গ্রাফিটিই শব্দটি গ্রীক শব্দ গ্রাফেইন থেকে এসেছে, যার অর্থ হল লেখা। আধুনিক গ্রাফিটি ১৯৬০ সালে নিউইয়র্কে হিপ-হপ গানের অনুকরণে সৃষ্ট। একজন চিত্রশিল্পীর গ্রাফিটি স্বাক্ষর তার নাম ও খ্যাতির উপর নির্ভর করে।
যদিও মাঝে মাঝে এ ধরণের চিত্রকলা রাডার দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়েছে, এবং কর্তৃপক্ষের গ্রাফিটি, পথচিত্র মুছে ফেলার জন্য অনেক অর্থব্যয় সত্ত্বেও এটি অনেক দেশে ছড়িয়ে গেছে এবং অনেক শহরেই সুশীল সমাজে জনপ্রিয় হয়েছে। কিছু গ্রাফিটি ব্যক্তিগত বার্তা দ্বারা প্রকাশিত, কিছু শৈল্পিকভাবে প্রকাশিত। অর্থনৈতিক সংকটের এই সময়ে গ্রাফিটি শিল্পের সামাজিক চাহিদা বাড়ছে, এবং আমাদের দৈনন্দিন জীবনের অংশ হয়ে গেছে।
অনেক ওয়েবপেজ এ ধরণের পথচিত্রের উপর তথ্য প্রকাশ করছে, যেমন ফোগোনাজস, এখানে কিছু পথচিত্রের সংগ্রহ দেখা যায়ঃ
নিচের ছবিগুলো (লেখক কর্তৃক সংগৃহীত) দক্ষিণ স্পেনের গ্রেনাডায় দেশটির রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক অবস্থার ভিত্তিতে ছবি ও কথা সম্বলিত গ্রাফিতির জোয়ার দেখিয়েছে।
তৃতীয় ছবিতে, যে কেউ পিপি (স্প্যানিশ পপুলার পার্টি) এবং পিএসওই (স্প্যানিশ সোশ্যাল ওয়ার্কার্স পার্টি) – এর চিঠি দেখতে পারবে। স্পেনের সবচেয়ে জনপ্রিয় দুটি রাজনৈতিক দলের সংক্ষিপ্ত রূপ একই প্রতীক দ্বারা দৃশ্যমান পাবে; এখানে বলা হয়েছে যে এই দুটি দল একই, যা দুই-দল নিয়ম মেনে চলে। এখানে যে কেউ মুরগির একটি প্রাচীর দেখতে পাবে যেখানে শিরোনাম “গেন্তে প্রেসা, মারকাদো লিবরে” (একটি উন্মুক্ত বাজারে জনগণ হল শিকার)।
মাদ্রিদে আপনি প্রায়ই বস্কের শিল্পী আলবার্তো বাস্তেরেশিয়ার গ্রাফিতি খুঁজে পাবেন, যিনি সাত বছরেরও বেশি আগে কবিতা লেখা শুরু করেছিলেন। তিনি নিওরাবায়োসো এবং বাতানিয়া নামে দুটি ব্লগের লেখক যেখানে তিনি রাজধানী শহরে দেয়ালে তার কাজগুলোর ছবি প্রকাশ করেন। তার কাব্যগুলো প্রায়ই ব্যক্তিগত ভাবে সেগুলোর সমর্থনে লিখিত, যা আমরা এই ছবিগুলোতে দেখতে পাইঃ
বিশ্বের যে কোন জায়গায়, পথিকদের জন্য ভবনের দেয়াল, পার্ক ও বাড়িতে দেয়াল লিখনের সামনে দিয়ে হেঁটে যাওয়া স্বাভাবিক। কিন্তু শহরের দেয়ালের বাইরে, গ্রাফিতি রাস্তা থেকে অন্য মাধ্যমে চলে এসেছেঃ ফটোগ্রাফি বই, ব্লগ ও ফেসবুক পেইজ যেমন গ্লোবাল স্ট্রীট আর্টস।