable