১লা জুলাই (২০১২) তারিখে মেক্সিকোবাসী তাদের পরবর্তী প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত করার জন্যে নির্বাচনে গিয়েছিল। নির্বাচনের আগে থেকে অধিকাংশ নেটনাগরিকরা মনে করেছিলেন এটি প্রাতিষ্ঠানিক বিপ্লবী দলের এনরিকে পেনা নিয়েতো (ইপিএন) এবং গণতান্ত্রিক বিপ্লবী দলের আন্দ্রেস মানুয়েল লোপেজ ওব্রাদর (এএমএলো) এর মধ্যে একটি হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবে যদিও (বর্তমান ক্ষমতাসীন দলের) জোসেফিনা ভাস্কুয়েজ মোতার সমর্থকরা আশা ছাড়েনি। নেটনাগরিকরা নির্বাচন আরম্ভ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তাদের চিন্তা-ভাবনা এবং অভিজ্ঞতা ভাগাভাগি করতে শুরু করে।
টুইটার ব্যবহারকারী @ইয়োনোফুই নিশ্চিত করেছেন:
Hoy es el primer día de un país q comenzará a madurar y se dará cuenta que sin trabajo ciudadano no habrá logros
দ্রুতই হ্যাশট্যাগ #ইলেকসিওনেস২০১২ (নির্বাচন ২০১২) বিশ্বব্যাপী আলোচিত বিষয়ে পরিণত হয়।
অনেক নেটনাগরিক জালিয়াতি এবং কোন ভোটকেন্দ্রের কাছাকাছি প্রচারাভিযান চালানোর মতো অন্যান্য অবৈধ কাজ সম্পর্কিত প্রতিবেদন জড়ো করার জন্যে বিভিন্ন ওয়েবসাইট এবং হ্যাশট্যাগকে সংগঠিত করেছে। তোনাতিউ ব্রাভো (@তোনাতিউব্রাভো) নিচের রিপোর্টটি করার জন্যে কোন একটি হ্যাশট্যাগ #অপারেসিওন১জে ব্যবহার করেছেন:
Quieren documentada la compra de credenciales acá el video #Operacion1J yfrog.us/gh5kgiz
প্রথম আংশিক ফলাফল প্রকাশের পর মেক্সিকোসহ সারাবিশ্বের মূলধারার মিডিয়াগুলো ছুটে গিয়ে বলে যে কেন্দ্রীয় নির্বাচনী প্রতিষ্ঠান (আইএফই) এনরিকে পেনা নিয়েতোকে সম্ভাব্য বিজয়ী হিসেবে দেখিয়েছে। তার অনুসারীরা উদযাপন শুরু করলে কিছু নেটনাগরিকরা হতাশা প্রকাশ করেন এবং অন্যেরা হন দ্বিধাগ্রস্ত।
সামান্য কয়েক শতাংশ ভোট গণনার পর পেনা নিয়েতো তার টুইটার একাউন্ট (@ইপিএন) ধন্যবাদ জ্ঞাপন ভর্তি আপনি নোট এবং বিজয়সূচক শব্দে ভরে ফেলে দ্রুতই বিজয় দাবি করেন। এতে নেটনাগরিকদের মধ্যে জালিয়াতির সন্দেহের উদ্রেক ঘটেছে।
¡Muchas gracias a todos los mexicanos! Uds. han hablado y han elegido votar por un cambio de rumbo.
ফ্রিল্যান্স সাংবাদিক এরিক দে লা রেগেরা (@এরিকদেলারেগুয়েরা) প্রশ্ন করেছেন:
প্রশ্ন: মাত্র ২৫% ভোট গণনার পর এবং প্রতিদ্বন্দ্বিতা যখন আরো কাছাকাছি হতে যাচ্ছে তখন আইএফই কীভাবে দেখাতে সক্ষম হয়েছে যে পেনা ৭-৮% ভোটে জিততে যাচ্ছে
এদিকে থিংক মেক্সিকান (@থিংকমেক্সিকান) সম্প্রদায় উল্লেখ করেছে:
ইপিএন’কে বিজয়ী ঘোষণা করে এএমএলো’কে মিডিয়ার চাপে ফেলা হয়েছে, ক্যালডেরন এবং আইএফই’কে স্বীকার করে নিতে হচ্ছে। কেন এতো ব্যস্ততা? তারা কিসের ভয় পাচ্ছে? সত্যিকার পরিবর্তনের?
চূড়ান্ত ফলাফল প্রকাশিত হবে ৪ঠা জুলাই বুধবার।