চিলির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী রডরিগো ইঞ্জপিটার কংগ্রেসকে বিক্ষোভকারীদের জন্যে একটি কঠোরতর শাস্তির বিধান অনুমোদনের আহবান জানালে দেশটিতে এক বছর আগে শুরু হওয়া বিতর্কটি নতুন করে সৃষ্টি হয়েছে।
২৮শে জুন, ২০১১ তারিখে সান্তিয়াগোর শহরতলীতে ছাত্রদের একটি বিক্ষোভ ক্যারাবিনেরোস (চিলির জাতীয় পুলিশ) এবং ছাত্রদের মধ্যে সংঘটিত সহিংস সংঘাতে পর্যবসিত হলে প্রথমে আইনটির খসড়া করা হয়েছিল।
সম্প্রতি বিনামূল্যে শিক্ষার দাবিতে ছাত্রদের আরেকটি মিছিল সংঘটিত হয়। বিক্ষোভ মিছিলটির পরে রডরিগো ইঞ্জপিটার ২০১১ সালের অক্টোবর মাসে প্রেসিডেন্টের কার্যালয় থেকে পাঠানো আইনটি পর্যালোচনা এবং অনুমোদনের জন্যে চিলির কংগ্রেসকে আহবান জানিয়েছেন।
গ্লোবাল ভয়েসেসের আগেকার প্রতিবেদন অনুসারে বিধানটি প্রথমে “দখল-বিরোধী আইন” হিসেবে পরিচিত কারণ এর একটি ধারায় সরকারী বা বেসরকারী ভবনের দখল রোধ করতে চাওয়া হয়েছিলো। তখন থেকে আইনটি কংগ্রেসে ভো্টের অপেক্ষায় রয়েছে।
ইঞ্জপিটার তার বিবৃতিতে বলেছেন [স্প্যানিশ ভাষায়]: “অযৌক্তিকভাবে বাক এবং মত প্রকাশের স্বাধীনতার বৈধ অধিকারের সদ্ব্যবহার করা জনগণকে সত্যিকারভাবে শাস্তি প্রদানে সক্ষম বিধান তৈরী করার জন্যে আইনটির পক্ষে ভোট দেওয়া সবচেয়ে ভাল।”
চিলির টুইটার ব্যবহারকারীরা বিষয়টি নিয়ে বিভক্ত।
উদাহরণস্বরূপ, টুইটার ব্যবহারকারী @লা_আনেমিয়া [স্প্যানিশ ভাষায়] আইনটি নিয়ে কংগ্রেসকে ভোট দিতে চাপা সৃষ্টি করা রডরিগো উবিলা সহকারী স্বরাষ্ট্র সচিবের সঙ্গে একমত:
Subsecretario Ubilla tiene toda la razón… ya es hora de que el Congreso se pronuncie sobre Ley Hinzpeter
আন্দ্রেয়া মন্তেসিনোস (@লাগ্রানমান্তিস) [স্প্যানিশ ভাষায়] আইনটির প্রতি তার সমর্থন প্রকাশ করেছেন, যেমন করেছেন হাভিয়েরা কোর্দাস ( হাভিয়েরাকোর্দাস) [স্প্যানিশ ভাষায়]:
Pueden marchar 120.000 estudiantes de manera pacífica, pero basta el 1% para destrozar todo el Centro. Sorry, pero necesitamos Ley Hinzpeter
মারিয়া ক্যারোলিনা ইনোস্ত্রোযার (@মা৬ষ্ঠকারোলিনা) মতো অন্যান্যরা [স্প্যানিশ ভাষায়] আরেকটু নিরপেক্ষ এবং আইনটিকে সহিংস বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষে সরকারের প্রতিক্রিয়া হিসেবে বিবেচনা করেন:
Ahora el gob esta solicitando q se apruebe la ley hinzpeter. Represión por culpa del lumpen q ensucia las marchas.
এক বছরেরও আগে থেকে বিনামূল্যে শিক্ষার জন্যে বিক্ষোভগুলো চলতে থাকার কারণে ছাত্র নেতারা বারবার বলেছেন যে পুলিশের ছদ্মবেশী গোয়েন্দা কর্মকর্তারা প্রায়ই মিছিলগুলোতে অনুপ্রবেশ করে কিছু কিছু ক্ষেত্রে সহিংসতা উস্কে দিয়েছে [ভিডিও]। ইঞ্জপিটার আইনের প্রতিক্রিয়া হিসেবে আবার এই বিষয়টির আবির্ভাব ঘটেছে, মার্চার এক্স দিগনিদাদের (@মোরোচাপাতেতিকা) [স্প্যানিশ ভাষায়] একটি টুইট যেমন দেখিয়েছে:
Ahora queda claro q “encapuchados” d ayer fueron infiltrados.Justo sirven para q Ubilla diga nunca más xAlameda y aceleremos ley Hinzpeter
এছাড়াও ব্যাপক সংখ্যক জনগণ আইনটির সঙ্গে একমত নন। তারা টুইটারে হ্যাশট্যাগ #নোআলালেইঞ্জপিটার (“ইঞ্জপিটার আইন নয়) ব্যবহার করে। এরকম একজন ইভোনে মন্তেরো (@ইভিচিকিতুরি) [স্প্যানিশ ভাষায়] বলেছেন:
#NoaLaLeyHinzpeter criminaliza antes de cometer el crimen…..
এমটিভি চিলির একজন প্রাক্তন ভিজে উরসুলা এঘেরসের একটি কথোপকথনে আইনটি নিয়ে সেই ধরনের একটি আলোচনা এবং বিভক্তি দেখা যায়। তিনি টুইট করেছেন (@ উরসুলা_এঘেরস):
@ursula_eggers: #NoALaLeyHinzpeter Atenta contra todo derecho a libre expresión. Se criminaliza antes de cometer crimen. Peor que en Dictadura. #ENacional
@eugeforestal: @ursula_eggers@Izquierda_Tuit y mis derechos de seguridad donde quedan? Quien responde por los robos? Ley Hinzpeter ahora!!!
@ursula_eggers: @eugeforestal@izquierda_tuit La ley no garantiza seguridad. Garantiza castigos excesivos. Prevención de delincuencia pasa cambios de fondo.
ব্যাপকভাবে ভাগাভাগি করা উপাদানের একটি হলো আইনের ছাত্র সেবাস্তিয়ান আয়লুইন [স্প্যানিশ ভাষায়]–এর প্রেজি উপস্থাপনা [স্প্যানিশ ভাষায়] যাতে আইনটির ফলে কী কী হতে পারে সেই সম্পর্কে আরো বিস্তারিত ব্যাখ্যা করা হয়েছে। আয়লুইনের মতে অন্যান্য বিষয়ের মধ্যে সরকারী ও বেসরকারী ভবন দখল বা ট্রাফিক বা মৌলিক পরিষেবা বিঘ্নের অভিযোগে অভিযুক্ত ব্যক্তির ৫৪১দিন থেকে ৩বছর কারাদণ্ডের সুপারিশ করেছে।
অন্য যে লিংকটি ব্যাপকভাবে প্রচারিত হয়েছে সেটা হলো ১৮ই জুন, ২০১২ তারিখে রডরিগো ফার্ণান্দেজের ইউটিউবে আপলোড করা এই ভিডিওটি যাতে প্রথমে রাষ্ট্রপতি পিনেরা এবং মন্ত্রী রডরিগো ইঞ্জপিটার মজা করার পর আইনটির অন্য আরেকটি দিক নিয়ে আলোচনা করে যা গণবিক্ষোভগুলোকে অপরাধে পরিণত করে ফেলতে পারে।
ঘটনাক্রমে দি ক্লিনিকের রিপোর্ট করা [স্প্যানিশ ভাষায়], আইনটির বিরুদ্ধে বিক্ষোভ মিছিলটি ৬ই জুলাই, ২০১২ তারিখেই নির্ধারিত হয়।