
“ফ্যাশন বদলে গেছে, কিন্তু আপনি এখনো আমার হিরো হয়ে আছেন” সারায়েভোর ডেভিড বোয়ি’র ম্যুরালে এমন বাণী উৎকীর্ণ রয়েছে। ছবি তুলেছেন ফিলিপ স্টয়ানোভস্কি। সিসি বাই লাইসেন্সের আওতায় প্রকাশিত।
গত ২৮ মে একদল শিল্পী বসনিয়া ও হার্জেগোভিনার রাজধানী সারায়েভো শহরে ডেভিড বোয়ি’র বিশালাকৃতির ম্যুরাল উদ্বোধন করেছেন। সংগীতশিল্পী ডেভিড বোয়ি বসনিয়ার যুদ্ধের সময়ে মানবিক সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছিলেন। তার স্মরণেই এই ম্যুরাল চিত্র আঁকা হয়েছে।
সারায়েভো বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে এক পুরোনো ভবনের দেয়ালে বোয়ি’র ম্যুরাল আঁকা হয়েছে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অংশ নেয়া এক লেখক নিজেকে টিম বোয়ি সারায়েভো পরিচয় দিয়ে অনুষ্ঠানে আগত দর্শকদের টি-শার্টে বোয়ি’র লোগো’র প্রতিলিপি এঁকে দিয়েছেন।
স্থানীয় বার্তা সংস্থা ক্লিক্স.বিএ-এর মতে, ডেভিড বোয়ি’র এই ম্যুরাল পৃথিবীর মধ্যে সবচে’ বড়। ম্যুরালের উচ্চতা ১৩ মিটার, আর প্রস্ত ১০.৫ মিটার।
তাদের এই দাবির সত্যতা যাচাই করা কঠিন। তবে এনএমই সাময়িকী ডেভিড বোয়ি’র প্রতি শ্রদ্ধাস্বরূপ সারা পৃথিবীর যে ১৩টি স্ট্রিট আর্টের তালিকা প্রকাশ করেছে, সেগুলোর মধ্যে এটি বড় বলেই মনে হয়।

সারায়েভোর ডেভিড বোয়ি ম্যুরালের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে আগত সাধারণ মানুষ। ছবি তুলেছেন কাটারিনা ভুকোভিক। সিসি বিওয়াই লাইসেন্সের আওতায় প্রকাশিত।
১৯৯২-১৯৯৫ সালে যুদ্ধের সময়ে সারায়েভো অবরুদ্ধ ছিল। সে সময়ে বোয়ি সেখানকার অবরুদ্ধ বাসিন্দাদের জন্য মানবিক সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছিলেন।
টিম বোয়ি সারায়েভো দলে ছিলেন জনপ্রিয় রক ব্যান্ড বিলি আনডলের সদস্য ভেডাড ট্রিবোনজা, বিশ্ববিখ্যাত মার্বেল কমিকস আর্টিস্ট আনেস সিসিক, গ্রাফিক্স ডিজাইনার ও পেইন্টার যোরান হারসেগ ছাড়াও মনসুর ডামির, আলেক্সজান্ডার ব্রেজার এবং আদনান চোমর।
উদ্যোক্তারা জানিয়েছেন, ডেভিড বোয়ি একজন অন্যতম শ্রেষ্ঠ শিল্পী। তিনি আজ আমাদের থেকে চলে গেছেন। আমরা কেউই তার কোনো কনসার্টে উপস্থিত থাকতে পারিনি। আজ তার প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে আমরা এই আয়োজন করেছি।
এই প্রজেক্টের প্রতি ভালোবাসা জানাতে বারায়েভোর বাসিন্দারা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সারায়েভোবোয়ি হ্যাশট্যাগ ব্যবহার করে নানা ধরনের মন্তব্য করছেন।
ম্যুরাল এমন একটি জায়গায় করা হয়েছে, যুদ্ধের সময়ে যে এলাকা যুগোস্লাভ পিপলস আর্মির সবচে’ বড় ব্যারাক হিসেবে পরিচিত ছিল।
বসনিয়ার যুদ্ধের পরে এ জায়গাটির কিছু অংশ একটি বিশ্ববিদ্যালয় ব্যবহার করে। আর কিছু অংশে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাস স্থাপন করা হয়েছে। ভবনটির যে অংশটুকু বিশ্ববিদ্যালয় ব্যবহার করে, সেইটুকু শুধু সংস্কার করা হয়েছে। বাকি অংশ গোলাবারুদের ক্ষত নিয়ে তেমনই আছে। তবে বোয়ি’র ম্যুরালের পাশে নানা ধরনের আরো গ্রাফিতি ছড়িয়ে রয়েছে।

সারায়েভো বিশ্ববিদ্যালয়ের অংশবিশেষ। ছবি তুলেছেন ফিলিপ স্টোজানোভস্কি। সিসি বিওয়াই লাইসেন্সের আওতায় প্রকাশিত।

সারায়েভো বিশ্ববিদ্যালয়ের অংশবিশেষ। ছবি তুলেছেন ফিলিপ স্টোজানোভস্কি। সিসি বিওয়াই লাইসেন্সের আওতায় প্রকাশিত।