বিশ্ব সামাজিক সুবিধার বিকাশ (জিএসবিআই) আর দ্যা নেক্সট বিলিয়ন ব্লগে বেশ কিছু ভিডিও সাক্ষাৎকার প্রকাশিত হয়েছে বিশ্বের বিভিন্ন স্থানের সামাজিক উদ্যোক্তাদের। এইসব ব্যক্তিরা একত্র হচ্ছেন ২ সপ্তাহব্যাপী এক আবাসিক বুট ক্যাম্পে যা বিশ্ব সামাজিক সুবিধার বিকাশে সহায়তা করবে এমনটি বলেছেন সম্পাদক ফ্রান্সিস্কা নোগুইরা।
কিন্তু জিএসবিআই কি? তারা এইভাবে বুঝিয়েছেন:
বিশ্ব সামাজিক সুবিধার বিকাশ (জিএসবিআই) সান্টা ক্লারা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞান, প্রযুক্তি আর সামাজিক সেন্টারের নিজস্ব উদ্যোগ। এটা সামাজিক উদ্যোক্তাদের সাথে কাজ করে তাদেরকে আর তাদের সংস্থাকে শক্তিশালী করা জন্য এবং মানদণ্ড প্রতিষ্ঠা আর প্রভাব বিস্তারের বাঁধাগুলোকে অতিক্রম করার জন্য। ২০০৩ সাল থেকে ৮৭টি পুরস্কার প্রাপ্ত সামাজিক প্রতিষ্ঠান এই প্রকল্পে অংশগ্রহণ করেছেন আর অংশ হয়েছে তারা একটা সম্প্রসারণ শীল নেটওয়ার্কের, যা প্রাক্তন অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে যোগাযোগের মাধ্যমে পথ খুঁজে পাওয়ার চেষ্টা করে। এর লক্ষ্য আরো বেশী ন্যায় আর কার্যকর একটি বিশ্ব প্রতিষ্ঠা।
প্রথম যে ব্যক্তির সাক্ষাৎকার নেয়া হয়েছে তার নাম নায়মেকা ইকেগুনু। তিনি নাইজেরিয়াতে একটা ছোট ফার্মের গ্রামীণ রেডিও চালান। এটি গ্রামীণ আর একাকী পরিবেশের কৃষকদের জন্যে রেডিও প্রোগ্রাম প্রচার করে যেখানে সহনশীল কৃষি আর উন্নয়নের ব্যাপারে স্থানীয় ভাষায় অনেক তথ্য থাকে। এখানে উল্লেখযোগ্য হল তারা রেডিও আর ইন্টারনেট ব্যবহার করেন তথ্য প্রদানের জন্য আর এটা একটা লাভজনক ব্যবসা।
ভারতের তৃণমূল কাজে সামাজিক অংশগ্রহণ সংস্থার যুগান্ধার মান্ধভকারের সাক্ষাৎকার ও নেয়া হয়। তিনি শক্তি সাশ্রয়ী লম্বা কাঠের চুল্লির নকশা নিয়ে কথা বলেছেন যেটা ভারতের মহিলাদের অনেক জ্বালানী কাঠ জোগাড় করার কষ্ট থেকে নিস্তার দেবে:
ভারত থেকে আরো আছেন মনোজ সিনহা, কিন্তু গ্রামীণ সমাজের জন্য সহজলভ্য জ্বালানী নিয়ে তার অন্য ধরনের উদ্যোগ আছে। হাস্ক পাওয়ার সিস্টেমস তুষ থেকে উৎপাদিত শক্তি এলাকার বাসিন্দাদের ব্যবহার অনুযায়ী মূল্য হিসেবে সরবরাহ করে থাকে। জিএসবিআই অনুসারে, “এইচপিএস সিস্টেম প্রত্যেক গ্রামে কেরোসিন, ডিজেল আর মিথেনের বদলে নবায়ন যোগ্য শক্তি হিসেবে বছরে ১৯০ টন কার্বন ডাই অক্সাইড উৎপাদন করে।“ ভিডিওটি এখানে: