ইরানি রাষ্ট্রপতির জাতিসংঘে ভ্রমণের প্রাক্কালে একজন সংস্কারবাদী সম্পাদককে গ্রেফতার

সংস্কারবাদী শারঘ সংবাদপত্রের সম্পাদক সাদরা মহাঘেঘ গত ১৯শে সেপ্টেম্বর গ্রেফতার হন। আইসিএইচআরআই থেকে পাওয়া চিত্র এবং অনুমতি নিয়ে ব্যবহৃত।

সংস্কারবাদী শারঘ সংবাদপত্রের সম্পাদক সাদরা মহাঘেঘ গত ১৯শে সেপ্টেম্বর গ্রেফতার হন। আইসিএইচআরআই থেকে পাওয়া চিত্র এবং অনুমতি নিয়ে ব্যবহৃত।

এই প্রবন্ধের একটা সংস্করণ মূলত ইরান ইন্টারন্যাশনাল ক্যাম্পেইন ফর হিউম্যান রাইটস এর ওয়েবসাইটে প্রকাশিত হয়েছিল।

সংস্কারবাদী ইরানি সংবাদপত্র শারাঘ এর সামাজিক বিষয়ক এডিটর সাদরা মহাঘেঘকে গত ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০১৬ তারিখে গ্রেপ্তার করা হয়।  কিন্তু তাঁকে গ্রেফতার ও এবং তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের সামগ্রিক বিষয়টি তার আইনজীবীর ভাষ্য অনুযায়ী পরিষ্কার নয়।

প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানির একটি আন্তর্জাতিক সফর থেকে গ্রেপ্তারের ব্যাপারটি চলে আসে যেটি নিউ ইয়র্কে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে শেষ হবে। সেখানে তিনি গত ২২ সেপ্টেম্বর তারিখে এক সংবাদ সম্মেলন করেন।

মোহাম্মদ সালেহ ইরানের ইন্টারন্যাশনাল ক্যাম্পেইন ফর হিউম্যান রাইটসকে বলেন যে তার মক্কেলকে একটি নিরাপত্তা সংস্থার এজেন্টরা নিজেদের হেফাজতে নিয়েছে, কিন্তু সেই এজেন্টরা তাদের প্রতিষ্ঠানের নাম প্রকাশ করেনি।

“এজেন্টরা মহাঘেঘ এবং তার স্ত্রীর ল্যাপটপ এবং মোবাইল ফোন বাজেয়াপ্ত করেছে এবং তাদের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোর অ্যাকাউন্টের পাসওয়ার্ড চেয়েছে,” একটি সূত্র প্রচারাভিযানকে জানিয়েছে।

আধা-সরকারি মেহর নিউজ এজেন্সি গত ১৯ সেপ্টেম্বর তারিখে রিপোর্ট করে যে, “এস-এম” হিসেবে চিহ্নিত একজন পত্রিকার সম্পাদককে “বিপ্লবী বিরোধী” সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কাজ করার জন্য “একটি নিরাপত্তা সংস্থা” আটক করেছে। সেই দিনের পর, শারাঘ তার টুইটার অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে মহাঘেঘ এর গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেন

ইরানের বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর ব্যবহৃত একটি ছবি দিয়ে মেহের রিপোর্ট করেছে – অনেক কর্মী, সাংবাদিক ও ভিন্নমতাবলম্বীদের কারাদন্ডের জন্য একটি সংস্থা দায়ী – সাংবাদিকরা “শত্রু রাজ্যের” জন্য কাজ করছে বলে তারা দাবি করছে এর জন্য তার কঠোর ব্যবস্থা নিচ্ছে।

পরিবেশগত সমস্যা নিয়ে করা রিপোর্ট এবং তথ্যপূর্ণ সামাজিক মিডিয়া পোস্টিং এর জন্য মহাঘেঘ সুপরিচিত । তাকে গ্রেফতারের পর কয়েক ঘন্টার মধ্যে, তার টুইটার ও ফেসবুক অ্যাকাউন্টে প্রবেশ করা আর সম্ভব হয়নি। ২০১২ এবং ২০১৩ সালে দুটি ভিন্ন কারনে তাকে গ্রেফতার করা হয়, কিন্তু বিচারের সম্মুখীন করা হয়নি।

আরেকজন সাংবাদিক, ইয়াশার সুলতানি, গত ১৭ সেপ্টেম্বর তারিখ থেকে ইভিন কারাগারে আটক রয়েছেন। বিচারের পূর্বে তার মুক্তির জন্য দুই বিলিয়ন রিয়াল জামানত দিতে অক্ষম হওয়ায় তখন থেকে তিনি আটক আছেন। মেমারী খবর নামের একটি স্বাধীন ওয়েবসাইট গত ৯ সেপ্টেম্বর, ২০১৬ তারিখ থেকে স্থগিত রয়েছে। পত্রিকাটির প্রধান সম্পাদক সুলতানির বিরুদ্ধে তেহরান পৌরসভার অবৈধ জমি বিক্রির ওপর সরকারি একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করার জন্য তদন্ত করা হচ্ছে।

Exit mobile version