ফরাসী এনজিও “ফ্রি-রাশিয়া” (রুশি-লিবারতেস) এর প্রতিষ্ঠাতা নিকোলাই কলিকভ। বিগত সময়ের “পুসি বিদ্রোহ” এর প্রতিরক্ষায় এবং ক্রেমলিনের দ্বারা নিগৃহীত রাশিয়ান বিরোধীদলকে সমর্থন জানিয়ে পুতিনের শাসনতন্ত্রের বিরুদ্ধে কয়েক বছর ধরেই তিনি প্রতিবাদ কর্মসূচীর আয়োজন করে আসছেন। গত ২৯ জুলাই, ২০১৪ তারিখে বুলগেরিয়ার সোফিয়া শহরে অবস্থিত আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। কলিকভের রাশিয়ান এবং ফরাসী উভয় দেশেরই জাতীয়তা রয়েছে। তবে এখন তিনি বুলগেরিয়া থেকে রাশিয়াতে হস্তান্তরের ঝুঁকিতে রয়েছেন।
তাঁর গ্রেপ্তারের খবর ফরাসী দূতাবাসকে জানানো হয়েছে। ফরাসী দূতাবাস এ বিষয়ে বুলগেরিয়ান কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগও করেছে। তবে এই মুহুর্তে কলিকভের মামলার সম্পর্কে ফরাসী কর্তৃপক্ষের কাছে আর কোন তথ্য অথবা বিবরণ নেই।
১ আগস্ট তারিখে সন্ধ্যায় বুলগেরিয়ান ইন্ডিপেন্ডেন্ট নিউজ সাইট বিভল তাদের ফেসবুক পেজে ঘোষণা দিয়েছে [বুলগেরিয়ান], কলিকভকে কারাগার থেকে মুক্তি দেয়া হয়েছে। তবে তিনি এখনও নির্দিস্ট কিছু বিধি নিষেধের অধীনে থাকবেন।
বুলগেরিয়ান সক্রিয়কর্মী আসেন জেনোভ তাঁর ব্যক্তিগত ফেসবুক প্রোফাইলে লিখেছেন [বুলগেরিয়ান], কলিকভকে রাশিয়ান ইন্টারপোল ব্যুরোর মস্কো শাখার নির্দেশে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত ১ এপ্রিল, ২০১৪ অর্থাৎ ০১.০৪.২০১৪ তারিখে রাশিয়ান ইন্টারপোল ব্যুরো তাঁর নামে একটি গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে। এর ভিত্তিতেই তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারি পরোয়ানাটি দেখে মনে হয়নি এটি ইন্টারপোলের লাল চিহ্নধারী আন্তর্জাতিক গ্রেপ্তারি বুলেটিন। বরং এটি ছিল ইন্টারপোলের মস্কো ব্যুরো থেকে আসা একটি সরাসরি অনুরোধ।
কলিকভকে দেখে মনে হয়েছে, তিনি সুস্থ আছেন। তিনি বলেছেন, তাঁর সাথে ভালো আচরণ করা হয়েছে। ইতোমধ্যে তাঁর এই মামলাটি ইউক্রেন প্রসঙ্গ নিয়ে রাশিয়া এবং ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের মধ্যকার সম্পর্ককে নতুন করে উত্তেজিত করে তুলেছে। এ কারণে এমন এক পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে, যেখানে ব্রাসেলস প্রেসিডেন্ট পুতিনের খুব ঘনিষ্ঠ দুইটি সহযোগী দেশের উপর ৩০ জুলাই ২০১৪ তারিখে শাস্তিস্বরূপ নতুন কয়েক ধারা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে যাচ্ছে।
বুলগেরিয়ার রাজধানী শহর সোফিয়াতে অবস্থিত সোফিয়া কোর্ট হাউসের সামনে গত ১ আগস্ট, ২০১৪ তারিখে কলিকভের প্রতি সমর্থন জানিয়ে একটি প্রতিবাদ কর্মসূচীর আয়োজন করা হয়।
আপনি যদি লাভরভকে হস্তান্তর করেন, তবে তারা তাকে কোথাও না কোথাও খুঁজছে। https://www.facebook.com/atchobanov/posts/10154393853830510
মানবাধিকার সক্রিয়কর্মীরা একটি অনলাইন আবেদন চালু করেছেন। তাদের অনলাইন আবেদনটির শিরোনাম হচ্ছে, “মানবাধিকার সক্রিয় কর্মী নিকোলায় কলিকভকে রাশিয়ার কাছে হস্তান্তর নয়!”