যদিও লেবাননের নেতারা কাতারের দোহাতে গেছেন তাদের “জাতীয় সংলাপ” আবার শুরু করতে, এখানে আমরা আলোচনা করব সিরিয়ার ব্লগারা লেবাননের সাম্প্রতিক সংকট নিয়ে কি বলছেন তা নিয়ে।
এই সংকটের স্ফুরণ ঘটেছিল সরকারের বিরোধী দলকে লক্ষ করে দুটি বিতর্কিত সিদ্ধান্ত নিয়ে, বিশেষ করে হিজবুল্লাহর বিরুদ্ধে নেয়া সিদ্ধান্ত যা হিজবুল্লাহকে খুব দ্রুত বেসামরিকভাবে প্রতিরোধ এর মধ্যে দিয়ে যে একটি সামরিক অপারেশনের দিকে ঠেলে দেয় এবং মাত্র দুই দিনে তারা বৈরুতের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয় এবং এই ঘটনায় ১০০ জন নিহত হয়। সব কিছু মিলিয়ে দুই বছরেরও বেশী সময় ধরে রাজনৈতিক চাপা উত্তেজনা, একটি জাতিগত বিবাদ এর ভয় ভীতি প্রদর্শন, লেবানীজদের মনে আবার গৃহযুদ্ধের স্মৃতি ফিরিয়ে আনল।
সিরিয়ার ব্লগাররাও এই সাম্প্রতিক সঙ্কটটি নিয়ে লেবাননের মতই বিভক্ত, এর জন্য তারা কাকে দোষারোপ করবে? এবং অবশ্যই এমন কিছু করতে হবে যার মাধ্যমে ভবিষ্যৎতে এমন সংঘাতময় ঘটনা এড়ানো যাবে।
আমরা শুরু করব আইম্যানের “রাই” অথবা “মতামত” শিরোনামযুক্ত পোষ্ট দিয়ে [আরবী]:
لقد آلمني كثيراً أن يستعمل حزب الله سلاحه في صراع سياسي داخلي، وأن أرى صور المسلحين الملثمين في شوارع بيروت من جديد. لكني لا أستطيع أن أخفي شماتتي لانكسار شوكة جماعة 14 آذار.
[…]
إن بلداً كلبنان يستحق أكثر من أن يكون دمية بيد الخارج، ويستحق حكاماً أفضل من مجرمي الحرب الذين على رأس السلطة الآن.
[…] লেবাননের মত একটি দেশ বিদেশী শক্তিধরদের পুতুলের হওয়ার চেয়ে, আরও অনেক বেশী কিছু প্রত্যাশা করে এবং যুদ্ধাপরাধীদের সরকারের চেয়ে আরো ভালো নেতৃত্ব দাবী করে ।
এভাবেই সাসা শুরু করল এই ঘটনা সম্পর্কে তার বিবরণ:
‘এখানে বেশী কিছু নাই যা আমি যোগ করতে পারি। বরাবরের মতই এইটি একটি বিশৃঙ্খলা,এই বিশৃঙ্খলা লেবাননের জন্ম থেকেই। হিজবুল্লাহকে এই গৃহযুদ্ধ শুরু করার জন্য দোষারোপ হবে। ১৮ মাসের জন্য এই রাজনৈতিক সঙ্কটটি তিক্ত করার জন্য তারা অভিযুক্ত হবে।
মায়াসেলুনের এর ওয়াসিম, তার লেখায় “বৈরুতের স্বাধীনতা” নিয়ে তার উপলব্ধি তুলে ধরেন:
অনেক কথার পর, অনেক হম্বিতম্বির পর মাত্র ২৪ ঘন্টার মধ্যে বৈরুতের নিয়ন্ত্রণ গ্রহণ করল। এবার আমি শুরু থেকে পরিষ্কার করে বলি, যে মানুষেরা ফিউচার মুভমেন্ট থেকে রেগে বেরিয়ে গেল আর জুম্বলাতকে পরিবেষ্টিত সব মানুষের ভালো, বলিষ্ঠ মানুষ এবং আমি মনে করি এ অঞ্চলের, সর্বাপেক্ষা সম্মানিত মানুষ।
লিভানটাইন ড্রিমহাউজের এর আবু কারিম সময় আর হিজবুল্লাহর সামরিক কর্মকাণ্ড এর বিরুদ্ধে তার মন্তব্য করেন এবং বলে “হিজবুল্লাহর বেসমরিক বাহিনী বন্ধ কার উচিত”:
১৪ মার্চের রাজনীতিবিদের উপর আমার সামান্য সহানুভূতি আছে কিন্তু আমার রাগ আজ সরাসরি হিজবুল্লাহ এবং নাসারুল্লাহর উপর। আমাদের অনেকেই, হিজবুল্লাহর অনৈতিক কর্মকাণ্ড কিংবা তাদের রাজনৈতিক উদ্দেশ্য উপেক্ষা করতে সাহায্য করল, কেননা ২০০৬ সালের গ্রীষ্মে ইসরায়েলি সৈন্যবাহিনীকে যখন তারা আঘাত করল। কিন্তু আমি যে বিষয়টি এড়িয়ে যেতে পারি না, সেটা ব্যাপার নয় আপনি যেভাবেই দেখুন না কেন, একটি স্বাধীন বেসামরিকবাহিনী যখন সশস্ত্র অবস্থায় থাকে, তখন একটি সার্বভৌম রাষ্ট্রে যে কেউ অস্থিতিশীল এবং অপ্রতিষ্ঠিত অবস্থার জন্য দায়ী। তারা ক্রমাগত দাবী করে আসছে যে, এই সশস্ত্রবাহিনী ইসরায়েলের আক্রমণ থেকে রক্ষার জন্য, ঘুর্নিপাকে হারিয়ে যাওয়ার বিরুদ্ধে সুরক্ষার জন্য, বিশেষ করে গত ২৪ ঘন্টায় নাসারুল্লাহর বোমাবাজির ভয়ভীতিও গৃহযুদ্ধের পথে যায় নি।
জসুয়া লানডিজের সিরিয়া উপর মন্তব্যে, সে রেক্স ব্রিনেন ওপর লেখেন (ম্যাকগিল বিশ্ববিদ্যালয়ের) হিজবুল্লাহ চুক্তি ভঙ্গ করেছে এবং বলেন:
সে সঠিক যে পশ্চিম বৈরুতে শিয়ারা সুন্নিদের উপর চড়াও হয়েছে এবং জাতিগত সংঘাতের আশংকা ও ভয় বাড়িয়েছে। শুধু সুন্নিরা নয় খ্রীষ্টানরাও ভয় পেয়েছে। লেবাননের অন্যান্য অংশগুলো এখন বুঝতে পারছে, তাদের এবং হিজবুল্লাহের বেসামরিক বাহিনীর মধ্যে কতটুকু পার্থক্য।
দ্বিতীয়ত: সুন্নি যেমন সালিম আল-হোস এবং নাজিব মিকাতি যারা আশা করছিল যে সমঝোতার ভিত্তিতে তারা লেবাননের নেতৃত্ব দেবে এবং যারা সব সময়ই চেষ্টা করছে সিরিয়ার সঙ্গে কাজ করতে, তারা হিজবুল্লাহ বিরোধী অবস্থান নিয়েছে ।
সিরিয়াতে কিফা নাবকি মন্তব্য করেছেন, শেষ কয়েক বছর লেবাননে কি ঘটেছে এবং গত সপ্তাহে তা কিভাবে চরমে সংকটে পৌঁছায় তা সমন্বিতভাবে বিশ্লেষণের মধ্য দিয়ে উপস্থাপন করেছেন :
গত সতের মাস ধরে মনে হচ্ছিল যে লেবানন এইটি রাজনৈতিক সমঝোতার দিকে এগুচ্ছে- লেবানন এর নিস্ফল তর্ক-বিতর্ক এবং অভিযোগ-পাল্টা অভিযোগ এর সঙ্গে – যদিও এখনও উদাহরণ হয়ে আছে লেবাননের সাধারণ এবং আত্ম-ধ্বংসকারী তাৎপর্যহীন গণতন্ত্রের। রাজনৈতিক নেতাদের বক্তৃতাবাজি এর ধাপ এত নীচে নেমে গেছে যে খুব বেশী হলে বলা যায় তারা মুখস্হ রাজনৈতিক মতবাদের বুলি তোতা পাখির মত আওড়াতে পারে।
এবং শেষে রয়েছে রাজনের প্রতিবেদনটি, বহুলাংশে ভুলে যাওয়া এই সংঘাতের অভিযুক্ত, লেবাননে সিরিয় কর্মীগণ:
এইটি এমন কিছু বিষয় যা ১৪ই মার্চে প্রচার মাধ্যমে উল্লেখ হয় নি, কিংবা বিরোধীদের প্রচার মাধ্যমে কারণ তাদের উভয়ই লেবাননে সিরিয়ার কর্মীদের দুঃখ দুর্দশা নিয়ে উদাসীন। আজ, উত্তরে হারিরি বেসামরিক বাহিনী সিরিয় কর্মীদের বহনকারী একটি বাস থামায় এবং সকল যাত্রীকে গুলি করে হত্যা।