আমাদের আজকের অতিথি ভেনেজুয়েলার একজন ব্লগার যিনি একাধারে লেখিকা, মানবাধিকার কর্মী এবং একজন আইনজীবী। তার নাম মারিয়ানে ডিয়াজ হার্নানদেজ। তিনি গ্লোবাল ভয়েসেস অনলাইনে লিখেন এবং গ্লোবাল ভয়েসেস অ্যাডভোকেসির স্বেচ্ছাসেবী হিসেবে কাজ করেন।
মারিয়ানে আপনি কেমন আছেন, দয়া করে আমাদের বলবেন কি কখন থেকে আপনি ব্লগিং করা শুরু করেন? ব্লগিং-এর অভিজ্ঞতা সম্বন্ধে আমাদের আরো কিছু জানাবেন কি?
আমি ২০০৬ সালে ব্লগিং করা শুরু করি-আমার ব্যাক্তিগত ও ধারাবাহিকভাবে নিয়মিত প্রকাশিত ব্লগ লা ভিডি নো ট্রায়ে ইনুসট্রুসিওনেস (নির্দেশনার মধ্যে দিয়ে জীবন পরিচালিত হয় না)-এ। এরপর থেকে আমি বেশ কিছু “গুরুত্বপূর্ণ” বিষয় নিয়ে ব্লগিং করার চেষ্টা করেছি। এ বছরের শুরুতে আমি “এক্স কাটেড্রা” নামে ব্লগিং করা শুরু করি, এটি এমন একটি ব্লগ যেখানে আমি ব্যাক্তিগত নয় এমন অন্য বিষয় নিয়ে লিখতে শুরু করি, যার বেশির ভাগই হচ্ছে ভেনিজুয়েলার আইন, উন্নয়নের বিষয়, লিঙ্গ, দারিদ্র্য ও মানবাধিকার নিয়ে।
আমি স্বীকার করে নিচ্ছি যে, আমার ব্লগ, বিশেষ করে আমার ব্যাক্তিগত ব্লগ, এক ধরনের স্বীকারোক্তিই। সেখানে আমি এমন কিছু বিষয়ের কথা বলি যার কোনোটাই আমার “সত্যিকারের” জীবনে কেউ শুনতে চায় না। এবং একই ভাবে, যখন আমি সেই সব বিষয় নিয়ে লিখি যা আমাকে উদ্বিগ্ন করে তোলে, দারিদ্র্য ও ক্ষুধা এবং আইন তৈরির ঘটনা। এর কারণ, এর মাধ্যমে আমার সেই সমস্ত লোকেদের কাছে যাওয়া যারা সত্যিকার অর্থে এই সমস্ত বিষয় সম্বন্ধে শুনতে চায়। যদি আমার ব্লগ না হত, তা হলে আমি বন্ধু পেতাম না এবং পরিবার আমাকে তাদের উত্তরাধিকারের তালিকা থেকে ছাঁটাই করত।
গ্লোবাল ভয়েসেস অনলাইন সম্বন্ধে আপনি কি ভাবে জানলেন? এবং গ্লোবাল ভয়েসেস অ্যাডভোকেসির কোন বিষয়টি আপনাকে আকর্ষণ করে?
গ্লোবাল ভয়েসেস অনলাইন সম্বন্ধে আমি প্রথম জানতে পারি থিঙ্ক এ্যাবাউট ইট-এর কিছু চমৎকার লোকের মাধ্যমে। তারা যে সমস্ত কাজ করত তাতে আমি আগ্রহী হয়ে উঠলাম, এবং এরপর আমি গ্লোবাল ভয়েসেস অ্যাডভোকেসি সম্বন্ধে এবং অনলাইনের বাক স্বাধীনতার বিষয়ে তাদের অসাধারণ দৃঢ়তার বিষয়ে জানতে পারলাম এবং বেদনাদায়ক ভাবে ভাবলাম এটা হয়ত আমাদের দেশের জন্য প্রয়োজন। আমার দেশের কাউকে হয়ত এই বিষয়ে সংবাদ প্রদান করতে হবে যে, আমাদের সরকার ওয়েবে বাক স্বাধীনতা প্রকাশের বিষয়ে ক্রমাগত তার অবস্থান পরিবর্তন করছে। কাজেই আমি সামি বেন ঘার্বিয়াকে একটা বার্তা পাঠালাম। তিনি আমাকে গ্লোবাল ভয়েসেস অ্যাডভোকেসিতে যোগ দেবার মত ভুল করে বসলেন। এখন আমি আর কখনো এটি ছেড়ে যাব না।
আমরা সকলেই জানি যে আপনি কেবল একজন ব্লগার নন, একই সাথে আপনি একজন লেখিকা। ইতোমধ্যে আপনার গল্পের সংকলন “কুয়েন্টোস এন এল এসপেজো “ (আয়নার ভেতরের গল্পগাথা) প্রকাশিত হয়েছে। এছাড়াও আপনি একজন আইনজীবী। আপনি মানবাধিকার বিষয়ে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের হয়ে ব্লগ করেন। এবং আপনি “থিঙ্ক এবাউট ইট”- (TH!NK ABOUT IT) নামক ব্লগিং প্রতিযোগিতায় অংশ নেন, এবং নিশ্চিত ভাবে বলা যায় আপনার টুইটার অ্যাকাউন্ট রয়েছে। আপনাকে যে প্রশ্নটি অবশ্যই করা উচিত সেই প্রশ্নটি করব না যে “কি ভাবে এতকিছুর জন্য সময় বের করেন”? তার বদলে আপনার কাছে জানতে চাই যে সমস্ত প্রকল্পগুলোতে আপনি কাজ করছেন, তার প্রত্যেকটির সম্বন্ধে আমাদের জানান এবং এই অসাধারণ তালিকায় আপনার কি আর কোন প্রকল্পের নাম যোগ করার আছে।
উত্তম, আমি ঠিক জানি না, আপনি যে সমস্ত প্রকল্পের তালিকা তৈরি করেছেন তা এর সাথে আদৌ সর্ম্পকিত কিনা। আমি হয়ত বলতে পারি যে আমি যা জানি এবং দেখি তার সকল কিছু লেখার উন্মাদনা থেকে এই সমস্ত কাজ করি এবং এ কারণেই আমি গল্প লিখি, ব্লগে লিখি। অন্যদিকে বলা যায় সব সময় মানবাধিকার এবং লিঙ্গীয় সমতার বিষয়ে আমার আগ্রহ ছিল এবং এ কারণে আমি অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের কাছে স্বেচ্ছাসেবী হিসেবে কাজ করার জন্য প্রস্তাব দেই। অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল আমাকে থিঙ্কের (Th!nk) সাথে যোগাযোগ ঘটিয়ে দেয় এবং থিঙ্ক আমাকে গ্লোবাল ভয়েসেস-এর দিকে এগিয়ে দেয়, এবং এই সকল কিছুর সম্মিলিত প্রচেষ্টা আমাকে ভাবতে বাধ্য করায় যে, কি ভাবে গন্তব্য একজনের জীবনে সবচেয়ে বিচিত্র এবং সুন্দর ধারা তৈরি করে।
যে সমস্ত বিষয়ে আমার কৌতুহল রয়েছে সেই সমস্ত বিষয়ের উপর আমার ধারাবাহিকভাবে লেখা চালিয়ে যাবার ইচ্ছে রয়েছে। একটা গল্পের বই লেখার এবং অন্য একটি গল্পগ্রন্থ প্রকাশ করার ইচ্ছে রয়েছে। যে সংগঠনে আমি স্বেচ্ছাসেবী হিসেবে কাজ করি ভবিষ্যৎ-এ সেখানকার জন্য প্রয়োজনীয় হয়ে উঠার ইচ্ছে রয়েছে, যে সমস্ত ভালো জিনিস তারা আমাকে প্রদান করেছে সেগুলো তাদের ফিরিয়ে দেবার ইচ্ছে রাখি।
আপনি আপনার ব্লগ, মানবাধিকারের কাজ এবং অ্যাডভোকেসির অভিজ্ঞতাকে কি ভাবে দেখেন, এসবের অভিজ্ঞতা কি আপনার লেখার উপর প্রভাব তৈরি করে? অন্যদিকে আপনি কি মনে করে, লেখালেখির চর্চা আপনাকে ভালো ব্লগার হতে সাহায্য করেছে?
আমি আশা করি এই সমস্ত প্রভাব স্পষ্টভাবে দৃশ্যমান হবে না, কিন্তু আমি মনে করি মানবের প্রত্যেকটি অভিজ্ঞতা তার লেখা গল্পটিকে সমৃদ্ধ করে। আমি বিশ্বাস করি, একজনের নিজ ঘরে বসে লেখার সাথে পাথর্ক্য হচ্ছে, তার একাকিত্ব, এবং ব্লগিং-এ, জনতা জানতে চায়, এবং এ কারণে জীবনের ওই সমস্ত ভিন্ন মতামত এবং দৃষ্টিভঙ্গি, আর বিশ্বাস ও সংস্কৃতি, একজনের চরিত্র এবং গল্পকে সমৃদ্ধ করতে পারে, এর বাইরে ব্লগ হচ্ছে এমন এক উপায় যা একজনের লেখনীকে বিশাল একদল জনতার সামনে তুলে ধরা, এবং ভালো ও মন্দ সমালোচনাকে গ্রহণ করা, এবং এ রকম আরো অনেক কিছুকে উন্নতি করার এক সুযোগ, যা জালের মত এক জীবনের অস্তিত্ব তৈরি হবার পূর্বে অসম্ভব।
তবে আমি মনে করি না প্রকৃত পক্ষে বই লেখার বিষয়টি ব্লগিং-এর উন্নতি ঘটিয়েছে। যদি তাই হয়, এটি আমার ব্লগ লেখার ক্ষেত্রে আমার সময় খানিকটা নিয়েছে। কিন্তু এটি ছিল এক প্রয়োজনীয় ভারসাম্য।
আপনার সবচেয়ে স্মরণীয় ব্লগিং-এর অভিজ্ঞতা কি, অথবা সাধারণ ভাবে লেখার অভিজ্ঞতা? এবং সাধারণ ভাবে জনতার জন্য আপনি যা লেখেন তার প্রভাবকে কি ভাবে দেখেন?
এর জন্য আমাকে চার বছর ধরে ব্লগ লেখার স্মৃতি স্মরণ করতে হবে, মনে করতে হবে কোন বিষয়টি আমার জন্য সবচেয়ে স্মরণীয় ছিল। কিন্তু আমি বলতে পারি, বিগত চার বছরে প্রায় সকল বিচিত্র, অন্যরকম, অবিশ্বাস্য সুযোগ পেয়েছি, যা আমার অনলাইনের কর্মকাণ্ডের মধ্যে দিয়ে এসেছে। কোন ফোরামের অংশ হবার জন্য আমার সাথে তারা যোগাযোগ করেছে, প্রতিযোগিতা অংশ নেওয়া, বিদেশে ভ্রমণ করা, অসাধারণ কিছু মানুষকে জানা, যা আমি খুব পছন্দ করি, আমি সেই সমস্ত কাজ করেছি যা আমি কখনো কল্পনা করতে পারি না।
সাধারণভাবে, আমি তখনই আমার লেখার প্রভাব দেখতে পাই, যখন লোকজন আমার কাছে আসে এবং আমার লেখার বিষয়ে তাদের চিন্তা বা অনুভূতি প্রকাশ করে। বিশেষ করে আমি দুটি প্রতিক্রিয়ার কথা আমি মনে করতে পারি, একজন যে আমার গল্প পড়েছিল সেই ভদ্রমহিলা আমাকে বলেছিল, আমার একটা গল্প পড়ার পর সে প্রায় আর্তনাদ করে উঠেছিল, কারণ সে অনুভব করেছিল যে কাহিনীর চরিত্রটি আসলে সেই; এবং অন্য আরেক ব্যক্তি ভ্যালেন্সিয়ায় পানির পরিস্থিতি নিয়ে তৈরি করা আমার কাজ পাঠ করার পর প্রচণ্ড এক ধাক্কা খায় এবং কয়েক মিনিট পর্যন্ত নির্বাক হয়ে থাকে। শেষের জনের বিষয়টি আমার কাছে ততটা ভালো লাগেনি।
আপনি কি নিজেকে লেখিকা বা সামাজিক কর্মী (একটিভিস্ট) হিসেবে পরিচয় দিতে পছন্দ করেন?
আমি নিজেকে লেখিকা হিসেবে পরিচয় দেই এবং অনুভব করি যে “লেখিকা” নামক পেশার ক্ষেত্রে বিন্দুর মাধ্যমে তৈরি যে রেখা, তাকে অনুভব করতে শুরু করেছি। কিন্তু এটি আমি যা হতে চাই তার ক্ষেত্রে আমার নিজের প্রদান করা ঘোষণা, যদিও লোকজন এটাকে বেশ বড় ধরনের অহঙ্কার হিসেবে নিতে পারে। আমি নিজেকে একটিভিস্ট হিসেবে দাবি করার সাহস করি না। আমি কেবল সেই সমস্ত বিষয় নিয়ে লিখি যা আমাকে শঙ্কিত করে তোলে, কিন্তু অনেক লোক রয়েছে যারা প্রকৃতপক্ষে মানবিক বিষয় ও মানবাধিকারের জন্য প্রচুর কাজ করে যাচ্ছে, যে কারণে আমি নিজেকে স্বপ্নেও একটিভিস্ট বলে ভাবার সাহস করি না।
কিন্তু আমি লিখি, এবং লেখা ছাড়া জীবন আমি কল্পনা করতে পারি না, কাজেই আমি একজন লেখিকা। অসাধারণ কেউ নই। বিখ্যাত নই। কিন্তু একজন লেখিকা।
আমরা জানি যে আপনি লেখক “গার্সিয়া মার্কেজ”, “রুবেম ফনসেকা”, “আন্দ্রেস নিউম্যান” এবং “রড্রিগো হাসবান”-এর ভক্ত। এছাড়াও আপনি ভেনিজুয়েলার লেখকদের পছন্দ করেন, যেমন “আনা টেরেসা টরেস”, “ফেদসি সানটায়েলা”, “জোসে লুইস পালাসিওস”, “গুস্তাভো পেরেইরা” এবং “গ্যাব্রিয়েল জেমিনেজ ইমান”। কোন সাধারণ বিষয় এই সমস্ত লেখকদের প্রতি আপনাকে আকৃষ্ট করেছে।
ল্যাটিন আমেরিকার ওই সমস্ত লেখকেরা খুবই আলাদা, কিন্তু একটি বিষয়ে তাদের মিল রয়েছে যা আমাকে আকৃষ্ট করে; তারা বিশ্ব সম্প্রদায়ের জন্য ল্যাটিন আমেরিকার সেই সমস্ত জীর্ণ বিষয় নিয়ে আঁকড়ে থাকে না; যেমন মাদক, পতিতাবৃত্তি এবং হানাহানি। তারা সকলেই জানে এখানে বলার জন্য সব অন্য গল্প রয়েছে, তা তাদের নিজস্ব ধারায় বলে যায়। হ্যা, এখানে ব্যর্থতার কাহিনীও রয়েছে, কিন্তু এখানে সফলতা, প্রেম ভালোবাসা, প্রতারণা, জীবন এবং মৃত্যুর গল্প রয়েছে, এবং জীবনের একেবারে ছোট্ট একটা ঘটনার কথা বলা ও লেখা যায়, এবং এর প্রত্যেকটি হয়ত বিস্ময়কর এক গল্পের উপাদান। এ কারণে তাদেরকে এবং অন্য লেখকদের আমি ভালোবাসি।
আমার মত মানুষ যারা পৃথিবীর অন্য প্রান্তে বাস করে তাদের কাছে ভেনিজুয়েলা মানে কেবল “হুগো শ্যাভেজ“, তেল, “স্টেফানিও ফার্নানদেজ”, এবং “তারেক এল এইসামি” যিনি স্বরাষ্ট্র ও বিচার মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী, যার নামের প্রথম অংশের সাথে আমার নামের মিল রয়েছে। কাজেই আমরা আপনার সম্বন্ধে আরো জানতে চাই এবং আপনি কি ভাবে ভেনেজুয়েলাকে দেখেন, “নিজের আয়নায়” ( “এন টু সেপেজো”)?
ঠিক আছে, মাত্র কয়েকটি শব্দে ভেনেজুয়েলা সম্বন্ধে ব্যাখ্যা করা খানিকটা কঠিন, বিশেষ করে দেশটির বর্তমান রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক পরিস্থিতির বিষয়গুলো। কিন্তু যদি আপনাকে আমি আমার দেশের একটা চিত্র তুলে ধরি, আমি আপনাকে বলব এটা অনেক গতানুগতিক শোনাবে- বিশ্বের সবচেয়ে অবিশ্বাস্য এবং সুন্দর এক দেশের জন্য, সারা বছর যে দেশে বিস্ময়কর সুন্দর এক আবহাওয়া বিরাজ করে, যেখানে মরুভূমি রয়েছে এবং বরফ পড়ে, আর রয়েছে বন ও জঙ্গল, এছাড়াও রয়েছে সমুদ্রতট, যা একটি দেশেই বিরাজমান; এবং আমি বলতে চাই এটা এমন একটি এক জাতি যারা শক্তিশালী এবং সৃষ্টিশীল, যারা আমোদ প্রিয় এবং লোকেদের স্বাগত জানায়। আমি আমরা এদেশের এমন এক ছবি তৈরি করতে সমর্থ হব যা তেল এবং রাজনীতির চেয়ে শক্তিশালী।
আমি আপনাকে আমাদের ত্রুটির বিষয় নিয়ে কথা বলতে চাই না। এটা হবে এক প্রতারণা।
আপনার স্বপ্ন সম্বন্ধে জানতে চাই, আপনার স্বপ্ন কি?
আমার স্বপ্ন, আর সবার যে স্বপ্ন, আমার স্বপ্নও তাই, জীবনে সুখি হওয়া। আমি নিজে স্বপ্ন দেখি, আমি যা লেখি লোকজন তা পড়ে এবং লেখা উপভোগ করে। এটাই আমার চাওয়া। এবং আমি স্বপ্ন দেখি আমার স্বদেশ একটি ভারসাম্যপূর্ণ অবস্থান খুঁজে পেয়েছে যেখান জনগণ ভিন্ন ভিন্ন ক্ষেত্রে যা চায় এবং নিজেরা যে স্বপ্ন দেখে সে সবের।। এমন সময় আসবে যখন আমরা বেদনা এবং ক্ষোভ-এর বাইরে বাস করব এবং যৌথভাবে সেই স্বপ্ন দেখবো যা সকল ভেনেজুয়েলাবাসীর লক্ষ্য।
সবশেষ প্রশ্ন, এর সাথে আর কিছু কি আপনি যোগ করতে চান?
উত্তম, পরবর্তী কয়েক সপ্তাহে আমি গ্লোবাল ভয়েসেস অনলাইনে কিছু লিখছি না বা অনুবাদ করছি না, এই জন্য যে আমি অন্য একটি শহরে যাচ্ছি এবং এর জন্য অনেক কাজ করতে হবে। আমি যে সমস্ত লোক নাগরিক সাংবাদিকতায় উৎসাহী (সিটিজেন জার্নালিজম)। তাদের উৎসাহ প্রদান করার সুযোগ গ্রহণ আমি আনন্দের সাথে গ্রহণ করব, এটি দেখার জন্য যে গ্লোবাল ভয়েসেস অনলাইন কি করছে এবং হয়ত তাদের কাছে নিজেকে তারা স্বেচ্ছাসেবী লেখক বা অনুবাদক জন্য আবেদন করবে। আমি আপনাকে নিশ্চিত করতে চাই যে এটা জীবনে একবারই আসা অভিজ্ঞতা এবং এর জন্য আপনি কখনো অনুতাপ করবেন না।