যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতি একটা পর্যায়ে এসে স্থবির হয়ে আছে এবং মনে হচ্ছে যেখানে ছিল সেখানে থেকে আর বের হয়ে আসতে পারছে না। অনড় বেকারত্বের হার দেশটির দারিদ্র সীমায় যোগ হচ্ছে, যা দেশটির ৪ কোটি ৬০ লক্ষ মানুষের উপর প্রভাব ফেলছে। সাম্পতিক এক আদমশুমারি থেকে প্রাপ্ত পরিসংখ্যানে অনুসারে তা দেশটির মোট জনসংখ্যার ১৫.১ .শতাংশ। বিশেষজ্ঞরা নিশ্চিত করেছে যে ১৯৯৩ সালের পর দারিদ্রের এটাই সর্বোচ্চ হার।
এই সংখ্যা যে দৃশ্য উন্মোচন করেছে তা মোটেও কোন উৎসাহজনক বিষয় নয়। ২০০৯ সালের পর থেকে গৃহস্থালী বিষয়ক গড় উৎপাদন ২.৩ শতাংশ কমে গেছে। চিকিৎসা বীমা নেই এমন নাগরিকের সংখ্যা এখন ৫ কোটি, আর গত এক বছরে কাজ নেই এমন ১৬ বছর বয়স উর্ধ নাগরিকের সংখ্যা ২০০৯ সালের ৮ কোটি ৩৩ লক্ষ থেকে বেড়ে ৮ কোটি ৬৭ লক্ষে এসে দাঁড়িয়েছে।
দুর্ভাগ্যজনক ভাবে, দেশটির সংখ্যালঘু সম্প্রদায়, বিশেষ করে হিস্পানিক বা স্প্যানিশ ভাষী জনগোষ্ঠী দারিদ্রের এই ছোবল থেকে মুক্ত নয়। ২০০৯ সালে গড়ে একজনের আয়ের হার ৩৯,৬৬৭ ডলার থেকে হ্রাস পেয়ে ৩৭,৭৫৯ ডলারে নেমে যায়, যা নির্দেশ করে যে এই গ্রুপ ১৯৯৯ সালের অর্থনৈতিক মন্দার হাত থেকে নিজেদের বের করে আনতে পারেনি, যা ২০০১ সালে এই পতনের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। এই বিষয়টিকে গুরুত্বের সাথে দেখলে, দেখা যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রে দারিদ্রের হার ল্যাতিন আমেরিকার অন্যান্য দেশ যেমন আর্জেন্টিনা (৮.১ শতাংশ), চিলি (৯.৮ শতাংশ), উরুগুয়েকে (৬.৩ শতাংশ) ছাড়িয়ে গেছে এবং তা ব্রাজিলের (১৯.৩ শতাংশ)-এর কাছাকাছি এসে পৌঁছেছে। লাতিন আমেরিকা ও ক্যারিবীয় অর্থনৈতিক কমিশন ( ইকোনমিক কমিশন ফর ল্যাটিন আমেরিকান এন্ড ক্যারিবিয়ান বা এ্যাকলাক) প্রকাশিত এক রিপোর্টে এই সংবাদ জানা গেছে :
ইউএসএ স্প্যানিয়ল [ স্প্যানিশ ভাষায়] হচ্ছে ক্রিস্টিনা এফ. পেরেদার ব্লগ। তিনি এই হতাশাজনক সংখ্যার উল্লেখ করেন যা হিস্পানিক জনগোষ্ঠীর উন্নয়নকে অস্বীকার করে।
Mientras que la renta per cápita se redujo en 1.2 por ciento para el conjunto de la población, en el caso de los hispanos descendió un 3.5 por ciento entre 2008 y 2009. También empeoró el nivel de ingresos de las familias, que se redujo casi un 8 por ciento, sólo por detrás de las afroamericanas (con un 11.8 por ciento) y en comparación con niveles del año 2000.
জিবি ল্যাটিনো টিভি [স্প্যানিশ ভাষায়] নামক ব্লগে আর্জেন্টিনার এক সাংবাদিকের ভিডিও রিপোর্ট যুক্ত করা হয়েছে, যেখানে এর উপস্থাপক যুক্তরাষ্ট্রের দারিদ্রের হারের পরিমাণ জেনে বিস্মিত। তিনি এই বিষয়ে একটি সারসংক্ষেপ উপস্থাপন করছেন :
El 15,2% de los estadounidenses vive en la pobreza, lo que se traduce en más de 46 millones de habitantes. Su nivel más alto desde 1993, informó la oficina de censos de ese país.
ইমিগ্রেন্ট টিভি [স্প্যানিশ ভাষায়] একই পরিসংখ্যান প্রদান করার পাশাপাশি, ধারনা প্রদান করছে যে ওবামা প্রশাসন দেশের প্রকৃত অর্থনৈতিক অবস্থার চিত্র তুলে ধরছে না:
Esta es otra situación muy negativa, sobre todo cuando el presidente acaba de presentar un plan de empleo con el cual se espera darle un estímulo a la economía.
টুইটার ব্যবহারকারীরা জনসংখ্যা বিষয়ক এই ধরনের ফলাফল আশা করেনি। পিভি মার্কেটিং (@পিভিএমকেটি) [স্প্যানিশ ভাষায়] একটি ভিডিও প্রদর্শন করছে :
Video que habla de que uno de cada cuatro #hispanos en EU, son pobres. http://goo.gl/bKMkX
মেরিডিথ ডডসন (@ডডসনএ্যাডভোকেট) [স্প্যানিশ ভাষায়] অস্বস্তিকর পরিসংখ্যানে তেমন একটা বিস্মিত নয়:
Alarmante, pero no del todo 🙁 RT @alexcawthornedc: tasas de pobreza para negros e hispanos (>27%) más de 2 veces q los blancos #povertydata#Census
হিস্পানিক জনগোষ্ঠীর শিশুদের মধ্যে দারিদ্রের হার দেখে কারমেন অর্টিজ-ম্যাকঘি (@অর্টিজম্যাকঘি) বিস্ময়ে হতবাক:
Hispanos=37 por ciento de los niños en pobreza según un nuevo reporte del censo…espeluznante!
এ্যালেক্স গুয়েরেরো (@ভাজলা২২) [স্পানিশ ভাষায়] তার টুইটে প্রথম বাক্যে এইসব বিষয় উপস্থাপন করছে :
Inaceptable: 15% de estadounidenses viven en pobreza. Entre los latinos el % es 26.1% = 1 de cada 4 >> http://1.usa.gov/pCOqCe#latism
উপসংহারে, এলিন সি. রিভেরার (@এলিনসিরিভেরার) কাছে আদমশুমারির এই ফলাফল, দেশটির সংখ্যালঘুদের অবস্থানের আরেকটি খারাপ দৃষ্টান্ত প্রদান করল:
Más malas noticias del reporte del Censo: tasa de pobreza para hispanos se disparó al 26.6 por ciento, para los negros aumentó a un 27.4 por ciento. http://wapo.st/nF4sMS