বোয়ালদিয়াতে ইকুইপো আল বোয়ালদিয়া গত ২ মে, ২০১৪ তারিখে এই পোস্টটির প্রকৃত সংস্করণটি প্রথম প্রকাশ করেন।
চিলির উত্তরে অবস্থিত তারাপাকা অঞ্চলে অসন্তোষ এবং ধ্বংস এখনও স্পষ্ট হয়ে আছে। দেশটির উত্তরে গত ১ এবং ২ এপ্রিল তারিখে ভূমিকম্প এবং সুনামি আঘাত হানার এক মাস পরও কয়েক হাজার লোক এখনও সরকারি ত্রাণের আশায় দিন গুনছে। তারাপাকা অঞ্চলের পাঁচটি আশ্রয় কেন্দ্রে এখন পর্যন্ত ৭৫৮ জন লোককে পুনর্বাসন করা হয়েছে। অন্যান্যরা তাঁবুতে বাস করতে বাধ্য হচ্ছেন। কারন, তাদের বাড়িঘর ধ্বংস স্তূপে পরিণত হয়েছে।
প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের পর গত ৩০ এপ্রিল তারিখে অনুষ্ঠিত এ যাবৎ কালের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ র্যালীতে ২ হাজারেরও বেশি লোক অংশ গ্রহণ করে। প্রতিবাদকারীরা তারাপাকা অঞ্চলের প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান নেয়। তারা ধ্বংস প্রাপ্ত এলাকাটির পুনর্নির্মাণে সরকারের আরও সহায়তা এবং সহযোগীতা দাবি জানায়।
১ মে তারিখে ওনেমির [স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ের জরুরী জাতীয় দপ্তর] দেয়া পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ভূমিকম্পে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত অঞ্চল হচ্ছে তারাপাকা। এই দূর্যোগে সেখানে ৬ জন লোক মারা গেছে এবং সে অঞ্চলের দালানগুলো ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
দাপ্তরিক পরিসংখ্যান অনুযায়ী, এই দূর্যোগে ২১ হাজার ৮১৩ জন লোক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, ১ হাজার ২২৫ টি ঘরবাড়ি ধ্বংস হয়েছে, ৪ হাজার ১২৫ টি দালান মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং ৮ হাজার ২৮০ টি দালানের সামান্য ক্ষতি হয়েছে। ভূমিকম্পের পর বন্দীদের স্থানান্তরের সময়ে ইকুইক জেলা থেকে ৬৩ জন কারাবন্দী পালাতে সক্ষম হয়েছে।
ওনেমি দাবি করেছে, ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত জনগণের প্রয়োজনকে প্রাধান্য দিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলোতে ত্রাণ পাঠানো হচ্ছে। সংস্থাটি আরও বলেছে যে ভবিষ্যৎ জরুরী অবস্থার কথা চিন্তা করে ত্রাণ কার্যক্রমকে আরও জোরদার করার পরিকল্পনা করা হয়েছে। দাপ্তরিক পরিসংখ্যান বলছে, সরকার ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত জনগণের জন্য ১ হাজার ১১৮ টন খাবার এবং অন্যান্য নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য সরবরাহ করেছে।