কর্ণাটকের রাজধানী ব্যাঙ্গালোরে আজ কয়েক ঘন্টা আগে বেশ কয়েকটি বোমা বিস্ফোরণ হয়েছে। বিভিন্ন রিপোর্ট জানাচ্ছে যে শহরের বেশ কিছু জায়গায় ১২ মিনিটের মধ্যে ৭টি বোমা বিস্ফোরিত হয়েছে। জেলাটিন স্টিক ব্যবহার করা বিস্ফোরকগুলো কম মাত্রার ছিল। তবে এখন পর্যন্ত একজন মহিলা নিহত আর ছয়জন আহত হবার খবর পাওয়া যাচ্ছে। শহরের ফোন লাইন জ্যাম করা হয়েছে যাতে গুজব ছড়িয়ে না পড়ে আর রাস্তা বন্ধ করা হয়েছে। সাচিন উপাল জানাচ্ছেন:
খুব ব্যস্ত একটি দৃশ্য ছিল, মানুষ অন্যকে জিজ্ঞেস করছে কি হয়েছে আর চিন্তিত হয়ে পড়ছে, কিন্তু আমি নির্দিষ্ট কিছু দেখিনি। পুলিশে ভরা ছিল যারা মানুষকে নিয়ন্ত্রণ আর ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণে ব্যস্ত ছিল।
গত ১০ বছর ধরে ব্যাঙ্গালোর দ্রুত প্রবৃদ্ধিশীল শহর আর শান্তির শহর। কিন্তু মনে হচ্ছে অনেকে তা চায়না। এটা রাজনৈতিক সহিংসতা বা সন্ত্রাসী কাজও হতে পারে। গত কয়েক বছরে ব্যাঙ্গালোরে এটা তৃতীয় বৃহত্তম বোমা বিষ্ফোরণের ঘটনা।
ইস্ক লাইফ ব্লগ ওয়েবে কিছু তথ্য সন্ধান করে বেশী কিছু পায়নি। ব্যাঙ্গালোর মেটব্লগ বোমা বিষ্ফোরণের সঠিক স্থান সম্পর্কে জানাচ্ছে। কিপ সেইকস শহরের অপর্যাপ্ত অবকাঠামো নিয়ে বলেছেন:
আমাদের এখন পর্যন্ত পর্যাপ্ত বিদ্যুত, পেট্রোল, ডিজেল, অবকাঠামো নেই, ফুটপাথ নেই গাড়ি চালানোর জন্য (হ্যা , আমরা অন্য কোথাও জায়গার অভাবে ফুটপাথে গাড়ি চালাই), বৃষ্টি নেই, মেট্রো নেই, এমন কি শহরকে ডাকার মতো একটা ঠিক নাম নেই – ‘ব্যাঙ্গালোর? বেঙ্গালুরু? বেঙ্গালোরো? কি??’ আর সব কিছুর উপরে আমাদের এখানে এই বিষ্ফোরণের ঘটনা হলো??? শহরটা কি এমনিতেই ধ্বংস হয়ে যাচ্ছিল না যে এর মধ্যে আবার একটা বিষ্ফোরন ঘটাতে হলো?
শহরের অপর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে ভিকাস শর্মা বলেছেন:
এটা হওয়ার ছিল। অপর্যাপ্ত নিরাপত্তা, আইনের স্বল্প প্রয়োগ আর ব্যাঙ্গালোর পুলিশের হাল ছাড়া ভাবের কারনে ব্যাঙ্গালোর এখন বা পরে নিশানায় পরিণত হতই। মাদিওয়ালির কাছে একটি বিষ্ফোরণের কথা শুনে আমি এটা লিখতে শুরু করেছিলাম, আর এখন তা ৮টায় দাড়িয়েছে! আমি আশা করি এটা কি আসছে তার ইঙ্গিত না…ইশ্বর না করুন।
কিছুক্ষন আগে আমি মাইসোর সড়ক দিয়ে এসেছি আর অফিসে এসে আমার পিসির সামনে বসতে পেরে আমি খুশী, কিন্তু এখনো নিশ্চিত না যে আশে পাশে কোথাও বোমা আছে কিনা…
হরি শিনোয় তার অফিসের লোকের দুশ্চিন্তার কথা জানিয়েছেন:
“আমার অফিসের কাছের নয়ন্দাহাল্লিতেও একটা বিষ্ফোরণ হয়েছে, আর এই নৈকট্যের কারনে অফিসের লোকেরা আতঙ্কিত। চারিদিকে টেনশন বিরাজ করছে, মোবাইল বাজছে বা লোকে তাদের আপনজনদের ফোন করছে এই আশায় যে তারা বাসায় বা ক্ষতি হবেনা এমন কোন জায়গায় নিরাপদে যেন থাকে।
সংবাদ মাধ্যম (টাইমস নাও) যদিও জানিয়েছে যে আইটি সেক্টরকে লক্ষ্য করা হয়েছে, হোসুর সড়ক, কোরামাঙ্গালা এর মতো জায়গা, কিন্তু এটা খুব বিশ্বাসযোগ্য ধারণা না যে আইটির এলাকা যে পরিমান নিরাপদ থাকে তাদেরকে লক্ষ্য করা হবে।”
বেশ কিছু লোক বিষ্ফোরণ সম্পর্কে টুইটারে জানাচ্ছে। জেস বলেছেন, ”যদিও কাছের বিষ্ফোরণ থেকে আমরা ৫০০ মিটার দূরে আছি, মানুষ আশ্বস্ত হচ্ছে যে তাদের ইন্টারনেট সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়নি। লাগাতার আপডেট করছেন টুইটার ব্যবহারকারী ব্লাস্টনিউজ।