গল্পগুলো আরও জানুন প্রতিবাদ মাস জানুয়ারি, 2011
বাংলাদেশ: শেয়ার বাজারের পতন ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের ক্ষতিগ্রস্ত করেছে
আজ বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় দুটি শেয়ার বাজার একদিনের ইতিহাসে সর্বনিম্ন দরপতনের শিকার হয় এবং হাজার হাজার ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারী তাদের সঞ্চিত আমানত হারায়। এই সংবাদটি বাংলাদেশের ব্লগার দ্রুত গ্রহণ করে এবং তারা তাদের ক্ষোভ এবং হতাশা প্রকাশ করে।
মেক্সিকো:#রেডমেক্সিকো নামক হ্যাশট্যাগের মাধ্যমে হানাহানি নিয়ে টুইট করা
মেক্সিকোর টুইটারকারীরা সে দেশে মাদক দ্রব্য নিয়ে হানাহানির ঘটনায় ক্লান্ত । মেক্সিকোর সাম্প্রতিক ঘটনা নিয়ে আলোচনার এবং তাদের অনুসারীদের এই বিষয়ে তাজা সংবাদ প্রদানের জন্য টুইটারকারীরা #মেক্সিকোরোজা (“লাল মেক্সিকো”) নামক হ্যাশট্যাগ ব্যবহার করছে।
ভুটান: ধুমপানকে অপরাধের সাথে যুক্ত করার ঘটনা ক্ষোভের সঞ্চার করেছে
এই মাসের শুরুতেই ভুটান সরকার তার কুখ্যাত ধূমপান নিয়ন্ত্রণ আইন কঠোরভাবে প্রয়োগ করা শুরু করেছে, যা গত বছর চালু হয়। এই আইন অনুসারে, আইন ভঙ্গকারী যে কোন নাগরিকের বিরুদ্ধে চতুর্থ মাত্রার অভিযোগ আনা যেতে পারে, যার ফলে তার ৫ থেকে ৯ বছরের জেল হতে পারে।
মিশর: একজন ব্লগার তার ব্লগের কারণে চাকুরি হারিয়েছে
মোহামেদ মারি প্রথম মিশরীয় ব্লগার নয়, ব্লগ লেখার জন্য যার চাকুরী গেল। তিনি ব্লগে যা লিখেছিলেন তার কারণেই তাকে তার চাকুরী হারাতে হয়। তার আগে ব্লগ লেখার জন্য ফোউনন এবং আহমেদ এল দ্রোউরবিকে চাকুরি হারাতে হয়। জেইনোবিয়া বিস্তারিতভাবে এই ঘটনার বর্ণনা প্রদান করছে।
প্যালেস্টাইন: প্রত্যক্ষদর্শীদের প্রদান করা বিল'ইন -এর প্রতিবাদ সমাবেশে কাঁদানে গ্যাস ছোঁড়ার সংবাদ
এক প্রতিবাদ সমাবেশে ছোঁড়া কাঁদানে গ্যাসের কারণে এক ফিলিস্তিনি নারীর মৃত্যু, আজ আরেক প্রতিবাদ বিক্ষোভের জন্ম দিয়েছে-এইবার এই সমাবেশ সম্বন্ধে মাইক্রো ব্লগিং সাইট টুইটারের মাধ্যমে সংবাদ প্রদান এবং এর ঘটনাবলী অনুসরণ করা হয়েছে।
আইভরি কোষ্ট: সবচেয়ে জনাধিক্য কারাগারে নির্যাতনের দৃশ্য
আইভরিয়ান অনলাইন কমিউনিটির মাঝে একটি ভিডিও সম্প্রতি আলোড়ন তুলেছে। এতে দেখা যায় সামরিক বাহিনীর সদস্যরা “মেইজঁ দা অ্যারোষ্ট এ দ্যা কারেকসিওন” কারাগারে (এমএসিএ) বন্দীদের পেটাচ্ছে।
তিউনিশিয়া: সিদি বোউজিদের ঘটনার পক্ষে অবস্থান নেওয়ায় আইনজীবীদের উপর হামলা চালানো হচ্ছে
সিদি বোউজিদের ঘটনায় তিউনিশিয়ার আইনজীবীরা তার পক্ষে অবস্থান গ্রহণ করে- যার মূল্য তাদেরকে প্রদান করতে হচ্ছে। আইনজীবীরা সিদি বোউজিদে যা ঘটেছে তার নিন্দা এবং তিউনিশিয়ার সামাজিক পরিস্থিতির প্রতিবাদ জানিয়ে বিক্ষোভ করছিল। এই কারণে সরকার তাদের ‘শাস্তি’ দেবার সিদ্ধান্ত নেয়। প্রতিদিন আইনজীবীদের, অপহরণ, গ্রেফতার অথবা তাদের উপর হামলার কাহিনী সামাজিক প্রচার মাধ্যমগুলোতে প্রকাশ হচ্ছে।
তিউনিশিয়া: “আমরা আর মোটেও ভীত নই”!
২০১০ সমাপ্ত হবার পথে এবং তিউনিশিয়ার সামাজিক আন্দোলন দানা বেঁধে উঠেছে, যার কারণে অনেক ব্লগার আশা করছে যে, এটি দেশটিতে এক গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন বয়ে আনতে পারে। কারণ তিউনিশিয়া ইন্টারনেট এবং প্রচার মাধ্যমের উপর সেন্সরশিপ বজায় রয়েছে, ১৩ দিন ধরে চলা প্রতিবাদের তথ্য প্রদান এবং আন্দোলনকে সংগঠিত করার জন্য ব্যাপক ভাবে সামাজিক প্রচার মাধ্যম ব্যবহার করা হচ্ছে, এটি করা হচ্ছে #সিদিবোউজিদ নামক হ্যাশট্যাগ ব্যবহার করে। এই ঘটনা এক গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন তৈরি হয়েছে: কেন তিউনিশিয়ার প্রতিবাদ ইরানের প্রতিবাদের মত প্রতিধ্বনি সৃষ্টি করতে পারছে না? এছাড়াও কেন চীনের সেন্সরশিপ নিয়ে সব সময় আলোচনা করা হয়, কিন্তু পুলিশি রাষ্ট্র তিউনিশয়ার একই রকম নিষেধাজ্ঞা নিয়ে কখনো আলোচনা করা হয় না।