ইসলাম কী ধর্মনিরপেক্ষতার সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ?

৬ই নভেম্বর ২০২০ তারিখে অস্ট্রিয়ার ভিয়েনাতে সন্ত্রাসবিরোধী সমাবেশ। ছবি তুলেছেন মাইকেল গুবি। সিসি বাই-এনসি ২.০

সামি আলওয়াস এর লেখা প্রবন্ধটি প্রথম ‘দ্যা ব্যাটেলগ্রাউন্ড’ এ প্রকাশিত হয় যা কন্টেন্ট শেয়ারিং চুক্তির অংশ হিসেবে গ্লোবাল ভয়েসে পুনঃপ্রকাশিত হয়।

বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ফরাসি পণ্য বয়কট প্রচারণা বা এই সঙ্ক্রান্ত আলাপ-আলোচনা শুনে আমি নিশ্চিত ভিয়েনা ও নিসে সাম্প্রতিক সন্ত্রাসী হামলার বিষয়ে মুসলমানরা স্পষ্টতঃ দ্বন্দ্বে ভুগছেন।

যদিও তারা হিংস্রতার বিপক্ষে তবুও ধারণা করা যায় যে এটাই প্রত্যাশিত ছিল। তাদের এই নিয়ে দ্বৈততা বোঝা যায় তাদের কথা বার্তাতেইঃ

“আমরা হত্যাকে সমর্থন করি না, ইসলামের সাথে এসব হত্যার কোনো সম্পর্ক নেই। কিন্তু যখন বাকস্বাধীনতার নামে (উদাহরণ স্বরূপ, চার্লি এবদো) মুসলমানদের বিরুদ্ধে উস্কানি দেয়া হয়, তখন এ ধরনের প্রতিক্রিয়া প্রত্যাশিত থাকে।”

বা এমন কিছু :

“কেন শুধু কোন মুসলমান কর্তৃক সহিংসতাকে “সন্ত্রাসী” আক্রমণ বলে অভিহিত করা হয়? ফরাসী ধর্মনিরপেক্ষতা ‘লেইসিতে’ কেবল মুসলমানদের ক্ষেত্রেই কেন প্রয়োগ করা হয়? তুলনামুলকভাবে হলোকস্টকে প্রশ্ন করা কেন অবৈধ আর ইসলামের সবচেয়ে পবিত্র বিষয়গুলির সমালোচনা করা জায়েজ?”

অবশ্যই, কিছু স্পষ্ট মুসলমান কণ্ঠস্বর ধর্মনিরপেক্ষতা, বাক স্বাধীনতা এবং নাগরিক স্বাধীনতা নিয়ে এইসব বিভ্রান্তি ও দ্বৈততার নিন্দা করে। কিন্তু এই দ্বন্দ্ব ব্যপক ও সুদূরপ্রসারী। দেখে মনে হয় যেন সমসাময়িক ইসলামিক রাজনীতির ভাষার মাধ্যমে বঞ্চিতবোধ প্রকাশ পাচ্ছে।

সহিংসতার প্রতি এই যৌক্তিকতা আসলো কোথা থেকে? গণতন্ত্রের মূল উপাদানগুলি, বিশেষত বাকস্বাধীনতা এবং ধর্মনিরপেক্ষতা ধর্মের সাথে সঙ্গতিহীন বলে প্রচার করা কি আসলেই ইসলামের সহজাত কিছু?

এই প্রশ্নগুলো গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এসব সন্ত্রাসী হামলাগুলি মানসিক আঘাত তৈরি করে যা ইউরোপীয় সমাজের মধ্যে সমানভাবে প্রতিক্রিয়াশীল যুক্তিগুলি উপস্থিত করে। সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্য, সকলের মিলেমিশে থাকা আর নিজস্বতা নিয়ে প্রগতিবিরোধী বিতর্ক সৃষ্টি করে।

সন্ত্রাসবাদের জন্য ক্ষমা চাওয়ার মতো কিছু প্রতিক্রিয়া সুদূর-ডান গোষ্ঠীগুলির হাতে যেন রাজনৈতিক বিজয় তুলে দেওয়া, যারা ভুলভাবে ইসলামকে পশ্চাৎপদ ও হিংসাত্মক বলে প্রচার করে যাচ্ছে।

এগুলো আগেও হয়েছে। ২০০৫ সালে সিরিয়ার সেই ছোট্ট বসার ঘরের টিভির সামনে বসে আমি কল্পনাতীত কিছু দেখেছিলাম: মধ্যপ্রাচ্য আর উত্তর আফ্রিকা জুড়ে ড্যানিশ পত্রিকা জিলান্দস পস্টেন এ প্রকাশিত নবী মুহাম্মদের আপত্তিকর চিত্রাঙ্কনের প্রতিবাদে গণবিক্ষোভ।

এই প্রতিবাদগুলি সেদেশগুলোর অত্যাচারী শাসকরা সহ্য করেছিল যারা তাদের দেশে অন্য যে কোন ধরনের প্রতিবাদকে রুখে দিত। ২০১০ সালে আরব বসন্ত পর্যন্ত এই বিক্ষোভগুলি কেবল এধরণেরই ছিল।।

এখন যখন এ ব্যাপারে ভাবি, তখন মনে প্রশ্ন জাগে অন্যান্য ঘটনাগুলো নিয়ে মুসলমানরা কেন এতটা হৈচৈ করেন না।

রোহিঙ্গা মুসলিম হত্যাকান্ড নিন্দিত হলেও তা এমন আন্তর্জাতিক ক্ষোভের জন্ম দেয় নি। এমন কী চীনের উইগুর ক্যাম্পগুলোর নির্যাতন ও না।

এমনি কি, আমরা অনেকেই দেখেছি ২০১২ সালে ব্যাপক প্রচারিত একটা ইউটিউব ভিডিওতে সিরিয়ার সরকারী গুন্ডাদের দ্বারা জায়নামাজে বাসার-আল আসাদের প্রতিকৃতিতে সিজদা করার জন্য সরকার বিরোধী বিক্ষোভকারীদের বন্দুকের ভয় দেখানো হয়।

এক দূর্বৃত্ত তাকে চিৎকার করে বলেছিল,”তোমার ঈশ্বর বাশার এর কাছে প্রার্থনা করো!” এটা সত্য যে সিরিয়ান সরকারের কার্যকলাপ সারা পৃথিবীর জিহাদিদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছিল। কিন্তু ড্যানিশ কার্টুনের প্রতিবাদে সংঘটিত গণবিক্ষোভগুলোর মত ভিনদেশে সিরিয়ার দূতাবাসগুলিতে জনগণের বিক্ষোভের জন্ম দেয়নি।।

এই দ্বৈতভাব ছিল বেশ উদ্ভট। তবে এটা সমসাময়িক রাজনৈতিক ইসলামের জাতীয়তাবাদী প্রকৃতি সম্পর্কে কিছু বলছে।

এটি ইসলামের সাথে বাক স্বাধীনতার অসংগতির ব্যপারটি বোঝায় না। বরং, ইসলামের পরিচয়টি অনিরাপদ হয়ে দাঁড়িয়েছে যা খ্রিস্টান বা বিধর্মী কর্তৃক, এবং অধিকাংশ ক্ষেত্রেই উপনিবেশিক পশ্চিমের সমালোচনার দ্বারা প্রায়শঃ ক্ষুণ্ন হয়।

মধ্যপন্থী চিন্তাধারার মুসলমানরা বা নামেমাত্র মুসলমানরা এই অনুভূতিটি রক্ষণশীল ও কট্টরপন্থী ইসলামপন্থীদের সাথে ভাগ করে দেয়। এমনকি, ধর্মনিরপেক্ষ জাতীয়তাবাদীরাও পশ্চিমা বিশ্বের ইসলামের প্রতি এই নিন্দাকে নিজেদের সংস্কৃতির উপর আঘাত বলে মনে করেন।

তারা নিজেদের মুসলমান বা জাতীয়তাবাদী যেই পরিচয়ই দিক না কেন, মধ্যপ্রাচ্য ও উত্তর আফ্রিকার দেশগুলির বেশিরভাগ লোক দরিদ্র, অশিক্ষিত এবং তাদের রাজনৈতিক প্রতিনিধিত্ব নেই। দীর্ঘমেয়াদী স্থবিরতা তাদের আরও সংবেদনশীল করে তোলে যা মুসলমান পরিচয় নিয়ে রাজনীতির জ্বালানী দেয় এবং সামাজিক সমস্যাগুলিকে আরও বাড়িয়ে তোলে। মানবতাবাদী দর্শন আর জাতীয়তাবাদের বিরুদ্ধে রক্তক্ষয়ী যুদ্ধগুলোকে ইউরোপের সাফল্য হিসেবে দেখা হয় না। অনেক মুসলমানের কাছে ধর্মনিরপেক্ষতা ইসলামী পরিচয় ও সংস্কৃতি কেড়ে নেওয়ার একটি পশ্চিমা ঔপনিবেশিক পরিকল্পনা মাত্র।

মধ্য প্রাচ্য এবং উত্তর আফ্রিকার অনেক মানুষ কেবল ইউরোপকে খ্রিস্টান সাম্রাজ্যবাদী হিসেবে দেখে এবং নিজস্ব উত্তরাধিকার সূত্রে প্রাপ্ত ঔপনিবেশিক খারাপ স্মৃতিগুলির দাস হয়ে যায়। ইসলামী বিশ্বজুড়ে জনপ্রিয় জননেতা, রাজা এবং স্বৈরশাসকরা তাদের অস্তিত্বকে বৈধ করার জন্য এসব আখ্যানকে শক্তিশালী করেন। এসব অভিন্ন রাজনীতিতে জাতীয়তাবাদ আর বিভেদ সৃষ্টি করলেও ইতিবাচক ইউরোপীয় আন্তঃসম্পর্ককে অস্বীকার করে।

ইউরোপের অভ্যন্তরে এই সমস্যা আরো জটিল হয়ে যায় যখন প্রবাসী সম্প্রদায়গুলো নিজেদের একটি বেমানান এবং প্রায়শঃ বর্ণবাদী পরিবেশে আবিষ্কার করে। তারা রাজনৈতিক ইসলামের অগভীর এবং গোঁড়া উদাহরণগুলো গ্রহণ করে এই পরিস্থিতির মোকাবেলা করতে চায়।

উপনিবেশবাদ এমন অনেক সামাজিক সমস্যাকে উস্কে দেয় যা মুসলিম সমাজে আগে থেকেই ছিল। তারা নতুন কিছু তৈরি করে নি। ইউরোপীয় উপনিবেশ আর অটোমান সাম্রাজ্যবাদের আগে থেকেই আমরা বিষমবাদী, শ্রেণিবদ্ধ ও সাম্প্রদায়িক ছিলাম। ইউরোপীয় উপনিবেশ শুধুমাত্র সেই বিদ্যমান শ্রেণিবদ্ধ রাজনৈতিক কাঠামোকে চাঙ্গা করে তোলে এবং বিভাজন ও শাসনের জন্য সাম্প্রদায়িকতা ব্যবহার করে। আমরা এখনো যে স্বৈরাচারের শিকার হই তা হলো সেই কাঠামোগুলির ধারাবাহিকতা। তার মানে এটা আমাদের বুদ্ধিবৃত্তিক বিপ্লব এর উপর নির্ভর করে যা জনপ্রিয় নেতাদের আমাদের বাজে প্রবৃত্তিগুলো ব্যবহার করা থেকে বিরত রাখবে। এর জন্য আমাদের মুসলমান পরিচয় ও ধর্মের মৌলিক সংস্কার সহ সবক্ষেত্রে আত্মসমালোচক হওয়া প্রয়োজন।

যেসব সম্প্রদায় ঔপনিবেশবাদের অধীনে ভুগেছে তাদেরকে আমি পেছনের কথা ভুলে সামনে এগোনোর কথা বলছি না। পক্ষান্তরে, শুধুমাত্র একটা সমস্যা হিসেবে বিবেচনা না করে পুরুষানুক্রমে পাওয়া উপনিবেশবাদকে সমস্যার বড় অংশ হিসেবে দেখা দরকার। উপনিবেশবাদ মধ্য প্রাচ্য এবং উত্তর আফ্রিকার সংস্কৃতির মনস্তত্ত্ব আর রাজনীতিতে যে ক্ষত সৃষ্টি করেছে তা এখনো শুকায় নি, বরং, এ অঞ্চলের প্রবাসীদের বর্ণবৈষম্য তা আরো শক্তিশালী করেছে।

এই কারণে সব সামাজিক ব্যাধিকে উপনিবেশিকতার শিকার হওয়াকে বৈধতা দেয়ার কারণ হিসেবে বিবেচনা করা উচিত না। অন্যদিকে, উপনিবেশবাদের ইতিহাসের কারণে, সর্বসাধারণের উপযুক্ত রাজনৈতিক আলাপ, মুসলমানদের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হওয়া আর ভিন্ন সম্প্রদায়ের সকলকে সমানভাবে সুবিধা দেয়া ইউরোপের দায়িত্ব। তা অবশ্যই বৈদেশিক সহযোগীতা, আন্তর্জাতিক উন্নয়ন এবং নিরাপত্তা নীতিতে একত্রিত করার মাধ্যমে করতে হবে। আর তার বদলে, মুসলমান সম্প্রদায়ের দায়িত্ব এই যে তাদের বুঝতে হবে যে আজকের রাজনৈতিক ইসলামিক সঙ্ক্রান্ত আলাপ-আলোচনায় সংস্কারের বিকল্প নেই।

সেই সাথে ইসলামের সেই সকল মধ্যপন্থী কন্ঠগুলোর কাছে এটা পরিষ্কার করতে হবে যে গণতন্ত্রে কিছুই পবিত্র নয়, এবং আমাদের অবশ্যই কোনো রকমের ব্যর্থতা ছাড়াই রাজনৈতিক সহিংসতাকে প্রতিরোধ করতে হবে।

তা প্রতিষ্ঠা করার জন্য মুসলিম সম্প্রদায়গুলোর উচিত নিজেদের সহসমনশীলতার ও যুক্তি দিয়ে দেখা এবং, সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ, ইউরোপের সাথে শ্রদ্ধাবোধ প্রচার করার ইতিহাসের দিকে তাকানো।

আমাদের ইতিহাসে বহু শিক্ষাবিদ, দার্শনিক এমন কী সামরিক নেতা রয়েছেন যারা সহনশীল মুক্ত বচন ও ইসলামি সংস্কৃতির সমৃদ্ধ সহ্য করার পক্ষে সাক্ষ্য দেন।

এদের অন্যতম উদাহরণ হলেন মধ্যযুগীয় আরব দার্শনিক এবং কবি আল-মাআরি। তাঁর একটি কবিতার অনুবাদে দেখা যায় তিনি লিখেছেন “লাতাকিয়ায় আহমেদ আর ঈসার মধ্যে হৈ চৈ পড়ে গেল। একজন ঘন্টা বাজায় আরেকজন মিনার থেকে ডাক দেয়। প্রত্যেকে তাদের ধর্মকে মহিমান্বিত করে। ও আমার কবি, কে সঠিক? ”

রিসালাত আল-গুফরান বইতে আল-মা’আরী আরও বলেছেন, ‘ইমাম একজন ই, তা হলো অন্তর’ এবং “পৃথিবীতে দু'জন বাস করেন: একজন ধর্ম ছাড়া বুদ্ধি নিয়ে, আরেক বুদ্ধি ছাড়া ধর্ম নিয়ে।”

ইনি এমন একজন দার্শনিক যিনি হাজার বছর পূর্বে আব্বাসীয় খিলাফতের সময়ে বাস করতেন। তাঁর বিরুদ্ধে কখনো মামলাও করা হয় নি, না হয়েছে তাঁর শিরশ্ছেদ। অপরদিকে, তিনি শ্রেষ্ঠ আরব দার্শনিক আর কবিদের একজন হিসেবে সম্মানিত হয়েছেন।

আল-মাআরির স্মরণে একটি ভাস্কর্য ২০১৩ অবধি সিরিয়ায় তার নিজ শহরে দাঁড়িয়ে ছিল, কেবলমাত্র আল-কায়েদার একটি শাখা আল নুসরা ফ্রন্টের আঘাতে তা ধ্বংসপ্রাপ্ত হয়।

ধর্মনিরপেক্ষতার সাথে সংগতি হীনতার ইস্যুতে, মুতাজিলা চিন্তাধারার বিকাশ নবজাগরণের মানবতার সাথে সাদৃশ্য প্রকাশ করে যেখান থেকে ধর্মনিরপেক্ষ মানবতাবাদ এর উৎপত্তি।

মুতাজিলা আন্দোলনটি অ্যারিস্টোটিলিয়ান এবং নব্য-প্লাটোনিজমের অনুবাদ ও ব্যাখ্যার উপর প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। যুক্তিযুক্ত চিন্তার মাধ্যমে বিশ্বকে ব্যাখ্যা করা যেতে পারে এই যুক্তিতে উক্ত আন্দোলন কুরআনের ‘স্বয়ম্ভু’ অস্তিত্বকে প্রত্যাখান করে, যা মূলধারার শিয়া ও সুন্নি মতবাদের উপর আধিপত্য বিস্তার করেছিল। এটা রাষ্ট্র আর ধর্মকে আলাদা করে না বলে এটা পুরোপুরি এখনকার ধর্মনিরপেক্ষতার মত নয়। তবে এটা সমালোচনা ও বৈজ্ঞানিক চিন্তার দ্বার উন্মুক্ত করে, সম্ভাব্যভাবে ধর্মনিরপেক্ষতার পথ প্রশস্ত করে।

ধর্মনিরপেক্ষতা ইসলামের সাথে সংগতিপূর্ণ। শুধু বর্তমান রাজনৈতিক ইসলামের সাথে এটা অসংগতিপূর্ণ।

পাশাপাশি গতানুগতিক ধর্মনিরপেক্ষতার সংস্করণ ও প্রয়োজন, কারণ, সংখ্যালঘুদের বৈষম্যের কারণ হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে এর নিজস্ব ধর্ম, বিশ্বাসকে সংযত করা, থেকে ভিন্ন।

আলোচনা শুরু করুন

লেখকেরা, অনুগ্রহ করে লগ ইন »

নীতিমালা

  • অনুগ্রহ করে অপরের মন্তব্যকে শ্রদ্ধা করুন. যেসব মন্তব্যে গালাগালি, ঘৃণা, অবিবেচনা প্রসূত ব্যক্তিগত আক্রমণ থাকবে সেগুলো প্রকাশের অনুমতি দেয়া হবে না .