মিননা নো হোনইয়াকু (みんなの翻訳 সকলের জন্য অনুবাদ)[জাপানী ভাষায়] নামক এক প্রকল্পের প্রধান কিও কাগেইউরার এখানে একটি ভিডিও সাক্ষাৎকার রয়েছে [ইংরেজী ভাষায়]। এটি এক নতুন অনুবাদ প্লাটফর্ম বা ক্ষেত্র যা কিনা বেসরকারী ওরফে এনজিও এবং অলাভজনক প্রতিষ্ঠান সমুহের বার্তা ছড়িয়ে দেবার কাজে লাগবে। এর জন্য স্বেচ্ছাসেবক অনুবাদক দলকে ধন্যবাদ।
গ্লোবাল ভয়েসেস জাপান তাকে প্রশ্ন করেছিল মিননা নো হোনইয়াকু নামক প্রকল্পের প্রতিকূলতা ও সীমাবদ্ধতা এবং স্বেচ্ছাসেবী অনুবাদ কর্মের নতুন ধারা নিয়ে [ইংরেজী ভাষায়] ।
‘মিননা নো হোনইয়াকু’ বা ‘সকলের জন্য অনুবাদ’, জাপানের জাতীয় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের ভাষা অনুবাদক দল এবং টোকিও বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রন্থাগার ও তথ্যবিজ্ঞান গবেষণাগারের চিন্তাপ্রসূত এক পরিকল্পনা। এদেরকে এই কাজে সাহায্য করেছে সানসেইডো নামের এক প্রকাশনা কোম্পানী।
যদিও এটি শীটেক নামে এক প্রকল্পের অংশ, তবে অনলাইনে অনুবাদ কর্মের গতি বৃদ্ধির ক্ষেত্র এর এক যথাযথ উদ্দেশ্য রয়েছে:
এই পদ্ধতি একটি ব্যক্তির অনুবাদ করবার কাজকে একটি নেটওয়ার্ক বা যোগাযোগ ব্যবস্থার আওতায় নিয়ে আসবে এবং এটি করা সম্ভব হবে বাড়তি কোন প্রচেষ্টা ছাড়াই। এতে অনুবাদক একই বা এই বিষয় সম্পর্কিত যে সমস্ত ডোমেইনে কাজ করছে, সেখানে যৌথভাবে অনুবাদ কর্মের জন্য তথ্য জমা করতে পারবে এবং অনুবাদ কর্মের সাথে সম্পর্কযুক্ত তথ্য পরস্পরের সাথে ভাগাভাগি করে নিতে পারবে। আমরা বিশ্বাস করি এভাবে অনুবাদকরা তাদের অনুবাদ কর্মের গতি বাড়িয়ে নিতে পারবে এবং আগ্রহী অনুবাদককে এ কাজে যোগ দিতে উৎসাহ প্রদান করতে পারবে। যতদুর সম্ভব বলা যায়, শীটেক প্রকল্প, একটি সামাজিক যোগাযোগের পরিকল্পনা বা সোশাল প্রজেক্ট।
সবশেষে বলা যায়, অনুবাদককে তার কাজ সহজ করা ও অনভিজ্ঞ অনুবাদককে সাহায্য করার উদ্দেশ্যে অধ্যাপক কাগেইউরার দল মিননা নো হোনইয়াকু তৈরি করেছে। তবে এ ব্যাপারে তিনি স্থির বিশ্বাসী যে:
স্বেচ্ছাসেবী অনুবাদকরা সংবাদ ও খবরের যে অনুবাদ করে, তা বিকল্পধারার তথ্য প্রবাহে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।