সুদানের ব্লগোস্ফিয়ার যেমন বড় হচ্ছে, আমরা তত বেশি লেখালেখি আর নতুন নতুন কন্ঠ শুনতে পাচ্ছি । আসুন, আপনাদেরকে সাম্প্রতিক কিছু ব্লগের কথা শোনাইঃ
আয়মান এলখিদির নামে দুবাইতে বসবাসরত একজন সুদানীজ ব্লগার এখন দেশে ছুটি কাটাতে এসেছেন। একটি লেখায় তিনি সুদানীদের গাড়ী চালানোর অভ্যাসে বিরক্তি প্রকাশ করেছেনঃ
সুদানের মানুষ এমন করে গাড়ী চালায় মনে হয় যেন ১০০ বছর আগে তারা তাদের উট বা গাধা চালাচ্ছে। এখানে একেবারেই কোন ট্রাফিক নিয়ম নেই। কার বেশি সাহস তার উপর নির্ভর করে মোড় থেকে কে আগে যাবে। যেখানে ট্রাফিক লাইট আছে , যদি সেটা অনুসরন করা হয় তাহলে এক্সিডেন্ট হবেই। ভেবে দেখুন, সামনা – সামনি আর বামে মোড় নেয়ার সবুজ আলো জলছে একই সাথে। তাই আপনি যদি বামে যান বা ইউ টার্ন করেন তাহলে সামনে থেকে আসা ট্রাফিকের দিকেও নজর দিতে হবে কারন ওদেরো লাইট সবুজ।
সুদানের সাম্প্রতিক বন্যা নিয়ে সুদান ইজ নামক একজন নতুন ব্লগার লিখেছেনঃ
এ বছর আগস্টের বর্ষা সুদানী জনগনের জন্য খুব দুর্ভোগ নিয়ে এসেছে। কারন সুদানী সরকার কিছু অদরকারী জিনিষের পেছনে (যেমন একটি নতুন কারেন্সি চালু করা) তাদের সব টাকা শেষ করে ফেলেছে। আর সীমিত অর্থ নিয়ে একা এই দুর্যোগ কাটাতে সরকারের কষ্ট হচ্ছে। কোন উপায় না থাকায় বাধ্য হয়ে প্রচন্ড সমালোচনার মধ্যেও সরকার কিছু করেনি। এ পযন্ত ৬৭,৭৩১ বাড়ি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে যার মধ্যে ৩১,৫৪০ বাড়ি আর মেরামত করা যাবেনা।
কিজ্জি হঠাত করে দক্ষিন সুদানের ভাগ হয়ে যাওয়ার কথা বলেছেনঃ
আগামী চার বছরের মধ্যে সুদান আফ্রিকার সব চেয়ে বড় দেশ থাকবে না।
ডানার কাছে এটি দু:খজনক মনে হয়েছেঃ
কিজির ভাবনা আমাকে দু:খ দিয়েছে। আমরা কি আসলেই এই দিকে এগুচ্ছি? এক ফোটা আশাও কি নাই? আমার মনে হয়না যে আমরা এই দেশ কে বাঁচার একটি সুযোগ দিয়েছি। ব্রিটিশ সাম্রাজ্যবাদের সময় থেকে এই দুই অংশকে আলাদা করার কথা বলা হচ্ছে আর আমরা তখন থেকে এক সাথে কাজ করার বদলে একে অপরের বিরুদ্ধে কাজ করছি। কেন এই দেশকে কেউ সুযোগ দিচ্ছেনা?
ব্লগিং এর এক বছর পূর্তি উদযাপনের পর ব্ল্যাক কুশ গুয়েতানামো জেল থেকে সামি এল হাজের সম্ভাব্য মুক্তির কথা বলছেনঃ
১৫ আগাস্ট, ২০০৭ (খার্তুম) – ওয়াশিংটন খার্তুমের কাছে নিশ্চয়তা চেয়েছে যে গুয়ানতানামো বে জেল থেকে আল জাজিরার ক্যামেরাম্যান সামি এল হাজিকে ছেড়ে দিলে তাকে সুদান ছাড়তে হবে না, বুধবার তার ভাই আসিম আল-হাজি জানিয়েছেন।
লিটিল মিস দালু সুদানে একটি বৃহত বাঁধ মিরোই ড্যাম নির্মানের ফলে প্রাচিন নুবিয়ান সভ্যতার নৃতাত্তিক সম্পদের যে ক্ষতি হবে সেই দিকে দৃষ্টি আকর্ষন করেছেনঃ
মিরোই ড্যাম এরই মধ্যে মানবিক বিপর্যয়ের সৃষ্টি করছে। ৫০,০০০ এর বেশি লোক যারা নাইলের ধারে ছিল এবং নিজেদের ভেড়া আর ছাগল চরিয়ে জীবিকা নির্বাহ করতো, তারা স্থানচ্যুত হবে। এছাড়া প্রকল্পটি একটি বড় নৃতাত্তিক সম্পদের ক্ষতি করছে যা আন্তর্জাতিক মিডিয়া, ইউনেস্কো আর বেসরকারী সংরক্ষন দল দ্বারা উপেক্ষিত হচ্ছে। হাজার হাজার প্রাচীন স্থান কোন গবেষনা ছাড়াই সামনের বছর পানির নিচে চলে যাবে।
তিনি এই ব্যাপারে খুশি নাঃ
আমি এই ব্যাপারে এতো ব্যথিত/দু:খিত/নিরুপায় যে কোন বুদ্ধিদীপ্ত মন্তব্য করা আমার পক্ষে সম্বব নয় 🙁 আমার গালিবাজ নামে পরিচিতি আছে তাই এই পোস্টটির টাইটেলটি আমি পড়ছি সুদান উচ্ছন্নে যাচ্ছে।