পূর্ব উগান্ডাতে সোমবার (পহেলা মার্চ, ২০১০) বিকালে এক ভূমিধসের ফলে ৮০ জন নিহত আর ৩০০ জনের বেশী নিখোঁজ আছেন। একদিনের প্রচন্ড বৃষ্টির ফলে সংঘটিত এই ভূমিধসে, বুদুদা জেলার তিনটি গ্রাম মাটিতে ঢাকা পড়েছে আর ২০০০ এর বেশী লোক তাদের বাড়ি থেকে স্থানচ্যুত হয়েছেন। বুধবার (৩রা মার্চ, ২০১০) সকাল পর্যন্ত, বেঁচে থাকা লোকের সন্ধান চলছে।
উগান্ডার দৈনিক মনিটর জানিয়েছে যে দেশের পুরো পূর্বাঞ্চল থেকে বন্যার খবর আসছে, যার ফলে স্কুল বন্ধ রাখা হচ্ছে আর রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করা যাচ্ছে না। বৃষ্টি চলতে থাকবে বলে মনে করা হচ্ছে, আর রয়টার জানিয়েছে যে উগান্ডার কর্তৃপক্ষ ভয় পাচ্ছে যে বন্যা আর ভূমিধসের ফলে আরো পাঁচটি জেলা ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।
উগান্ডার ব্লগার রোজবেল ভাবছেন যে সরকার মানুষকে ওই এলাকাতে সরাতে আরো বেশী কিছু কেন করেনি:
প্রায় ৫০,০০০ মানুষ আছে, যাদের কেউ কেউ আগের আগ্নেয়গিরির ধারেকাছে আশ্রয় নিয়েছেন, যারা নিয়মিত ভূমিধসের স্বীকার হন। প্রতি বছর বর্ষাকালে উগান্ডার এই অঞ্চলে মৃত্যু ঘটে কিন্তু একমাত্র উদ্যোগ হল মানুষকে সরানোর জন্য জাতীয় উদ্যানের সংরক্ষণ।
সরকারের তরফ থেকে আসলেই তেমন কোন উদ্যোগ ছিলনা এই মানুষদেরকে উদ্বুদ্ধ করে অন্য জীবিকার জন্য রাজি করানোতে। যে স্থানে অনেকে চাষের উপরে নির্ভর করেন সেখানে আগ্নেয়গিরির উর্বর ভূমি থেকে তাদেরকে সরানো বেশ কঠিন ব্যাপার। তাই তারা এক এক দিন করে বাঁচেন আর আশা করেন যে পরের বর্ষাকাল পর্যন্ত তারা টিকে যাবেন।
মধ্য উগান্ডা থেকে, যেখানে বৃষ্টি কম বিপদজনক, গে উগান্ডা লিখেছেন:
যে বৃষ্টির আমি আনন্দ নিচ্ছি তা আমার মানুষের বিপদের কারন হচ্ছে। আমি কেবল প্রার্থনা করতে পারি। আমি বৃষ্টি ভালোবাসি, কিন্তু বৃষ্টি তার আর্শীবাদ আর বিপদ নিয়ে আসে। দারুণ ফলন খুশি হওয়ার মতো একটা ব্যাপার। জীবন হারানো- কিন্তু অদ্ভুত, জীবন চলতে থাকে।