২০১১ সালে এই এ্যাপসের যাত্রা শুরু, যখন প্রোগ্রামার ইউজেনিয়া টিসেল্লিমোবাইলের এই এ্যাপস নিয়ে কাজ করা শুরু করে। এর আগে টিসেল্লি সে আট বছর মেগাফোন প্রকল্পের সাথে যুক্ত ছিল, যে প্রকল্পের উদ্দেশ্য ছিল একাধিক সম্প্রদায়ের জন্য ডিজিটাল কাহিনী সরবরাহ করা। বর্তমান এই প্রকল্পের ক্ষেত্রে টিসেল্লি একে অন্যের মাঝে এবং আরো বিস্তৃত এক জনতার কাছে নিজেদের কাহিনী, সংস্কৃতি এবং জ্ঞান তুলে ধরতে ইচ্ছুক একটি দলের জন্য টুলস সরবরাহ করতে এবং এই বিষয়ে সহায়তা করতে সমর্থ হয়েছে।
রাইজিং ভয়েসেস কে প্রদান করা এক ইমেইল সাক্ষাৎকারে,টিসেল্লি জোর দেন যে ওজোভোজ কেবল এক প্রযুক্তি নয়, বরঞ্চ জ্ঞানের এক সম্মিলিত প্রক্রিয়া। এমনকি যদিও তারা প্রযুক্তিগত উপাদানের তারা মাঝে অবস্থান করছে, কিন্তু সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে সহ-অবস্থান এবং পরস্পরের সামনাসামনি সাক্ষাৎ যা এই প্রকল্পের গতিশীলতার এক অংশ হিসেবে তৈরী হয়েছে।
বিগত কয়েক বছরে ওজোভোজ এ্যাপস তানজানিয়া, কলম্বিয়া, এবং মেক্সিকোর মত নানাবিধ স্থানে সমপ্রদায়ের প্রকল্পে এক বিশেষ ভূমিকা পালন করেছে”। এ রকম বেশ কিছু উদাহরণ রয়েছে যেখানে দেখা গেছে কি ভাবে সম্প্রদায়সমূহ মোবাইল ব্যবহারের মাধ্যমে নিজেদের কাহিনী তুলে ধরার উদ্দেশ্যে নিজেরা সংগঠিত হচ্ছে।
সায়ুতি ইয়া ওয়াকুলিমা( কৃষকদের কণ্ঠস্বর) হচ্ছে এক যৌথ উদ্যোগ যেখানে তানজানিয়ার বাগামোয়া জেলার চাম্বেজি অঞ্চলের কৃষকরা তাদের বিদ্যমান জ্ঞান সংরক্ষণের এক উপায় হিসাবে কৃষি কাজের বিভিন্ন তথ্যের নথি তৈরীর জন্য ছবি তুলছে এবং এই বিষয়ে তাদের আলোচনা রেকর্ড করছে।
এই কন্টেন্ট-এ প্রবেশের জন্য ছবিতে ক্লিক করুন।
মারিয়াম একজন কাসাভা চাষী এবং তিনি এই শস্য সম্বন্ধে তিনি আমাদের কাছে কিছু বিষয় ব্যাখ্যা করছেন। তিনি বলছেন যে আগের সময়ের চাষের সাথে যদি তুলনা করা যায়, তাহলে দেখা যাচ্ছে এখন অনেক উন্নত উপায়ে চাষ করা হচ্ছে, তাদের কাছে উন্নতমানের বীজ রয়েছে এবং তারা জানে কি ভাবে সারিতে চারা রোপন করতে হয় এবং আগাছা তুলে ফেলতে হয়। এলাকায় কৃষি কর্মকর্তা পাঠানোর জন্য মারিয়ম সরকারের কাছে কৃতজ্ঞ, একই সাথে সে বিনিয়োগকারীদের ধন্যবাদ জানাচ্ছে,যেহেতু তারা এখন কাসাভা থেকে আটা তৈরী করতে পারে, তারা যথেষ্ট পরিমাণ শস্য উৎপাদন করতে এবং অন্যদের কাছে তা বিক্রি করতে পারে, কাজে এটা একটা ভাল উন্নয়ন। তারা দার-এস সালাম-এর ব্যবসায়ীদের কাছে কাসাভার আটা বিক্রি করতে পারে। অতীতে এখনকার তুলনায় তারা খুব সামান্য শস্য জন্মাতে পারত। সে আশা করছে যে যদি আগামী পাঁচ বছর পরিস্থিতি একই থাকে, তাহলে সে কৃষি থেকে প্রাপ্ত অর্থ দিয়ে সে এক বাড়ি বানাবে।
লস ওজোস ডে লা মিলাপা ( মিলাপার চোখ) আরেকটি যৌথ উদ্যোগ যা মেক্সিকোর ওয়াক্সাকার সিয়েরা নোর্টের পাহাড়ে বাস করা সম্প্রদায়ের বয়োজ্যেষ্ঠদের বলা কাহিনী সংরক্ষণের উদ্দেশ্যে গ্রহণ করা হয়েছে, মেক্সিকো এবং মধ্য আমেরিকার কিছু অংশে মিলপা নামের এক শস্য উৎপাদন পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়, প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে, কোন ধরনের সার কিংবা অন্য কোন প্রযুক্তির ব্যবহার ছাড়াই কৃষকেরা এই পদ্ধতিতে চাষ করে আসছে। এই প্রকল্পের কন্টেন্ট স্প্যানিশ, ইংরেজি এবং আয়ুজক (মেক্সিকোর এক আদিবাসী জনগোষ্ঠীর ভাষা) লেখা হয়।
এই কন্টেন্ট-এ প্রবেশের জন্য ছবিতে ক্লিক করুন।
Yïte’n ëëts mïku’uk ïxaa nyïkwä’ätsy yë tsapajkx jïts yë ujts yïktäjjë’kkixy jïts jïtïn wä’äts yyo’nt, jïts yë pyijyu’nk yë’ tpëkt xaa të yïkkukeepy jïts yä’ät wyä’ätst jatïkoojk.
আর এভাবে আমরা পীচ ফলের গাছ পরিষ্কার করি। সকল আগাছা পরিষ্কার করা প্রয়োজন, যাতে সেগুলো কোন কিছুকে ভালভাবে বেড়ে উঠতে বাঁধা না দেয়। কিছু মরা ডাল ছেটে দেওয়া হয়, যেন গাছে ঠিকমত ফুল ধরে, যেগুলো আবার জন্মাবে।
এ্যাপটির ক্ষেত্রে ফ্রি এবং ওপেন সোর্স মনোভাব গ্রহণ করায় তা এটির উন্নয়নে এক গুরুত্ব পূর্ণ ভূমিকা পালন করে। টিসেল্লি উল্লেখ করেছে যে কলম্বিয়ার একদল প্রোগ্রামার শব্দ ধারণ ও ছবি তোলার সুবিধার সাথে সাথে এই এ্যাপসে ভিডিও রেকর্ডিং করার সুবিধা যুক্ত করেছে।
ওজোভোজ, এই প্রকল্পকে প্রযুক্তিগত সহায়তা প্রদান এবং ছবি আপলোড করার জন্য সাইটের সার্ভারে সাময়িক ভাবে জায়গা প্রদান করে এর জন্য অনুকূল পরিবেশ তৈরীতে এক সক্রিয় ভূমিকা পালন করেছে। এই এ্যাপসটি ডাউনলোড এবং চালু করতে এবং এ সংক্রান্ত আরো তথ্যের জন্য ওজোভোজ এর ওয়েবসাইটে প্রবেশ করুন, সেখানে কি ভাবে এই এ্যাপসটির ব্যবহার করবেন সে বিষয়ে স্প্যানিশ ভাষায় একটি সংক্ষিপ্ত ভিডিও টিউটোরিয়াল রয়েছে।