সিঙ্গাপুর-এর পুঙ্গাল নামক এক এলাকায় নতুন তৈরি করা পার্কে, প্রাতঃভ্রমণের সময় এক ব্যক্তিকে কয়েকটি নেড়ি কুত্তা আচড় এবং কামড় দেওয়ার কারণে, জৈব খাদ্য এবং পশু বিষয়ক কর্তৃপক্ষ (আভা) এই এলাকার সকল নেড়ি কুত্তার ধরার এক কাজ শুরু করেছে। এই ঘটনায় প্রায় ৩০টি নেড়ি কুকুর আটক ধরা হয়েছে। এর মধ্যে চারটিকে মনে করা হয়েছিল আক্রমণাত্মক, এবং সেগুলোকে মেরে ফেলা হয়েছে।
এই ঘটনার পর থেকে সিঙ্গাপুরের পশু-প্রেমীরা এই ঘটনার বিরুদ্ধে শোভাযাত্রা বের করেছে, তারা একটি ফেসবুকে একটা পাতা তৈরি করে, যেখানে তারা, পাসির রিস–পুঙ্গাল-জিয়ারসি-এর সংসদ সদস্যা মিজ পেনি লো এবং আভার কাছে এই অপ্রয়োজনীয় প্রাণী হত্যা বন্ধের আহ্বান জানিয়েছে। .
গৃহহীন পশুর সংখ্যা কমিয়ে আনার অনেক কার্যকরী উপায় আমরা ব্যবহার করতে পারি। আমরা জনগণকে সক্রিয় ভাবে উৎসাহ প্রদান করতে পারি, যাতে তারা এইসব প্রাণীদের ত্যাগ করার জন্য রাস্তায় ছেড়ে না আসে। আসুন আমরা নাগরিকদের উৎসাহিত করি যেন তারা তারা পোষা প্রাণীদের জন্য নিজ গৃহে একটা আশ্রয়স্থল তৈরি করে। প্রাণীদের জন্মনিয়ন্ত্রণ-এর বিষয়ে সমর্থন এবং উৎসাহ প্রদান করি। জন নিরাপত্তার নামে গৃহহীন হাজার হাজার এইসব প্রাণীকে হত্যা করার চেয়ে এই সব সমাধান গ্রহণ করা অনেক ভালো।
এছাড়া স্বেচ্ছাসেবকেরা, কুকুরকে এই ভাবে নিধনের হাত থেকে রক্ষা করার কার্যক্রম শুরু করেছে, তারা কুকুরের ছবি গ্রুপে তুলে দিয়ে, উক্ত কুকুরে জন্য লালন-কারী এবং পালকের অনুসন্ধান করছে।

একটি কুকুরকে উদ্ধার করা হয়েছে এবং এখন তার এখন একটি বাসা দরকার। ( ছবি হক কাট ওয়াইজ-এর কাছ থেকে নেওয়া হয়েছে)।
হাসলিন্ডা আশা করছে যে এই ধরনের ঘটনা সত্ত্বেও জনগণ সেই এলাকায় ভ্রমণ করা বন্ধ করবে না :
যারা এই সমস্ত এলাকার সাথে পরিচিত, তারা হয়ত প্রায়শই এখানকার রাস্তায় এ রকম কুকুরদের ঘুরে বেড়াতে দেখে থাকেন। আমি আশা করি যে এই সংবাদে কেউ সেই এলাকা ভ্রমণ করা থেকে বিরত থাকবে না। আমি কেবল কয়েকটি জায়গার কথা উল্লেখ করতে চাই, যেখান আমি কুকুরদের ঘুরে বেড়াতে দেখেছি। কাজে যদি এই সব কুকুরদের সেখানে ইতস্তত ঘুরে বেড়াতে দেখেন, তাহলে বুঝবেন এখানে বিস্ময়ের কিছু নেই। তারা কোন কারণ ছাড়া কাউকে আক্রমণ করে না।
@জালান্ট্রু এইসব নেড়ি কুকুরদের হত্যার ঘটনায়, তার বিপরীত চিন্তা ব্লগ করেছে :
“ তাদের এই ভাবে মেরে ফেলার দৃশ্য মনে আঘাত তৈরি করে। আমি অনুভব করছি সব জায়গায় সার্স ছড়িয়ে আছে। আমি পোষার জন্য একটি মেয়াওকে গ্রহণ করেছি, একটি বিড়াল ছানা, যাকে আমি সেই হতভাগ্য বছরটিতে গ্রহণ করেছি। আর এখন সে আমার সাথে রয়েছে। সে এক স্বাস্থ্যবান এবং প্রিয় এক বিড়াল [টম]। বিড়াল প্রেমীরা এই বৈষম্যপূর্ণ ভাবে হত্যার ঘটনায় হতবাক এবং ক্ষুব্ধ হয়েছিল। সম্ভবত আভা কেবল তার দায়িত্ব পালন করেছে- কিন্তু হত্যা কোন সমাধান নয়।
তবে আভা, সিঙ্গাপুরের নাগরিকদের নিরাপত্তা, এবং একই সাথে জলাতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ার বিষয়টি নিয়ন্ত্রণ থাকা এবং তা প্রতিরোধ করার বিষয়টি নিশ্চিত করার বিষয়ে তাদের বক্তব্য প্রদান করেছে।