ভিডিও: রক্ষনশীল রাজনীতিবিদের বক্তৃতার সময় ইরানি শিক্ষার্থীদের প্রতিবাদ

ইরানের তেহরানে আমিরকবির বিশ্ববিদ্যালয়ে গত ১৪ এপ্রিল ২০১৪ তারিখে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের পরাজিত রক্ষণশীল প্রার্থী এবং সাবেক শীর্ষ পরমাণু আলোচক সাঈদ জালিলি বক্তৃতা করছিলেন। সে সময় শিক্ষার্থীদের একটি দল চিৎকার করে তাঁর বিরুদ্ধে স্লোগান দেয়। এ সময় তাঁরা প্ল্যাকার্ড বহন করে এবং ইরানের জাতীয় পতাকা ওড়ায়।

সবুজ আন্দোলন বিক্ষোভের নেতা মীর হুসেন মুসাভির মেহেদী কারবিকে সমর্থন করে শিক্ষার্থীরা চেঁচিয়ে স্লোগান দেয়। এই সবুজ আন্দোলনের মাধ্যমে জনমতের আকস্মিক পরিবর্তনের ফলে তাঁরা বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা বা সমর্থন লাভ করে, যা ২০০৯ সালে প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আহমাদিনেজাদের পুনরায় নির্বাচনের সময় গোটা দেশকে নাড়িয়ে দেয়। সে সময় প্রতিবাদকারীরা নির্বাচনের ফলাফল প্রতারণাপূর্ণ বলে বিবেচনা করে এবং লক্ষ লক্ষ লোক আহমাদিনেজাদের অপসারণের জন্য র‍্যালিতে অংশ নিতে রাস্তায় নেমে আসে।

কিন্তু ২০১০ সালের প্রথম দিকে কর্তৃপক্ষ আন্দোলনের উপর ব্যাপক কঠোর আচরণ শুরু করে। মুসাভি ও কারবি, যারা উভয় সাবেক রাষ্ট্রপতি প্রার্থী এবং মুসাভির স্ত্রী জাহারা রাহ্নাভারদকে ১৪ ফেব্রুয়ারী, ২০১১ থেকে গৃহবন্দী করে রাখা হয়

আমিরকবির বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা চিৎকার করে বলে, “আমাদের ভোট ইরানের প্রধানমন্ত্রীর জন্য”। এটি মুসাভিরের জন্য একটি রেফারেন্স, যিনি দেশের সর্বোচ্চ নেতা হিসাবে রুহল্লাহ খমেনির ক্ষমতায় থাকার সময় ১৯৮০ থেকে ১৯৮৮ সাল পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী ছিলেন।

এদিকে, রক্ষণশীল বাসিজি শিক্ষার্থীরা সে সময় ​​সামনের সারিতে বসে ছিল, যারা মূলত জালিলির সমর্থক। তাঁরা স্লোগান দেয়, “মার্কিনিদের সঙ্গ ত্যাগ কর”। নিচের ইউটিউব ভিডিওটির শেষ দিকে তাঁদের দেখা যাবে। ভিডিওটি মূলত বিরোধীদের সমর্থনকারী শিক্ষার্থীদের দেখানোর মাধ্যমে শুরু হয়েছে:

জালিলির বক্তৃতার প্রধান বিষয় ছিল দেশটির অর্জিত পারমাণবিক সাফল্য।

আলিরেজা টাবা টুইট করেছেন, প্রতিবাদী কিছু ছাত্রদের পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের শৃঙ্খলা কমিটির সম্মুখীন করা হয়েছে:

জালিলির ভাষণ চলাকালে প্রতিবাদ রত অন্তত নয়জন ছাত্রকে শাস্তিমূলক কমিটির সঙ্গে দেখা করতে বলা হয়েছে।

হানিফ জেড কাশানি রিপোর্ট করেছেনঃ

শিক্ষার্থীরা “পারমানবিক পার্টি” ও সাইদ জালিলিকে সমর্থন করে বাসিজি ছাত্রদের গান ও স্লোগান ভণ্ডুল করে দিয়েছে। 

টুইটারে ব্যবহারকারীর আমিরএইচপি বিক্ষোভ সম্পর্কে টুইট করেছেন: 

পারমাণবিক দিবস উদযাপনের জন্য জালিলি এসেছিলেন। কিন্তু, মুসাভি সমর্থকদের স্লোগানই যেন কত্রিত্ত করল।  

ব্যবহারকারী আসামে লিখেছেনঃ 

[বর্তমান ইরানের প্রেসিডেন্ট] হাসান [রুহানি] বা হুসেন [মুসাভি], এটা কোন ব্যাপার না, আমাদের আন্দোলন চলতে থাকবে।  

Exit mobile version