(ফেব্রুয়ারীর ২৭ তারিখ থেকে) প্রায় সপ্তাহ দুই আগে, আমি নিউইয়র্ক টাইমসে টম ফ্রিডম্যান এর কলামে পড়েছিলাম যে আমেরিকার দুইজন জ্ঞানী যুবক সম্পর্কে যারা খুব চমৎকার একটি উদ্দেশ্যে ভারতে এসেছে। বিস্তৃত এই উপমহাদেশে পরিবেশের ভয়াবহতা বিষয়ে সচেতনা সৃষ্টির উদ্দেশ্যে অ্যালেক্সিস রিনওয়াল্ড এবং ক্যারোলিন হো দেশটি ভ্রমন করছে একটি তড়িৎ/সৌর শক্তি চালিত গাড়ীতে। তারা যুবক এবং কর্মঠদের উৎসাহিত করছে পরিচ্ছন্ন, সবুজায়িত এবং অধিক সাসটেইনেবল শক্তির উৎস অনুসন্ধানের জন্য। আমি তাদের কর্মকান্ডে বেশ আপ্লুত হয়েছি এবং এখানে তাদের কথা তুলে ধরার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
তাদের ভারতীয় অনলাইন পোর্টাল ’ইন্ডিয়ান ক্লাইম্যাট সলিউশন‘ এ যুক্ত আছে একটি ব্লগ, ভিডিও, আলোকচিত্র, ভারতীয় পরিবেশের নানা তথ্য এবং আরও অনেক কিছু।
যাত্রার শুরুতে ক্যারোলিনা লিখেছে:
ভ্রমণ সম্পর্কে বেশী শিখতে এবং খুব স্বাভাবিক পরিবেশ সমাধানের উপর নির্মিত চলচ্চিত্রের উদাহরণ দেখতে যাতে আমরা যুবশ্রেণীকে অনুপ্রেণিত করছি তাদের নিজস্ব সমাধান, তাদের অদ্ভুত ধারনা, এবং পরিবেশ পরিবর্তনে তাদের নিজস্ব চিন্তাভাবনা সৃষ্টিতে, অনুগ্রহ করে আমাদের প্রথম পরিবেশ সমাধান ভিডিও দেখুন- যা তড়িৎ গাড়ী এবং আমাদের প্রাথমিক রিভা রোড ট্রিপ বিষয়ক আমাদের প্রথম সাক্ষাৎকার। গুগলের রিচার্জ আইটি সম্মেলনে প্রবেশের জন্য আমাদের ১.৫ মিনিটের সময় বেঁধে দেয়া হয় এই বিষয়বস্তুর ভিত্তিতে যে “কেনো আমি বিদ্যুৎ চালিত গাড়ী চালাতে চাই”, কিন্তু ভাবুন এটা অন্যরকম উদাহরণ যা দেখায় কিভাবে ভিডিও প্রতিযোগীতা নতুন চলচ্চিত্রের অনুপ্রেরণা দেয় এবং আমরা সেটাই করা চেষ্টা করছি।
অ্যালেক্সিস লিখেছে:
আমরা কি মহান কাজ করেছি তার মাত্রা ৪ দিনের আগে বোঝা যায়নি। ৩রা জানুয়ারী ২০০৯ এ পরিবেশ সমাধানের রোড ট্রিপ এ একদল আবেগপ্রবণ মানুষ যাত্রা শুরু করে, ভারতের চেন্নাই হতে নয়াদিল্লী পর্যন্ত যুগান্তকারী মাসব্যাপী ৩৫০০ কিমি এ যাত্রা প্রদর্শন করে যে পরিচ্ছন্ন পরিবহন ব্যবস্থা সম্ভব এবং বিশ্বব্যাপী অটোপ্রস্তুতকারীদের ডেকে সেটা তৈরী করাতে হবে।
এই অ্যাডভেঞ্চারের ৪র্থ দিন, জানুয়ারী ৭ তারিখে, আমি সত্যিকারভাবে বুঝতে পেরেছিলাম বিপ্লবের সূচনা আমাদের পরিকল্পনা ছিল “পরিবর্তনের জন্য চালনা”।
তাদের প্রকল্পের একজন সমর্থনকারী আনা ডি কসতা লিখেছে:
ভারতীয় উপমহাদেশের ভেতর ভ্রমণের পর আমরা জেনেছি যে সহজতর এবং কার্যকর পরিবেশ সমাধানের একটি হলো সৌরশক্তি।
দর্পনসম লেক আর খালের শহর, বহু পুরাতন স্থানসমূহ, সাজানো এবং বর্মযুক্ত প্রবেশদোর এবং পিচ্ছিল পথযুক্ত উদয়পুরে আমরা দেখতে পাই ঐ ধরনের একটি উদাহরণ।
কাজের পন্থা মারাত্মকভাবে সাধারণ; একটি সাধারণমানের তাপ সঞ্চায়ক (যে প্যানেল তুমি দেখে থাক) যা তাপ ধারক পদার্থ দিয়ে তৈরী করা যেমন ধাতু, যা সরাসরি ছোট টিউবে পানিকে এমন অবস্থানে রাখে যাতে সূর্যের সাথে লম্বালম্বি হয়। এটি আবরণযুক্ত একটি জলাধারের সাথে সরাসরি যুক্ত থাকে যেখানে গরম পানি সঞ্চিত হয়। যেহেতু পানি সংগ্রাহকের মধ্যেই গরম হয়, পরিচালক পদ্ধতির দ্বারা তা স্বভাবতই একটি পানি প্রবাহ বজায় রাখার মাধ্যমে ব্যবস্থাটির ভেতর দিয়ে অগ্রসর হয় এবং এভাবেই এটাকে সমানভাবে উত্তাপ রাখে।
উষ্ণ দেশগুলোতে পানি গরম করার সস্তা এবং সহজ উপায়গুলোর মধ্যে এটি একটি এবং যা বসতবাড়ীর প্রয়োজনের ৮৫-১০০% গরম পানি সরবরাহ করে থাকে। প্রতিবছরের ১১.১ ব্যারেল তেল এর ব্যবহার জায়গায় স্থানান্তর করে গড়ে ৫০ গ্যালন ব্যবস্থা যখন ইলেকট্রিকালি উত্তাপ করার ব্যবস্থাতে রূপান্তর করা হয়।
ভারতের রাষ্ট্রপতি সম্প্রতি পরিবেশ দলটিকে তার কার্যালয়ে সাদর অভ্যর্থনা জানিয়েছেন এবং অ্যালেক্সিস এই সম্পর্কে বলে:
আমরা ভীষনভাবে সম্মানবোধ করছি ভারতের মাননীয় প্রেসিডেন্ট পাতিলের সাথে রাষ্ট্রপতি ভবনে তার বাড়ীতে দেখা করা জন্য আমন্ত্রিত হওয়ায়! তিনি খুবই চমকিত হলেন আমাদের পরিবেশ সমাধান রোড ট্রিপের কথা শুনে এবং পরিবেশ সমাধানে ব্যবস্থা গ্রহণে আমাদের প্রচেষ্টায় সহযোগী মনোভাব পোষন করেন। আমরা আশা করি বিশ্বের সকল দেশের প্রধান ব্যক্তিগণ তাদের দেশের যুবকদের বুঝতে পারবেন যারা এই বিষয়ে একটা ব্যতিক্রম কিছু ঘটাতে পারবে!
(ছবির জন্য কৃতজ্ঞতা: ইন্ডিয়া ক্লাইমেট সলিউশন)