এই লেখার সময় পর্যন্ত থাইল্যান্ডে দুই মাসের ভারী বৃষ্টিপাতের ফলে সৃষ্ট বন্যায় ২৫২ জন মারা গেছে। দেশটির রাজধানী ব্যাংককের অনেক জায়গায় ইতোমধ্যে বন্যার পানি প্রবেশ করেছে।
বন্যার পরিস্থিতি আরো ভয়াবহ আকার ধারন করার প্রেক্ষাপটে বন্যা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ এবং নাগরিকদের সে বিষয়ে তথ্য প্রদান করার জন্য বিভিন্ন অনলাইন মানচিত্র স্থাপন করা হয়েছে।
থাইল্যান্ড বন্যা মানচিত্র ভয়াবহ, জটিল পরিস্থিতি সম্পন্ন এলাকা এবং বন্যা প্রবেশ করেছে এমন এলাকা সমূহকে উল্লেখ করেছে:
নীচে থাই সরকারের থাইল্যান্ডের বন্যা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষন সিস্টেম:
পানির স্তর পরিমাপক পদ্ধতি বিভিন্ন খাল এবং নদীর পানির প্রবাহের উচ্চতা পর্যবেক্ষন করছে :
হাইওয়ে বিভাগ বন্যায় আক্রান্ত রাস্তা সমূহকে চিহ্নিত করছে। নীচের এই মানচিত্রে লাল গাড়ি মানে সে সব রাস্তা বন্যায় আক্রান্ত হয়েছে এবং এই সব রাস্তা দিয়ে চলাচল করা অসম্ভব। সবুজ গাড়ি মানে এই সব রাস্তায় বন্যার পানি উঠলেও সাবধানে চলালে এ সব রাস্তা দিয়ে চলাচল করা সম্ভব। আর এখানে নীল লাইন মানে সড়ক বিভাজন।
সরকার বন্যার জন্য ব্রাহমান নামক পানি কমানো প্রার্থনার আয়োজন করেছে। এতে ব্যাংককের বন্যা যাতে দ্রুত কমে যায়, তার জন্য পানির “দেবী কাং কার” প্রার্থনা করা হবে। বন্যা আক্রান্তদের সাহায্যের জন্য দ্রুত হটলাইন নাম্বার অনলাইনে পোস্ট করা হয় এবং রেডক্রস থাইল্যান্ডের বন্যায় সাহায্য করবে বলে আশা করা হচ্ছে।
রিচার্ড ব্যারো ব্যাংককের পরিস্থিতি বর্ণনা করেছে:
বন্যা প্রতিরোধ বাঁধ থাকা সত্ত্বেও, বাঁধের বাইরের চাও ফারাইয়া নদী, ব্যাংকক নোই খাল এবং মাহা সোয়াত খালের পাশে বাস করা ২৭ টি সম্প্রদায়ের ১,২০০ পরিবার এখনো ঝুঁকির মধ্যে রয়ে গেছে।
আমি মনে করি এই ঘটনায় বিশেষ কিছু এলাকায় স্বল্প সময়ের জন্য বন্যা দেখা দেবে। বন্যা থেকে ব্যাংকক শহরটিকে রক্ষার জন্য তারা অনেক কিছু করেছে। গত বছর আমরা খুব খারাপ পরিস্থিতির শঙ্কা করেছিলাম কিন্তু শেষ পর্যন্ত দেখা গেল পরিস্থিতি ততটা খারাপ হয়নি। নিঃসন্দেহে দেশের বাকী অংশের ক্ষেত্রে কাহিনীটা আলাদা।
বিগত কয়েকদিনে #থাইফ্লাড নামক টুইটার হ্যাশট্যাগটি সক্রিয় হয়ে উঠেছে :
@টাম্বলার_পি : শুনতে পেলাম যে ব্যাংককের বন্যার পানি বের করে দেবা জন্য যে সব অতিকায় সুড়ঙ্গ তৈরি করা হয়েছিল সেগুলো কাজ করেছে না। দয়া করা আমাকে বলবেন না যে এগুলো মেকি সুড়ঙ্গ..
@ফ্রেকিংক্যাট: কয়েক মাস ধরে প্রবল বর্ষণ হচ্ছে- ব্যাংকক ডুবে যাচ্ছে।
@ব্যাম্বুহাটস:#থাইফ্লাড, থাইল্যান্ডের যারা বন্যার শিকার তাদের পরিবারের জন্য আমাদের গভীর সমবেদনা রইল। আমরা আশা করছি যে শীঘ্রই এই সঙ্কট কেটে যাবে এবং খুব সামান্য পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হবে।
@দিলিলিফিশ: এটা একটা অবিশ্বাস্য বিষয় যে আয়ুত্থায়ার বাসিন্দারা ৩ মিটার পানির নিচে থাকা সত্ত্বেও চাঙ্গা এবং বন্ধুত্বপূর্ণ মনোভার প্রদর্শন করেছে…
@আলেকজান্দ্রচুয়া: রিটুইট @ ভি ভ্যানেসা, থাইল্যান্ডের ৭৭ টি প্রদেশের ৫৫ টি বন্যায় আক্রান্ত, আর বাকিগুলো তাদের ভাগ্যের জন্য অপেক্ষা করছে।
@ছাইয়াবেঞ্জ: খোন কায়েনে বন্যার পরিস্থিতি ভয়াবাহ একার ধারন করছে। নাম্পোং নদীর পানি ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে।
@থাই_ইন্টেল: সংবাদ পাওয়া গেছে যে অনেক শপিং সেন্টারে বিনে পয়সায় গাড়ী রাখার সুযোগ করে দিচ্ছে, যাতে বন্যা আক্রান্ত গাড়ির মালিকরা নিরাপদে গাড়িকে সেখানে রাখতে পারে।
@তুলসাথিত: বন্যা দেশের প্রায় ১,২০০ ফ্যাক্টরিকে আক্রান্ত করেছে, যার ফলে ৪১,০০০ শ্রমিক ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। সরকার ফ্যাক্টরিগুলোকে বন্ধ রাখতে বলেছে কিন্তু শ্রমিকদের ছাঁটাই করতে মানা করেছে।