লেসোথো’তে ২৬শে মে, ২০১২ তারিখে সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। রাজা তৃতীয় লেতসি দক্ষিণ আফ্রিকার উন্নয়ন কমিউনিটির (এসএডিসি) মধ্যস্থতায় সফল রাজনৈতিক আলোচনার পর তারিখটি ঠিক করেছেন।
লেসোথো থেকে মাইকেল জর্ডান ব্লগিং করেছেন:
২৬শে মে নির্বাচনের প্রাক্কালে দক্ষিণ আফ্রিকা (অন্য একটি রাষ্ট্র) পরিবেষ্টিত রাষ্ট্রে রাজনৈতিক সহিংসতা ছড়িয়ে পড়েছে – সাব-সাহারান আফ্রিকার গণতন্ত্রের জন্যে এটি একটি অশুভ ইঙ্গিত যাকে একজন বিশ্লেষক সর্বশেষ “চাপ পরীক্ষা” বলে অভিহিত করেছেন। শীর্ষ ব্যক্তিত্বদের হত্যার ফলে বিভেদ সৃষ্টি হয়েছে, একটি “হিট স্কোয়াড [আঘাতকারী দল]” এবং প্রচার সমাবেশে সংঘর্ষের গুজব রয়েছে।
সুতরাং জাতিসংঘ দেশটিতে গণতন্ত্র জোরদার করার জন্যে আর্চবিশপ ডেজমন্ট টুটুকে পাশের ঘরে বর্ণবাদের বিরুদ্ধে তার জেহাদ শুরু করার পূর্বে তিনি যেখানে তার ১৯৭৬-৭৮ পর্যন্ত প্রথমবার বিশপের পদ অলংকৃত করেছিলেন সেখানে আমন্ত্রণ জানিয়েছে। শুক্রবারে তার “প্রার্থনা সভা”তে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষগুলোর মধ্যে শান্তি বজায় রাখার এবং নির্বাচনের ফলাফলের প্রতি শ্রদ্ধা পোষণের একটি অঙ্গীকার আদায় করেন।
দক্ষিণ আফ্রিকার বিগত রাজনৈতিক সহিংসতার উদাহরণ দিয়ে টুটু লেসোথোর প্রধানমন্ত্রীসহ একদল দর্শক-শ্রোতাকে অনুরোধ করে বলেন, “অনুগ্রহ করে, দয়া করে, দয়া করে, দয়া করে এই অসম্ভব সুন্দর দেশটিতে একই জিনিষগুলো হতে দিবেন না। নিরপরাধ জীবনগুলো দিয়ে কেনা যায় এমন বহুমূল্য কিছুই হতে পারে না।”
তিনি বলে চলেন:
লেসোথোর মতো একটি প্রত্যন্ত দেশে নির্বাচনে ভোটের প্রতিদ্বন্দ্বিতার কথা কদাচিৎ শোনা যায়। সম্প্রতি মহাদেশ জুড়ে: ঘানা, গিনি, লাইবেরিয়া, নাইজার, নাইজেরিয়া, এবং জাম্বিয়ার মতো শান্তিপূর্ণভাবে নির্বাচনের অভিজ্ঞতালব্ধ সকল দেশে সফল নির্বাচনের পেছন পেছন এটা এসে পড়েছে। শুধু কয়েকটি উল্লেখযোগ্য কলংক রয়েছে: মালি এবং গিনি-বিসাউ’তে এক জোড়া সামরিক অভ্যুত্থান এবং আইভরি কোস্টে ২০১০ সালের শেষের দিকে প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ একটি নির্বাচনের সংক্ষিপ্ত একটি গৃহযুদ্ধে পর্যবসিত হওয়া।
লেসোথো থেকে খোতসো উল্লেখ করেছেন যে নির্বাচনে জড়িত রাজনৈতিক দলগুলোর এত বেশি যে তাদের সবার খবরাখবর রাখা কঠিন:
লেসোথোতে নির্বাচন আমাদের উপরে এসে পড়েছে। জাতীয় নির্বাচনের নির্ধারিত তারিখ ২৬শে মে। রাজনৈতিক দলগুলো পুরোদমে ব্যস্ত সভা-সমাবেশ নিয়ে। সাপ্তাহিক ছুটির দিনে মানুষ বেরিয়ে আসছে হাতে পতাকা নিয়ে গান গাইতে গাইতে তাদের ঘোড়াগুলো সারিবদ্ধ করে আর জনগণকে তাদের দলকে ভোট দেয়ার অনুরোধ করছে। এখানে অনেক দল থাকায় এদের সবার তাল রাখা কঠিন। তবে অন্তত ২টি প্রধান দল আছে এবং সবাই বলছে এদের মধ্যেই হাড্ডাহাড্ডি একটি নির্বাচন হবে। বর্তমান প্রধানমন্ত্রী নির্বাচন করার জন্যে একটি নতুন দল গঠন করেছেন এবং ইতোমধ্যেই কিছুটা লড়াই (আসল শারীরিক লড়াই) হয়েছে এমনকি এই একটি দলের ভিতরেই।
অনলাইনে নির্বাচনটিকে বহুল আলো্চিত একটি বিষয় মনে না হলেও, ২৬শে মে’র নির্বাচন সম্পর্কে তথ্য, ধারণা এবং মতামত মতামত ভাগাভাগি করে টুইপ চলছে:
@তাকউইরাম: উপদল এবং ভগ্নাংশ, দল বিভাজন এবং নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা। লেসোথো’তে ২২ লক্ষ জনসংখ্যা এবং ১,৬০০ ডলার জিডিপি’র বিপরীতে ১২০জন সাংসদ + ৩৩জন সিনেটর রয়েছে
@কেজিকোকেটেলা: লেসোথো’র আসন্ন নির্বাচন ২৬শে মে, বাসোথোদের স্বাধীনতার আসল পরীক্ষা।
@তুমিভলিউম: “@কোমান্ডাওবস: এটা বিরক্তিকর কিভাবে একটি লেসোথো’র মতো ছোট দেশে ১৭টির বেশি রাজনৈতিক দল সাধারণ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে।” গণতন্ত্র
@স্নিতজার্ড: @উইলিয়ামজেহেগ। ২৬শে মে তারিখে লেসোথো রাজ্য সাধারণ নির্বাচনে যাচ্ছে… আন্তর্জাতিক সমর্থন দরকার
@গোফ্লাইওয়ান: লেসোথো’র নির্বাচনে কখনো কাছাকাছি প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয়নি, আপনি বলতে পারবেন না কে জিততে যাচ্ছে… এলসিডি, ডিসি, বিএনপি অথবা এবিসি
@কেসিমোকোমা: এই সাপ্তাহিক ছুটির দিনটিই হবে লেসোথো’র রাজনৈতিক ইতিহাসের এযাবৎ কালের সপ্তাহান্তিক সবচেয়ে নাটকীয় সাপ্তাহিক ছুটির দিন। আমরা বিশ্বস্তভাবে শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের জন্যে প্রার্থনা করছি
রাজনৈতিক সহিংসতার পশ্চাৎপটে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। লেসোথোর রাজনৈতিক দলের নেতৃত্ব ফোরামের দাবি সাধারণ নির্বাচনের প্রাক্কালে বিশিষ্ট ব্যক্তিদের হত্যা করার জন্যে একটি “হিট স্কোয়াড” [আঘাতকারী দল] নিয়োগ করা হয়েছে।