সাক্ষাৎকার: নেটফ্লিক্স/ ইউনেস্কোর পুনর্কল্পিত আফ্রিকীয় লোককাহিনী চলচ্চিত্রায়ন

A promotion poster for the premier of African Folktales, Reimagined - short films by Netflix & UNESCO

নেটফ্লিক্স ও ইউনেস্কোর ছয়টি স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র – নতুন করে কল্পনা করা আফ্রিকীয় লোককাহিনীর আত্মপ্রকাশের প্রচারণামূলক পোস্টার। অনুমতিসহ ব্যবহৃত।

এক বছর আগে নেটফ্লিক্স ও ইউনেস্কো একটি আফ্রিকীয় লোককাহিনী প্রতিযোগিতার জন্যে জমা দেওয়ার আহ্বান জানায়। এটি উদীয়মান আফ্রিকীয় চলচ্চিত্র নির্মাতা ও গল্পকারদের জীবদ্দশায় তাদের নিজস্ব ভাষায় তাদের পুনর্কল্পিত লোককাহিনীগুলি বিশ্বের কাছে তৈরি ও প্রদর্শনের সুযোগ। আফ্রিকার ১৩টি দেশ থেকে পাঠানো ২,০০০ টিরও বেশি আবেদন থেকে মাত্র ছয়টিকে বেছে নেওয়া হয়। ছয় গল্পকারের প্রত্যেককে এক লক্ষ মার্কিন ডলার (প্রায় ১ কোটি ৭ লক্ষ টাকা) বাজেট এবং “আফ্রিকীয় পুনর্কল্পিত লোককাহিনী” শিরোনামে স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র নির্মাণের জন্যে প্রতিষ্ঠিত চলচ্চিত্র নির্মাতাদের পরামর্শসহ অন্যান্য সম্পদ সরবরাহ করা হয়।

নেটফ্লিক্সে ২৯ মার্চ মৌরিতানিয়ার মোহামেদ এককুনার ছবি “শত্রুতার জ্বিন”; তানজানিয়ার ওয়াল্ট মেজেঙ্গি কোরির “কাতোপে”; নাইজেরিয়ার কোরেদে আজিজের “জাবিন হালিমা” (হালিমার পছন্দ); কেনিয়া থেকে ভোলিন ওগুতুর “অ্যান্যাঙ্গো ও মানুষখেকো দানব”; উগান্ডার লুকমান আলীর “শাস্তি দ্বীপের কাতেরা”; এবং দক্ষিণ আফ্রিকার গোবিজা ইয়াকোর “মাম্লাম্বো” এর বৈশ্বিক আত্মপ্রকাশ ঘটবে।

গ্লোবাল ভয়েসেস একটি ইমেল সাক্ষাৎকারের মাধ্যমে এই প্রকল্পের বিচারক ও পরামর্শদাতা ফেমি ওডুগবেমির সাথে তার ভূমিকা, শিক্ষার্থী চলচ্চিত্রকার মৌরিতানিয়ার মোহামেদ এককুনার সাথে শত্রুতার জ্বিন তৈরি এবং আফ্রিকার চলচ্চিত্র শিল্পে প্রকল্পটির প্রভাব নিয়ে কথা বলেছে।

ছয়টি নির্বাচিত চলচ্চিত্র

হালিমার পছন্দ: নাইজেরিয়ার পটভূমিতে করা এই সাই-ফাই কাল্পনিক চলচ্চিত্রটি সাজানো বিয়ে থেকে বাঁচতে অসাবধানতাবশত কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সাহায্য নিয়ে পালিয়ে যাওয়া প্রত্যন্ত ফুলানি গ্রামের একটি অল্পবয়সী মেয়ে হালিমাকে নিয়ে হাউসা ভাষা কেন্দ্রগুলিতে বর্ণিত হয়েছে। এটি বিশ্বের জনগণের ৯৯ শতাংশ ভার্চুয়াল জগতে চলে যাওয়া  ভবিষ্যতের পটভূমিতে তৈরি।

অ্যান্যাঙ্গো ও মানুষখেকো দানব: কিসোয়াহিলি এবং ইংরেজি উভয় ভাষায় বর্ণিত ওগুতুর শৈশবের লোককথা থেকে অনুপ্রাণিত কাল্পনিক নাটকের গল্পটি তাদের বাড়ির ভিতরে বসবাসকারী একটি দানব থেকে ছোট ভাইবোনদের রক্ষা করার জন্যে লড়াই করা ১৩ বছর বয়সী ওটিসের গল্প বলে।

শাস্তি দ্বীপের কাতেরা: একটি পরিত্যক্ত দ্বীপের পটভূমিতে করা রুনিয়ানকোল ও ইংরেজি উভয় ভাষায় বর্ণিত একটি রহস্যগল্পের চলচ্চিত্রটিতে সন্তানের ক্ষতিতে শোক সন্তপ্ত এক নারী তাকে সেখানে নিয়ে যাওয়া সেই শক্তিশালী পুরুষটির উপর প্রতিশোধ নেয়।

কাতোপে: কিসোয়াহিলি ও সিগোগো ভাষার কাল্পনিক নাটকটিতে সম্প্রদায়কে ঝুঁকিতে ফেলে দেওয়া একটি খরা নিরসনে নিজের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে একটি যাত্রা শুরু করা জাদুকরী উৎসের একটি ছোট শিশুর কাহিনী বর্ণিত হয়েছে৷

শত্রুতার জ্বিন: প্রধান চরিত্র শত্রুতার জ্বিন শেষবার ডাক পাওয়ার পর নিজেকে একটি অপরিচিত শহরে তার তিন প্রজন্মের শত্রুর মুখোমুখি খুঁজে পায়। কাল্পনিক নাটক ঘরানার ছবিটি হাসানিয়া আরবি ও ফরাসি উভয় ভাষায় বর্ণিত।

মাম্লাম্বো: ইসিখোজা ভাষার এই নাটকে ফেলে দেওয়া দেহের পবিত্র জলের উপর নজর রাখা রহস্যময় নদী মাম্লাম্বো সম্পর্কে বলা হয়েছে।

ফেমি ওডুগবেমির সাথে একটি সাক্ষাৎকার

ওডুগবেমি একজন লেখক, তথ্যচিত্র নির্মাতা, টেলিভিশন প্রযোজক এবং নাইজেরিয়ার লাগোসের একটি বিষয়বস্তু প্রযোজনা সংস্থা জুন২৪ মিডিয়ার প্রতিষ্ঠাতা/নির্বাহী প্রযোজক।

গ্লোবাল ভয়েসেস (জিভি): বৈশ্বিক প্রদর্শনীর মাত্র কয়েকদিন আগে আপনাকে একজন বিচারক ও পরামর্শদাতা হওয়ার জন্যে যোগাযোগের পর থেকে এখন পর্যন্ত এই প্রকল্পের অংশ হয়ে কেমন লাগছে?

ফেমি ওডুগবেমি (এফও): তাৎক্ষণিকভাবে আমি আফ্রিকীয় সিনেমার আখ্যানকে রূপান্তরিত করতে, চিত্রকল্পে প্রামাণিকতা আনতে, ঐতিহ্যগত নায়ক ও গল্পগুলিকে সংরক্ষণ এবং আফ্রিকার ভবিষ্যতের সাথে অতীতের ইতিহাসকে পুনর্কল্পনার জন্যে তরুণ উদীয়মান গল্পকারদের উদ্বুদ্ধ করার ক্ষেত্রে এর প্রভাব ও সম্ভাবনা বুঝতে পেরে এই উদ্যোগকে সমর্থন করার আমন্ত্রণ পেয়ে খুব উত্তেজিত বোধ করি। আমাদের মহাদেশের বিভিন্ন অংশের এই প্রতিভাবান গল্পকারদের ক্ষমতায়নের ব্যাখ্যামূলক প্রক্রিয়াটি দেখতে পারাটা বেশ উত্তেজনাপূর্ণ একটি যাত্রা। নেটফ্লিক্স ও ইউনেস্কো যথাসময়ে আফ্রিকীয় গল্পের জন্যে বিশ্বব্যাপী মনোযোগের একটি চ্যানেল তৈরি করছে। গল্পবলা ও লোককাহিনী আফ্রিকার সত্যিকারের পরাশক্তি।

আজকে আমরা গল্প বলার একটি স্বর্ণযুগে বাস করছি যেখানে আমাদের ইতিহাস, আমাদের সাংস্কৃতিক অভিজ্ঞতা, আমাদের বিশ্বদর্শন এবং আফ্রিকার একটি গল্পের বিপরীতে একটি আফ্রিকীয় গল্পের উপাদানের সূক্ষ্ণ তারতম্য উন্মুক্ত। আমি আশা করি এই চলচ্চিত্রগুলি বিশেষ করে তরুণদের মধ্যে সাংস্কৃতিক পরিচয় ও আফ্রিকাকে প্রতিনিধিত্ব করা সম্পর্কে বর্ণনার সত্যতা নিয়ে ভবিষ্যতে গভীর কথোপকথন উস্কে দেবে।

জিভি: একজন বিচারক হিসেবে ২,০০০ টিরও বেশি জমার তালিকা থেকে বেছে নিতে আপনি কী খুঁজেছিলেন এবং কোন সেই সুতো সংক্ষিপ্ত তালিকাভুক্ত ছয়টি লোককাহিনীকে একসাথে বুনেছে?

এফও: বিচারক/ পরামর্শদাতা হিসেবে আমাদের আসলে শুধু একটি অত্যন্ত প্রতিযোগিতামূলক পিচ (যুক্তিশীল উপস্থাপনা) ফোরামের মাধ্যমে চূড়ান্ত/ সংক্ষিপ্ত তালিকার ১২টি চলচ্চিত্রের একটি সেট পর্যালোচনা করতে হয়েছে। এটি প্রাথমিক বাছাই থেকে বেঁচে থাকা ধারণাগুলির উচ্চ মানের নির্দেশ করে। আমাদের কাজ ছিল চলচ্চিত্রগত শক্তি, গল্পের মাত্রিকতা এবং এর ভিত্তির উপর মূল্যায়ন করে পিচ অধিবেশন থেকে ৬/৭টি প্রকল্প বাছাই করা। উদ্যোগটি নেটফ্লিক্স উপস্থাপিত বৈশ্বিক মঞ্চে শক্তিশালী উদীয়মান চলচ্চিত্র নির্মাতা ব্র্যান্ড তৈরি করার একটি গুরুত্বপূর্ণ সুযোগের প্রতিনিধিত্ব করে বলে নির্বাচনের ক্ষেত্রে চলচ্চিত্রকারের ক্ষমতা ও সম্ভাবনা মাথায় রাখাটা অত্যাবশ্যক ছিল।

আমি মনে করি ভাগ্যক্রমে চূড়ান্ত নির্বাচিত চলচ্চিত্র নির্মাতাদের প্রত্যেকের কাছেই এধরনের একটি অনন্য পেশাজীবন নির্ধারনী চ্যালেঞ্জের সর্বোত্তম সুবিধা নেওয়ার জন্যে প্রয়োজনীয় আবেগ, প্রতিভা ও উচ্চাকাঙ্ক্ষা সমন্বিত আমি যাকে বলি “এক্স ফ্যাক্টর” ছিল।

“এক্স ফ্যাক্টর” এর মানে এটাও যে তাদের গল্পে একটি সর্বজনীন বোধগম্য ও প্রশংসিত চলচ্চিত্র তৈরির সঠিক গভীরতা ও সৃজনশীল সম্ভাবনা রয়েছে। আমি মনে করি প্রযোজিত চলচ্চিত্রের গুণমান প্রমাণ করে আমাদের বিচারকবৃন্দ প্রকৃতপক্ষে সেরা পছন্দই করেছে। খুব রোমাঞ্চকর ও আকর্ষক এগুলো থেকে দর্শকরা খুব বিনোদন লাভ করবে।

জিভি: আপনি “শত্রুতার জ্বিন” তৈরিতে মৌরিতানিয়ার মোহামেদ এককুনাকে পরামর্শ দিয়েছেন। আমাদের সেই অভিজ্ঞতা সম্পর্কে বলুন। আপনাদের দু’জনের জন্যে এটা কেমন ছিল?

এফও: আমি মোহামেদ এককুনাকে নিয়ে উচ্ছ্বসিত কারণ তিনিই নেটফ্লিক্স/ইউনেস্কোর পুনর্কল্পিত লোককাহিনী প্রকল্পের ক্ষমতায়নের উদ্দীষ্ট  প্রতিভাবান, উচ্চাভিলাষী, পরিশ্রমী তরুণ চলচ্চিত্র নির্মাতার চিরায়ত প্রতিমূর্তি। তার সিনেমা “শত্রুতার জ্বিন” একটি দৃশ্যত আকর্ষক, বহুস্তরযুক্ত এবং বিনোদনমূলক চলচ্চিত্র অভিজ্ঞতা।

তিনি হৃদয়গ্রাহী ও উত্তেজনায় ভরপূর সাংস্কৃতিক কুসংস্কার, জাদুকরী বাস্তবতা ও আধুনিকতার একটি আগ্রাসী আখ্যান তৈরি করেছেন। আমার কাজ ছিল শুধু শোনার মতো একটি কান এবং প্রয়োজনমতো নির্দেশনা প্রদান করা।

তিনি নির্বাহী প্রযোজক স্টিভেন মার্কোভিৎজ এবং নেটফ্লিক্স দলের গুরুত্বপূর্ণ প্রযুক্তিগত সহায়তায় একটি আশ্চর্যজনক পরিমাণ কাজ করেছেন। মৌরিতানিয়ায় পাওয়া অভিজ্ঞ কর্মী/ সরঞ্জামের দিক থেকে মোহামেদ দারুণ প্রতিকূলতার সম্মুখীন হন। আর এর সাথে কঠোর মরুভূমির আবহাওয়াও একটি বড় চ্যালেঞ্জ ছিল। কিন্তু সুযোগের সর্বোত্তম ব্যবহারের দৃঢ়প্রতিজ্ঞা তার ফলাফলটিকে এমন দুর্দান্ত আনন্দদায়ক করেছে। তিনি তার সুন্দর চলচ্চিত্রের জন্যে প্রত্যেকটি প্রশংসার দাবিদার।

জিভি: এই প্রকল্পে অংশ নেওয়া কীভাবে একজন তথ্যচিত্র নির্মাতা ও গল্পকার হিসেবে আপনার প্রবৃদ্ধি ও দক্ষতায় অবদান রেখেছে?

এফও: প্রতিটি পরামর্শদানের সুযোগ অবশ্যই একটি শেখার সুযোগ। শুধু মহাদেশের বিভিন্ন দেশ ও পটভূমি থেকে এই তরুণ চলচ্চিত্র নির্মাতাদের আসার বাস্তবতা আফ্রিকায় চলচ্চিত্র নির্মাণে উপলব্ধ ক্ষমতা সম্পর্কে আমার উপলব্ধিকে সমৃদ্ধ করেছে। ভাগাভাগি করা লোককাহিনীর মাধ্যমে আমি এটাও শিখেছি যে মহাদেশের ঐতিহ্যের গল্পগুলি যেমন আলাদা তেমনি তাদের মিলও রয়েছে। অনেক অনেক বিস্মৃত নায়ক রয়েছে।

অকথিত গল্পের সুবিশাল ভান্ডার। তাই আমি কিছু শিখে থাকলে তা হলো এই ঐতিহ্যবাহী আখ্যানের গর্তগুলিতে খুঁড়ে আমরা বিশ্বব্যাপী দর্শকদের সংজ্ঞায়িত ও মুগ্ধ করার মতো রত্ন খুঁজে বের করতে পেরেছি। তথ্যচিত্রের প্রতি গভীর আগ্রহী হিসেবে আমি আনন্দিত যে এই গল্পগুলি অবশ্যই ইতিহাস ও ঐতিহাসিক ব্যক্তিত্বদের নিয়ে আমাদের গবেষণা ও সম্পৃক্ততাকে আরো গভীরতর করবে। এবং এজন্যেও যে এটি আমাদের ভবিষ্যৎকে সংজ্ঞায়িত করার জন্যে আমাদের বর্তমানের সাথে সাংঘর্ষিক অতীতের সম্পর্ক খুঁজে পেতে আরো বড় পরিসরে আরো প্রকল্পকে উদ্বুদ্ধ করবে।

একজন আফ্রিকীয় চলচ্চিত্র নির্মাতা হিসেবে আমি মনে করি এই বিষয়টিকে ক্রমেই বিশ্বের কাছে আমাদের গল্পগুলি উপস্থাপনের একটি বস্তুনিষ্ঠ পদ্ধতি হিসেবে গ্রহণ করতে হবে। এটি প্রামাণিকতা ও প্রতিনিধিত্বের অত্যাবশ্যক গুরুত্ব এবং আফ্রিকীয় গল্পকে ক্ষমতায়িত ও পরিচালিত করতে আমাদের কীভাবে অংশীদারদের প্রযুক্তি সুযোগগুলি ব্যবহার করতে হবে তার উপর জোর দেয়।

জিভি: আফ্রিকার চলচ্চিত্র শিল্পের জন্যে নেটফ্লিক্স ও ইউনেস্কোর এই যৌথ প্রকল্পের অর্থ সম্পর্কে কি আপনি মন্তব্য করতে পারেন?

এফও: নেটফ্লিক্স/ ইউনেস্কো পুনর্কল্পিত লোককাহিনী প্রকল্পটি স্মৃতি সংরক্ষণ, সংস্কৃতি ও ভাষা সংরক্ষণ এবং বৈশ্বিক প্রয়োজনীয়তা ও সম্পদ হিসেবে বহুসংস্কৃতিকে শক্তিশালী করার একটি গুরুত্বপূর্ণ হাতিয়ার হিসেবে ঐতিহ্যের গল্পগুলির অত্যাবশ্যক গুরুত্বের উপর জোর দেয়। বিশ্বে পারস্পরিক শ্রদ্ধা ও শান্তি বজায় রাখতে প্রয়োজনীয় সম্মান ও বোঝাপড়া বাড়ানোর জন্যে ইতিহাসের অজানা জগতে ভ্রমণ করে সর্বশ্রেষ্ঠ শিক্ষা লাভের জন্যে এটি গুরুত্বপূর্ণ।

আমি সত্যিই বিশ্বাস করি বিশ্বের বিভিন্ন মানুষের সংস্কৃতি ও পরিচয়ের প্রতি শ্রদ্ধা সত্যিকার অর্থে শান্তি বজায় রাখার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কূটনীতি। আর সংস্কৃতি গল্পের মাধ্যমে ভ্রমণ করে ও টিকে থাকে। নেটফ্লিক্সের মতো একটি বৈশ্বিক মঞ্চের সেই বোঝাপড়ার এবং আফ্রিকার ঐতিহ্যের গল্প ভ্রমণের জন্যে জায়গা তৈরি করাটা বিস্ময়কর। এটি আমাদের ইতিহাস ও গল্পগুলি যে বৈধ এবং গল্পগুলিকে বিশ্বব্যাপী বিনিময় করার এই আশ্চর্যজনক সুযোগ নিয়ে অনেক আত্মবিশ্বাসের সাথে আমাদের গর্ব করতে পারার ইঙ্গিত দেয়।

আলোচনা শুরু করুন

লেখকেরা, অনুগ্রহ করে লগ ইন »

নীতিমালা

  • অনুগ্রহ করে অপরের মন্তব্যকে শ্রদ্ধা করুন. যেসব মন্তব্যে গালাগালি, ঘৃণা, অবিবেচনা প্রসূত ব্যক্তিগত আক্রমণ থাকবে সেগুলো প্রকাশের অনুমতি দেয়া হবে না .