বৃষ্টি, সহিংসতা আর ঝামেলা হবে বলে মনে করা হয়েছিল। গুয়েতেমালার জনগন খুশি যে এই ভবিষ্যৎবানী ভুল প্রমানিত হয়েছে। ভালো খবর হলো গনতন্ত্র আর শান্তিপুর্ণ ক্ষমতা হস্তান্তর। ব্লগাররা শুধুমাত্র নির্বাচন নিয়ে মন্তব্য করেনি বরং তারা মানুষকে পুরো ব্যাপারটির গরম খবর, ছবি, বিস্তারিত বর্ণনা দিয়েছেন এমনকি ভোটারদের রাতে হলেও ভোট দিতে উৎসাহিত করেছেন।
ব্লগার দেসদে গুয়াটে, যিনি সরকারি ফলাফল জানিয়েছেন তার রেজাল্টাডোস২০০৭ ব্লগে মিনিটে মিনিটে আপডেট করে, রাত ১১টার দিকে জানান যে রাজধানীতে প্রাক্তন মিলিটারি অফিসার ওট্টো পেরেজ মলিনা এগিয়ে রয়েছেন, কিন্তু আল্ভারো কলম বেশি ভোট পেয়েছেন কারন গ্রামাঞ্চলে তিনি এগিয়ে রয়েছেন। কংগ্রেসেও কৌতুহল-উদ্দীপক ফলাফল হয়েছে যেখানে কয়েকটি দলের প্রতিনিধিত্ব দেখা গিয়েছে। এই ফলাফলকে সমর্থন করেছেন ব্লগার ইলেকসিওনেস গুয়েতেমালা যিনি একটি তুলনামূলক চার্ট দিয়েছেন। নভেম্বরে কলম আর পেরেজ রাষ্ট্রপতি পদের জন্যে দ্বিতীয় দফা লড়বেন।
টিয়ার গ্যাসের কারনে সান্তা রোসাতে যে বিচ্ছিন্ন ঘটনা ঘটেছে তা সম্পর্কে নোয়েশিস্মে ব্লগে বলা হয়েছে, এবং বিদ্যুত নিয়ে অসুবিধা ছাড়া গুয়েমালানরা যেন একটি স্বত:স্ফুর্ত নাগরিক অনুষ্ঠানে অংশগ্রহন করেছেন এই দিন যেখানে সবাই আমন্ত্রিত ছিলেন।
ব্লগ গুয়েতে৩৬০ ভোট প্রদানের পুরো প্রক্রিয়া, কি লাগবে, বিশদ বর্ণনা , গুরুতপূর্ণ ডাটা আর গ্রাফিক্স তার লেখায় দিয়েছেন বিশেষ করে যেসব ভোটার নতুন তাদের সাহায্য করার জন্য।
রঙ্গিন আঙ্গুলের মানে হলো এ ভাবে একজন নাগরিক হিসাবে আপনি আপনার ছাপ ফেলবেন, এই নীল ম্যাপটি হচ্ছে গুয়েতেমালানদের দ্বারা তৈরি হওয়া জাতীয় ম্যাপ। গর্ব সহকারে এটি দেখান, এবং হ্যা, একজন সচেতন নাগরিক হিসাবে এটি আপনার পাসপোর্ট।
ব্লগার রুডি গিরোন তার ইলেকসিওনে অঁ অ্যান্টিগুয়া গুয়েতেমালা শীর্ষক পোস্টে তার আঙ্গুল গর্ব করে দেখিয়েছেন যেখানে কালির নিশান বোঝাচ্ছে যে তিনি ভোট দিয়েছেন আর তার লেখা অপর পোস্টে তিনি আরো কিছু ছবি দেখিয়েছেন।
কিন্তু ব্লগার লা গুয়েতেমালা মিয়া তার লেখা সিভিস্মো গুতেমাল্টিকিস্মোতে ভোটের ধারনা সম্বন্ধ ভিন্ন মত প্রকাশ করেছেনঃ
ভদ্রতা হলো প্রচারনার সময় যা বলা হয়েছে তা করে দেখানো কিন্তু ভদ্রতা শুধুমাত্র একদিন থাকে।
প্রত্যেক বছর বড়দের মত বাচ্চারা তাদের নিজস্ব নির্বাচনে ভোট দিতে পারে। ভিআইপি এন্টিগুয়া তার লেখা “দ্যা লংগেস্ট ডে অফ মাই লাইফ” এ বলেছেনঃ
আর বাচ্চাদের ভোট দেয়ার ব্যাপরটি বাদ দেয়া যায়না, কারন এটি একটা ভালো শুরু।
লু, সাংবাদিকতার ছাত্রী আর ব্লগার , একটি টেলিভিশনের কল সেন্টারে কাজ করেন যেখানে তিনি বিশৃঙ্খলা আর দুর্ব্যবহার সম্পর্কে রিপোর্ট সংগ্রহ করেন। এবারই প্রথম তিনি এতো গুরুত্বপূর্ণ একটি ঘটনা নিয়ে লিখেছিলেন যা তিনি ফ্রম দ্যা ইনসাইড অফ ইলেকশান বলেছেনঃ
গিয়ে ভোট দাও। অন্য কাউকে তোমার হয়ে বেছে দিতে দিওনা, যদিও দেশের ভবিষ্যতের থেকেও বড় সিদ্ধান্ত এটি, এটি এক ধরনের প্রকাশভঙ্গি , আর তোমার পছন্দের প্রার্থী না জিতলেও তুমি সন্তুষ্ট থাকবে যে তোমার ইচ্ছা তুমি প্রকাশ করতে পেরেছো।
প্রথম ফলাফলের পর দ্যা ব্লাক বক্সের ব্লগারদের কাছ থেকে প্রথম ব্যাখ্যা পাওয়া গেছেঃ
আমি গুয়েতেমালার ভোটারদের বুদ্ধির প্রশংসা করি, আমার মনে হয় ক্ষমতার পরিবর্তন ভোটারদের সব থেকে ভালো জবাব।
ফলাফলটি সন্তোষজনক আর পৃথিবীর কাছে এটা একটা বার্তা যে গুয়েতেমালানরা গনতান্ত্রিক পদ্ধতি শান্তিপুর্ণভাবে পরিচালিত করতে পারে। অন্যদের সাথে সহযোগিতা আর সম্মান দেখিয়ে, পার্থক্য থাকলেও গুয়েতেমালানরা একটি অন্যরকম সংসদ নির্বাচিত করেছে, সহিংসতা আর অসামঞ্জস্যতা কমিয়ে ফেলে। তাছাড়া নাগরিকদের দিক থেকেও সাড়া বেশি ছিল , শুধু ভোট দিতেই নয় বরং ব্লগে আর অন্যান্য মাধ্যমে তথ্য দেয়াতেও।
লেখকের বার্তা: ধন্যবাদ গুয়াতেমালা এবং ধন্যবাদ বিশ্বের সবাইকে আমাদের গনতান্ত্রিক পদ্ধতি সম্পর্কে আগ্রহ দেখানোর জন্যে।
-রেনাটা আভিলা