মালয়েশিয়া তার দ্বিতীয় উদ্দীপক পরিকল্পনার উন্মোচন করেছে

মালয়শিয়ার গত বছরের প্রথম অর্থনৈতিক উদ্দীপক প্রচেষ্টা যথেষ্ট ছিলনা। তাই সরকার এই মাসে দ্বিতীয় উদ্দীপক পরিকল্পনার উন্মোচন করেছে। সংসদে বক্তৃতা কালে মালয়শিয়ার উপ প্রধানমন্ত্রী আর অর্থমন্ত্রী উদ্দীপক এই প্যাকেজকে (স্টিমুলাস প্যাকেজ) সমর্থন করেন:

উদ্দীপক প্যাকেজের মূল লক্ষ্য হলো:
* প্রথমত: বেকারত্ব হ্রাস করে চাকুরির সুযোগ সৃষ্টি করে দেয়া
* দ্বিতীয়ত: রাকিয়াত এর বোঝা কমানো, বিশেষ করে, যারা দুর্বল তাদের জন্যে
* তৃতীয়ত: প্রাইভেট সেক্টরকে এই সংকট মোকাবেলায় সহয়তা করা, এবং
* চতুর্থত: ভবিষ্যৎের জন্য ক্যাপাসিটি তৈরি করা।

তিনি যোগ করেছেন যে “সরকারের আস্থা আছে যে এই উদ্দীপক প্যাকেজে যে সব পন্থা আর কৌশলের কথা বলা আছে তা সব মিলিয়ে আমাদের অর্থনীতিকে গভীর মন্দার দিকে ধাবিত হওয়া থেকে প্রতিরোধ করবে”:

আমরা চিরাচরিত অর্থনীতি পূনরুদ্ধার পদ্ধতিতে আস্থা রাখতে পারিনা। আমাদেরকে সাহসী হতে হবে নতুন পথ তৈরিতে এই বিপদ মোকাবেলার জন্য। আমাদের সকলের জন্য এটা খুবই চ্যালেঞ্জের সময়। আমাদেরকে প্রস্তুত থাকতে হবে আর শক্ত হতে হবে সামানের এই চ্যালেঞ্জ মোকাবেলার জন্য। এই সংকট মোকাবেলার জন্য আমাদের পূর্বের অভিজ্ঞতা কাজে লাগাতে হবে।

মাইঅ্যাসাইলাম মনে করেন উদ্দীপক পরিকল্পনা কাজ করবে না:

বেইলআউট খারাপ শোনাচ্ছে, কিন্তু উদ্দীপক ভালো শোনায়, যদিও ব্যাখ্যা করলে, এই ৬০ বিলিয়ন আরএম এর প্যাকেজ মনে হয়না এমন ভাবে তৈরি করা হয়েছে যাকে উৎপাদনশীল হিসাবে ধরা যায়। শুধুমাত্র হয়তোবা সরকারী বিভাগকে যা আছে তার থেকেও বেশী স্ফীত করতে উদ্দীপিত করা ছাড়া।

ই কন্ট্রারিও বলেছেন যে এই প্যাকেজ এ মালয়েশিয়ার বেকারত্ব আর দারিদ্রের ব্যাপারটার উল্লেখ নেই:

এই প্যাকেজ আমাদের প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কার বাদ দিয়েছে, নিয়ন্ত্রণকারী উপায়ের আর অর্থনৈতিক নিয়ন্ত্রনের কোন উল্লেখ নেই।

ফলে, এই সংকট থেকে আমরা কিছুই শিখছি না। ১৯৯৭ এর এশিয়ান অর্থনৈতিক সকটের মুখোমুখি হওয়ার পরে আমরা কঠোর কোন প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কার করি নি।

এই প্যাকেজ বিশাল বেকারত্বের ব্যাপার আর ছড়িয়ে পড়া দারিদ্র বিশেষ করে শহরের দিকের নিয়েও কথা বলে নি।

আমরা ঠিক জানি না কি উপায় হবে অর্থনীতিতে দেয়া অর্থ যাতে সমাজের সব থেকে নিচু পর্যায় পর্যন্ত পৌঁছায় তা নিশ্চিত করা যাবে। নব- মুক্তির অলঙ্কারসমৃদ্ধ ভাষা যথেচ্ছা উচ্চারন করলেও, সরকার অন্ধভাবে বাজারের উপরে বিশ্বাস করে বন্টনের জন্য।

মালয়েশিয়ান ইকোনমিক ফ্রন্ট আশা করে যে এই উদ্দীপক দুই বছরের কম সময়ে অর্থনীতিকে চাঙ্গা করবে:

আমাদেরকে বিবেচনা করতে হবে যে সরকারের এই খরচ কখনোই পারবে না আর্থিক মন্দা শুরু হওয়ার আগে আমাদের পন্যের চাহিদার সাথে খাপ খাইয়ে স্থাপন বা চাহিদা তৈরি করতে। কম রপ্তানির জন্য আমাদের উৎপাদন স্থানগুলো কন্ট্রাক্টে যাবে আর ধারন ক্ষমতা কমানো হবে বেঁচে থাকার মাত্রায়। তাই পরিকল্পনা করতে হবে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা থেকে ব্যায়সংকুচিত কর্মীদের অন্য জায়গায় আত্মীকরন করা

উদ্দীপক যখন ঘোষনা করা হয়, এটা স্টক মার্কেটে প্রভাব রাখতে ব্যর্থ হয়। আনিল নেটো জানিয়েছেন যে উদ্দীপক পরিকল্পনাকে দেখা হচ্ছে ” বিলম্বিত সরকারী স্বীকারোক্তি হিসাবে যে দেশটা বিশ্ব অর্থনীতির আলোড়নে খারাপভাবে আঘাত পেয়েছে। এবং আর আরো খারাপ সময় আসছে।” মজার একটা লেখায়, আর্ট হারুন পাঠকদের জানাচ্ছে কি করে উদ্দীপক থেকে আয় করা যায়।

উদ্দীপক পরিকল্পনার একটি অংশ হলো পোস্ট-গ্রাজুয়েট ছাত্রছাত্রীদের জন্যে বৃত্তির ব্যবস্থা। তবে কয়েকজন মাত্র আবেদন করেছেন।

একজন সাংসদ তার নিজস্ব আর্থিক প্রস্তাবের তালিকা করেছেন। বিজয় নীচের প্রস্তাবগুলোও করেছেন:

* বানিজ্যে বার্টার করা উচিত যাত্তে সাময়িকভাবে পন্য মজুতকারীদের বাধা দেয়া যায়, যেমন আমরা আমাদের পাম তেলের সাথে সৌদি আরবের অশোধিত তেলের আদানপ্রদান করতে পারি।
* যতক্ষণ না আপনি প্রমান করতে পারেন যে আমাদের দেশ তাৎক্ষনিক আক্রমনের ভয়ে আছে, স্কোরপিন সাবমেরিন আর অন্যান্য মিলিটারি হার্ডওয়ার বিক্রি করে ওই টাকা দিয়ে জনগনের যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত করুন।
* জেলেদের একটা অংশকে রাখুন মাছ চাষের জন্য, এই কমে যাওয়া সম্পদের মুল্য স্থিতি করার জন্য, মেরিন ইকোসিস্টেম সংরক্ষণ করুন আর ডিজেলের ভর্তুকিতে বাঁচান।
* ইন্টারনেট সরবরাহকারীদের মনোপলি থেকে বেরিয়ে আসুন, স্ট্রিমেক্স সার্ভিস এতো খারাপ যে যেসব ব্যবসা ইন্টারনেট কেবলের উপরে নির্ভরশীল দ্বিতীয়বার চিন্তা করবে এখানে ব্যবসা শুরুর আগে।

আলোচনা শুরু করুন

লেখকেরা, অনুগ্রহ করে লগ ইন »

নীতিমালা

  • অনুগ্রহ করে অপরের মন্তব্যকে শ্রদ্ধা করুন. যেসব মন্তব্যে গালাগালি, ঘৃণা, অবিবেচনা প্রসূত ব্যক্তিগত আক্রমণ থাকবে সেগুলো প্রকাশের অনুমতি দেয়া হবে না .