জর্ডান: ইউটিউবে রাজকীয় অভিশেক

জর্ডানের ব্লগার আর মধ্যপ্রাচ্যের ভ্লগারদের (ভিডিও ব্লগার) আনন্দের মধ্যে জর্ডানের রাণী রানিয়া ইউটিউবে যোগদান করেছেন। বাধা ধরা নিয়ম ভেঙ্গে আন্তর্জাতিক কথোপকথনে অংশগ্রহন করতে গতকাল ভিডিওটা ইউটিউবে এসেছে নিচের বাণী সহ:

রাণী রানিয়া ইউটিউবে তার উপস্থিতি শুরু করছেন এই চমৎকার ভিডিওর মাধ্যমে। সমস্ত ইউটিউবারদের উদ্দেশ্যে তিনি কি বলছেন তা শোনার জন্য এটি দেখুন আর তারপর কথোপকথনে অংশগ্রহণ করুন।

বাণীটি শুরু হয়েছে এভাবে:

যে জগতে সবার সাথে যোগাযোগ করা সহজ , সেখানে আমরা এখনো যোগদান করি নি। এক দুনিয়া বিস্ময় আছে সেই জগতে যা আমাদের সীমিত ধারণার মধ্য দিয়ে আমরা অনুভব করতে পারবো না। তাই আমাদের সকলের একসাথে হওয়া দরকার আর এইসব ভুল ধারণার অবসান করা দরকার। আরব বিশ্ব আর মধ্য প্রাচ্য সম্পর্কে আমাকে যে ধরনের প্রশ্ন করা হয়েছে তাতে আমি বিস্মিত। সব আরব কি আমেরিকানদের ঘৃণা করে? আরব মহিলারা কি কাজ করতে পারে? জর্ডানে কি কোন ইউটিউবার আছে?

রাণী রানিয়ার ব্যক্তিগত ওয়েব পাতা অনুযায়ী:

রাণী রানিয়া অফিসিয়াল একটি ইউটিউব পেজ শুরু করেছেন, যেখানে বিশেষ বাণী আছে যা বিভিন্ন সংস্কৃতির মধ্যে কথোপকথনের কথা বলে যাতে সীমিত বদ্ধমূল ধারণা ভেঙ্গে যায়। আপনারা মহামান্যা রাণীর ইউটিউবের পাতাটি দেখতে পারেন।

ভিডিওতে রাণী রানিয়া আমন্ত্রণ করেছেন তাকে আরব বিশ্ব সম্পর্কে কিছু ভ্রান্ত ধারণা নিয়ে প্রশ্ন করতে আর বলেছেন:

এখন থেকে ১২ই আগস্ট অনুষ্ঠিতব্য আন্তর্জাতিক তরুণ দিবস পর্যন্ত আমি আশা করছি যে ইউটিউবারদের কাছ থেকে আমি কিছু প্রশ্ন পাব। এবং কিছু বদ্ধমূল ধারণার কথা যা তারা আরব বিশ্ব সম্পর্কে শুনতে পায় আর আমি চেষ্টা করবো তাদের প্রত্যেকটি এক এক করে উত্তর দিয়ে এই ধারণাগুলোকে ভুল প্রমাণ করব। আমি ইউটিউবারদের অনুপ্রেরণা দেবো আমাকে সাহায্য করতে এই সব বদ্ধমূল ধারণার উত্তর দিতে আর তাই আমি আপনাদের ক্ষমতা আর সৃষ্টিশীলতার উপর নির্ভর করবো যাতে আমরা এটা ঠিক মতো করতে পারি।

নাসিম তারাওনাহ এই রাজকীয় ভ্লগার নিয়ে উচ্ছসিত আর লিখেছেন:

মনে হচ্ছে অনেক দিন আগের কথা যখন আমি চিন্তা করেছিলাম রাণী রানিয়া ব্লগার কি না। মনে হচ্ছে সম্প্রতি, তিনি আরও দুই কদম এগিয়ে ভ্লগার হয়েছেন।

তিনি আরো লিখেছেন:

আমার মনে হয় এটা একটি ভাল পদক্ষেপ (আশা করছিলাম যে আমি কেন প্রথমে এটি চিন্তা করি নি) আর এটা সেই ধরনের ওয়েব ২.০ প্রকল্প যা এই প্রেক্ষিতে এবং এই ব্যাপ্তিতে এর আগে করা হয় নি। যাই হোক মন্তব্য গুলো বেশ আকর্ষণীয় হবে তা ভালো, মন্দ বা অপমান জনক হোক না কেন। এমনই হচ্ছে ইন্টারনেটের মুক্ত জগৎ। দেখার ব্যাপার হবে যে মন্তব্য গুলো কি রুপ নেয়। মনে রাখতে হবে যে আরবদের বদ্ধমূল ধারণা প্রসঙ্গে কথা হচ্ছে, আর আরবরা সংস্কৃতি, রাজনীতি, অর্থনীতি আর ধর্মীয় মাপ কাঠিতে আলাদা, আর জর্ডানের রাণীর এইসব প্রশ্নের উত্তর একচেটিয়া ভাবে দেয়া একটু সমস্যার হবে। আর একটা সমস্যার জায়গা হবে ধর্মীয় ব্যাপার নিয়ে কথা বলা, একটা এলাকা যা আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি যে পূর্বের ভুল বোঝাবুঝির জন্য রাণী কথা বলবেন না।

আমি অবশ্য চিন্তা করছি যে এটা কি মাত্র একবারের একটা ব্যাপার হবে নাকি আমরা রাণীর ভিডিও ব্লগিং ইউটিউবে আরো দেখতে পাবো। আমি আরো ভাবছি যে বাদশা আব্দুল্লাহ ও কি এই পদাঙ্ক অনুসরণ করবেন, যদিও আমি মনে করি কিছু কারনে এটা একটা খারাপ ধারণা হবে।

খবিজাহ, যিনিও এই ভিডিওর লিঙ্ক প্রচার করেছেন, একটা সরল উক্তি করেছেন। তিনি বলেন:

রাণী রানিয়া ইউটিউবে তার উপস্থিতি এই বিশেষ ভিডিও দিয়ে শুরু করছেন। আসুন আমরা অংশগ্রহণ করি!

জর্ডানিয়ান হানি ওবায়েদ লেখার ব্যাপারে বলেছেন:

সত্যি কথা বলতে কি, আমার মনে হয়েছিল এটা এক ধরনের তামাশা যেমন রাজকীয় পরিবারের তৈরি ফেসবুক একাউন্ট নিয়ে হয়েছিল, কিন্তু তার পর আমি ভিডিওটা দেখেছি, আর আমি বেশ আশ্চর্য হয়েছি। এটা খুবই ভালো।

এ পর্যন্ত এই পাতা ৭২টি মন্তব্য পেয়েছে আর আরো যুক্ত হচ্ছে।

আলোচনা শুরু করুন

লেখকেরা, অনুগ্রহ করে লগ ইন »

নীতিমালা

  • অনুগ্রহ করে অপরের মন্তব্যকে শ্রদ্ধা করুন. যেসব মন্তব্যে গালাগালি, ঘৃণা, অবিবেচনা প্রসূত ব্যক্তিগত আক্রমণ থাকবে সেগুলো প্রকাশের অনুমতি দেয়া হবে না .