ইউরোপীয় সংসদ আর্মেনীয় বন্দীদের ‘অবিলম্বে’ ‘নিঃশর্ত’ মুক্তি দিতে বলেছে

সিদ্ধান্তের পক্ষে ভোট দিয়েছে ইউরোপীয় সংসদের ৬৮৮ সদস্যের মধ্যে ৬০৭টি।

ইউরোপীয় সংসদ, স্টিভেন লেক। উইকিমিডিয়া সাধারণের মাধ্যমে সিসি বাই-এসএ ৪.০

এই নিবন্ধটি প্রথমবার প্রকাশিত হয়েছিল ওসি মিডিয়ার ওয়েবসাইটে। বিষয়বস্তু অংশীদারিত্ব চুক্তির মাধ্যমে এর একটি সম্পাদিত সংস্করণ এখানে পুনরায় প্রকাশিত হলো।

২০ মে তারিখে ইউরোপীয় সংসদ আজারবাইজান সরকারকে আর্মেনিয়ার সমস্ত যুদ্ধবন্দী ও বেসামরিক বন্দীদের মুক্তি দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে একটি প্রস্তাব  গ্রহণ করে।

ইউরোপীয় সংসদের বেশিরভাগ সদস্য – ৬৮৮ এর মধ্যে ৬০৭ জন – এই প্রস্তাবটির সমর্থনে ভোট দিয়েছে।

প্রস্তাবটির লেখনীতে “আজারবাইজানে প্রায় ২০০ আর্মেনীয়” বন্দীদশায় আটক থাকলেও আজারবাইজান মাত্র ৭২ জন আর্মেনীয় বন্দির কথা স্বীকার করে তাদের কর্মকর্তারা দাবি করেছে যে তারা সন্দেহভাজন সন্ত্রাসবাদী, তারা কেউ যুদ্ধবন্দি নয় – এমন “উদ্বেগজনক প্রতিবেদন” এর কথা উল্লেখ করা হয়েছে।

‘আস্থা ও বিশ্বাস তৈরির জন্যে আটক আর্মেনীয় সকল ব্যক্তির মুক্তি প্রয়োজন এবং সেটা হবে একটা গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক ইশারা’, কার্যক্রম চলাকালে ইউরোপীয় ইউনিয়নের পররাষ্ট্র বিষয়ক ও সুরক্ষা নীতির উচ্চ প্রতিনিধি জোসেপ বোরেলের পক্ষে দেওয়া এক ভাষণে উল্লেখ করা হয়।

প্রস্তাবটি অনুসারে, ইউরোপীয় সংসদ ‘অবিলম্বে সংঘাত চলার সময় এবং তার পরে আটক সামরিক ও বেসামরিক উভয় ধরনের আর্মেনীয় বন্দীদের নিঃশর্ত মুক্তি দাবী করে ভবিষ্যতে আজারবাইজানকে ঢালাও আটক করা থেকে বিরত থাকতে বলেছে’।

প্রস্তাবটিতে জোর দিয়ে আরো বলা হয়েছে যে ‘উভয় দেশের মধ্যে আস্থা তৈরির এবং টেকসই শান্তির দিকে এগিয়ে যাওয়ার জন্যে’ নতুন প্রচেষ্টার প্রয়োজন রয়েছে।

প্রস্তাবটিতে গত এপ্রিল মাসে বাকুতে চালু করা আর্মেনীয় সামরিক সরঞ্জামাদির পাশাপাশি মৃত ও মুমূর্ষু আর্মেনীয় সৈন্যদের মোমের মূর্তি এবং আর্মেনীয় যুদ্ধবন্দীদের চিত্রিত করা মডেল প্রদর্শনীযুক্ত ‘সামরিক বিজয়স্মারকের উদ্যান’-এর কথাও উল্লেখ করা হয়েছে।

‘সহিংসতার প্রশংসা’ হিসাবে ‘পুনর্মিলনের যে কোন আনুষ্ঠানিক বক্তব্যের বিরোধিতা করে এটি বিদ্বেষের পরিবেশ বজায় রাখে বলে এই উদ্যানটির নিন্দা করা হয়েছে।

৯ নভেম্বর তারিখে সহিংসতার অবসান থেকে ৭৩ জন আর্মেনীয় বন্দীর প্রত্যাবাসন করা হয়েছে এবং আর্মেনিয়া যুদ্ধের সময় আটক থাকা আজারবাইজানের সব যুদ্ধবন্দীদেরকে মুক্তি দিয়েছে।

যুদ্ধের সময় আর্মেনিয়া কর্তৃক আটক হওয়া দু'জন সিরীয় নাগরিক দেশে রয়ে গেছে এবং সন্ত্রাসবাদসহ বেশ কয়েকটি অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত হয়েছে – দু'জন ব্যক্তি ভাড়াটে হিসাবে স্বীকার করেছেন, তবে তাদের বিরুদ্ধে অন্য সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।

Exit mobile version