
ছবি সম্পাদনা কেভিন রুথরকের।
টুইটার তার সাম্প্রতিক স্বচ্ছতা প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে যেখানে দেখা যাচ্ছে যে এই কোম্পানির জুলাই ২০১৪-এ প্রকাশিত পূর্বের প্রতিবেদন থেকে সম্প্রতি প্রকাশিত এই প্রতিবেদনে ব্যবহারকারী সম্বন্ধে তথ্য জানতে চেয়ে আসা সরকারি অনুরোধের সংখ্যা ৪০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। টুইটার বলছে এখন সে সারা বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে আগের চেয়ে বেশী এই অনুরোধ লাভ করছে,কিন্তু এ ক্ষেত্রে তিনটি দেশ অন্য “সবার চেয়ে আলাদা”, যারা হচ্ছে তুরস্ক, যুক্তরাষ্ট্র এবং রাশিয়া। টুইটার এই প্রতিবেদন বলছে “রাশিয়াতে এমন দিন ছিল যেদিন ব্যবহারকারী সম্বন্ধে তথ্য চেয়ে কোন অনুরোধ আসত না,সেখান থেকে এখন এই সম্বন্ধে তথ্য চেয়ে দিনে ১০০-এর বেশী অনুরোধ আসে। এই সকল অনুরোধের বিপরীতে আমরা কোন ধরনের তথ্য সরবরাহ করিনি।
“বিশ্বের সকল দেশের সাথে কাজ করে এমন প্রতিষ্ঠান (গ্লোবাল গভার্নমেন্ট যেমন জাতিসংঘ) এবং টুইটার থেকে রাশিয়ার উপর আরোপিত অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা সম্বলিত বিষয়বস্তু মুছে ফেলার দাবী” জানানোর ক্ষেত্রে রাশিয়ার অবদান ৮৪ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। জুলাই ২০১৪ থেকে এ পর্যন্ত টুইটারে ধরনের ৯১টি অনুরোধ জমা দেওয়া হয়। টুইটারের এই প্রতিবেদনে আরো জানানো হয় যে “অনুরোধের ক্ষেত্রে অবৈধ মাদক বিক্রির প্রচারণা থেকে শুরু করে অহিংস বিক্ষোভ আন্দোলন দমনের মত বিষয়ও রয়েছে”। তারা সাথে আরো যোগ করেছে “এই সব ক্ষেত্রে আমরা ১৩ শতাংশ অনুরোধ প্রতিপালন করেছি। রুশ সরকারের বেশ কয়েকজন জনপ্রিয় সমালোচনাকারী এবং ইউক্রেনে অহিংস আন্দোলনের ক্ষেত্রে বাকস্বাধীনতা সীমাবদ্ধ করে দেওয়ার মত অন্য সব দাবী আমরা অগ্রাহ্য করেছি”।
২০১২ সাল থেকে টুইটার স্বচ্ছতা প্রতিবেদন প্রকাশ করা শুরু করেছে। তারপর থেকে অন্য ৩০টি প্রখ্যাত কোম্পানি এই কাজটি অনুসরণ করছে। আজ দিনের শুরুতে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে টুইটার বলছে যে “বিশেষ করে সরকারের নজরদারির বিষয়ে ক্রমে বাড়তে থাকা উদ্বেগের কারণে, প্রতিষ্ঠানের আভ্যন্তরীণ বিষয়াবলী সবার সামনে তুলে ধরা সঠিক এক কাজ”।