#সেভসামান: প্রাণদণ্ডের হাত থেকে ইরানের সামান নাসীমকে-বাঁচানোর শেষ মুহুর্তের প্রচেষ্টা

Image edited by Kevin Rothrock.

ছবি সম্পাদনা কেভিন রথরকের

ইরান জাতিসংঘের শিশু অধিকার বিষয়ক সনদে স্বাক্ষর করেছে এবং মানবাধিকার কর্মীরা বলছে যে নাসীম-এর এই প্রাণদণ্ড কার্যকর হলে তা হবে এই সনদ মেনে চলার প্রতিশ্রুতির লঙ্ঘন;

আন্তর্জাতিক আইনে অপ্রাপ্তবয়স্কদের প্রাণদণ্ড কার্যকার পরিষ্কারভাবে নিষিদ্ধ।

আমনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল আজকের এই দিনে, ১৯ ফেব্রুয়ারি তারিখে নির্ধারিত এই প্রাণদণ্ড কার্যকর বন্ধের আহ্বান জানিয়ে গ্রহণ করা এক কর্মসূচির নেতৃত্বে এগিয়ে এসেছে। অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল-এর মধ্যপ্রাচ্য এবং উত্তর আফ্রিকার উপ পরিচালক হাসিবা হাজি শাহারোউয়ি ব্যাখ্যা করেছেন:

ইরানী কর্তৃপক্ষ এক তরুণের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার জন্য প্রস্তুত হচ্ছে,  যার উপর ৯৭ দিন দিন ধরে ‘অপরাধ স্বীকারের’ জন্য অত্যাচার করা হয় যখন তার বয়স ছিল ১৭ বছর, যে আপরাধ মোটেও বিশ্বাসযোগ্য নয়. ..অতিসত্বর সামানের এই মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা বন্ধ করতে হবে;তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ পুঙ্খানুপুঙ্খ ভাবে পর্যালোচনা করতে হবে।

অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল প্রকাশিত নাসীমের এক চিঠিতে, সে বলছে তাকে গুরুতর অবস্থায় কারারুদ্ধ করে রাখা হয়েছে :

প্রথম দিনেই, আমার উপর এতটাই প্রচণ্ড অত্যাচার করা হয়েছিল যে, আমি আর হাটতে পারছিলাম না। আমার সাড়া শরীরে মারের দাগ পড়ে গিয়েছিল। তারা ঘন্টা খানেক সময় ধরে আমার হাত ও পা বেঁধে ঝুলিয়ে রাখে। জিজ্ঞাসাবাদের এই পুরো সময়টা আমার চোখে কাপড় বেঁধে রাখা হয়েছিল এবং আমার উপর অত্যাচার চালানো হয়েছিল, এর ফলে যে জিজ্ঞাসাবাদকারী ও অত্যাচার করা কর্মকর্তাকে দেখতে পাইনি। তারা বারবার আমাকে বলছিল যে তারা আমার পরিবারের সদস্যদের গ্রেফতার করেছে, যার মধ্যে আমার বাবা, মা এবং ভাই রয়েছে। তারা আমাকে বলছিল যে তারা সেখানেই আমাকে মেরে ফেলবে এবং আমার কবর সিমেন্ট দিয়ে ঢেকে ফেলবে। যখন আমি রাতের বেলা ঘুমানোর চেষ্টা করতাম, তারা বিভিন্ন যন্ত্র দিয়ে শব্দ তৈরীর মাধ্যমে আমার ঘুমাতে দিত না, সাথে তারা সারারাত ধরে দরজায় শব্দ করত। আমি উন্মাদনা এবং চৈতন্যের মাঝামাঝি এক অবস্থায় ছিলাম। এই পুরো সময়ে আমার পরিবারের সাথে আমার কোন যোগাযোগ ছিল না। এই শুনানী চলাকালীন সময় আদলতের প্রধান বিচারপতি বেশ কয়েকবার আমাকে আরো প্রহারের হুমকি দিয়েছিল এবং আমার আইনজীবীকে চাপের মুখে সেখান থেকে সরে যেতে বাধ্য করা হয়।

#সেভসামান নামক এক হ্যাশট্যাগ ব্যবহারের মাধ্যমে এতে ইরানের কর্মকর্তাদের ট্যাগ বা যুক্ত করে নাসীমের মৃত্যুদণ্ড স্থগিতের আবেদন জানানোর জন্য এক স্যোশাল মিডিয়ার প্রচারণার প্রস্তুতি গ্রহণ করা হচ্ছে। অনেক টুইটার ব্যবহারকারী @খামেনেই_আইআর নামক টুইটার একাউন্টকে এতে যুক্ত করেছে, যা ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতোল্লাহ সাইয়েদ আলি খামেনেই-এর।

ইরানঃ সামান নাসীম-এর মৃত্যুদণ্ড প্রদান স্থগিত কর এবং অপ্রাপ্ত বয়স্কদের মৃত্যুদণ্ডের মত শাস্তি আর নয়।

অপরাধ’ স্বীকারের জন্য রোববারে তার উপর ঘন্টার পর ঘন্টা অত্যাচার করা হয়। খামেনেইকে অনুরোধ করছি দুদিনের মধ্যে তার মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার আগে যেন সামানকে রক্ষায় যেন তিনি এগিয়ে আসেন।

Exit mobile version